রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আফিফ-মিরাজের ব্যাটে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

আফগানিস্তানের ছোট্ট সংগ্রহ ২১৫ রান তাড়া করতে নেমে ৪৫ রানে নেই বাংলাদেশের ৬ উইকেট। আফগানদের বঁহাতি পেসার ফজলহক ফারকীর তোপে পড়ে কী ভয়াবহ বিপর্যয়? ফারকী একাই তুলে নেন প্রথম ৪ উইকেট। বাংলাদেশের সামনে বড় হারের চোখ রাঙাণি! কিন্তু তিন কাঠির খেলা ক্রিকেটে শেষ বলে কিছু নেই। যে কোনো সময় বাঁক নিতে পারে ম্যাচের গতি-প্রকৃতি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সে রকমই দৃশ্য চিত্রায়িত হয়েছে। বাঁক নিয়েছে ম্যাচ। হারের কিনারা থেকে ফিরে এসে আফিফ-মিরাজের সপ্তম উইকেট জুটিতে রেকর্ড গড়া অবিচ্ছিন্ন ১৭৪ রান বাংলাদেশকে জয় এনে দিয়েছে ৭ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে। আফিফ-মিরাজ দুই জনেই খেলেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। আফিফ ৯৩ ও মিরাজ ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন মিরাজ। তার ম্যাচ সেরা হওয়ার পেছনে বল হাতে কৃপনতা দেখানো। ১০ ওভারে ২৮ রান দেন। যদিও তিনি কোনো উইকেট পাননি। আফিফ জিতে নেন মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার। তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। ১৩ খেলায় পয়েন্ট ৯০। আফগানিন্তান আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে পেল প্রথম হার। আগের ৬ ম্যাচেই তারা জয় পেয়েছিল।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের আতঙ্ক ছিল তাদের স্পিন ত্রয়ী রশিদ-নবী-মুজিব। কিন্তু এই তিন জন নয়, বাংলাদেশ শিবিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে ছিলেন বাঁহাতি পেসার ফজলহক ফারকী। বিপিএলে তিনি খেলেছিলেন মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার হয়ে। নিয়মিত খেলার সুযোগই পাননি। মাত্র ৩ ম্যাচ খেলে উইকেট পেয়েছিলেন ২টি। সেই ফজল হক ফারকী তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে (হবে ১০ বলের ব্যবধানে) জোড়া আঘাত হেনে বাংলাদেশের কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। একে একে তিনি তুলে নেন লিটন দাস (১), তামিম ইকবাল (৮), মুশফিকুর রহিম (৩) ও অভিষিক্ত ইয়াসির আলীর (০) উইকেট। লিটন ও তামিমের উইকেট তিনি নিয়েছিলেন রিভিউ নিয়ে। দুইবারই আম্পায়ারকে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়েছিল। দলের রান তখন মাত্র উইকেটে ১৮। এই বিপর্যয় আরো ঘনিভূত হয় মুজিব সাকিবকে (১০) ও রশিদ খান মাহমুদউল্লাহকে (৮) ফিরিয়ে দিলে। সাকিব অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল টেনে এনে প্লেইড অন আর মাহমুদউল্লাহ অহেতুক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন নজিবুল্লাহ জাদরানের হাতে। মুজিব চতুর্থ ওভারে এসে উইকেট পেলেও রশিদ খান দ্বিতীয় বলেই পেয়ে যান উইকেট। দলের রান ৬ উইকেটে ৪৫। হারের কালো মেঘ ভেসে উঠতে থাকে বাংলাদেশের আকাশে। সূর্যাস্তের অনেক সময় থাকলেও সাগরিকায় যেন আগে-ভাগেই সূর্যাস্ত হতে থাকে। গুমোট পরিবেশ। জয়-পরাজয় খেলারই অংশ। আফগানিস্তানের কাছেও হারতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু তাই বলে বড় ব্যবধানে? আবার যে ম্যাচ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার প্রশ্নে জড়িত। লম্বা (৮জন) ব্যাটিং লাইন থাকায় তখনো ছিলেন দুই ব্যাটসম্যান আফিফ ও মিরাজ। আফিফ রঙিন পোষাকের দুনিয়া যাত্রা শুরু করেছেন, কিন্তু এখনো নিজেকে নির্ভারতার প্রমাণ দিতে পারেননি। মিরাজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময় ছিলেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে যাত্রা শুরু করে বল হাতে সাফল্য পেয়ে ব্যাট হাতে আর নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। আবার ওয়ানডে দলেও নিয়মিত নন। কিন্তু এই দুইজন কতোটুকুই আর দলকে টেনে নিতে পারবেন। কতোটুকুই বা ভরসা করা যায়। বড় জোরে তারা দলের হারের ব্যবধান কমিয়ে আনতে পারবেন কিংবা লজ্জ্বার হার থেকে দলকে বাঁচাতে পারবেন?

মিরাজ যখন ক্রিজে আসেন, তখন আফিফের রান ৭। এরপর দুই জনেই এগিয়েছেন প্রায় সমান তালে। বলও যেমন ছিল প্রায় সমান সমান, তেমনি রান সংগ্রহও। আপিফ ৬৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর মিরাজ করেন ৭৯ বলে। আফিফের প্রথম, মিরাজর দ্বিতীয়। আগের ফিফটি ছিল ৫১ রানের। জুটিতে ৫০ রান আসে ৫৮ বলে। শতরান করতে বল খেলেন ১৪১টি। এরপর তারা জুটিতে ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২০১৮ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা ১২৭ রান অতিক্রম করে যান। ধীরে ধীরে বড় হারের শঙ্কা কাটতে থাকে। এর মাঝে ফ্লাড লাইটও চলে যায়। আবার আলো জ্বলে উঠলেও তাতে দুই ব্যাটসম্যানের মনসংযোগে কোন চিড় ধরাতে পারেনি। এরপর দুইজনে ছুটে চলেন জয়ের দিকে। দলকে জয় এন দিতে গিয়ে তারা সপ্তম উইকেট জুটিতে বিশ্বরেকর্ড গড়ার পথেও এগুচ্ছিলেন। এই জুটিতে সর্বোচ্চ রান ছিল ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও আদিল রশিদের ১৭৭ রান। তারা করেছিলেন ২০১৫ সালে বার্মিংহামে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। টার্গেট পূরণ হয়ে যাওয়াতে মাত্র ৪ রানের জন্য আফিফ-মিরাজ তারা বিশ্ব রেকর্ড গড়তে পারেনি। ১৭৪ রান করে সবার মলিন মুখে হাসি ফুটিয়ে বীরের বেশে ফিরে আসেন।

দুই জন কোনো ঝুঁকিতে যাননি। আবার সুযোগ পেলে চড়াও হয়েছেন। যেমন ইয়ামিন আহমদ জাইয়ের এক ওভারে দুই জনে মিলে আদায় করে নেন ১৫ রান। তারপর আবার চুপচাপ। সিঙ্গেলসের উপর নির্ভর করে এগুতে থাকেন। যে কারণে পরের বাউন্ডারি এসেছে ২৯ বল পর। এর পরের বাউন্ডারি ১৮ বল পর। দুইবারই আফিফের ব্যাট থেকে। মাঝে এমনও গিয়েছে ৪০ বলে কোনো বাউন্ডারি ছিল না। কিন্তু দলের রান ঠিকই এগুচ্ছিল। ফলে দলের রান রেট তারা ৪০ ওভার পর্যন্ত পাঁচের অনেক নিচেই রেখেছিলেন। ৪১ থেকে ৪৫ ওভার পর্যন্ত দলের রান রেট ছিল পাঁচের উপর। এ সময় রশিদ-নবী-মুজিব হাত ঘুরাচ্ছিলেন। ৪৫ ওভার শেষে দলের রান ছিল ৬ উইকেটে ১৮৭। জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩০ বলে ২৯ রান। ৪৬ ও ৪৮ নম্বর ওভারে ইনিংসের শুরুতেই জগদ্দল পতরের মতো চেপে বসা সেই ফজলহক ফারকীকেই আফিফ ও মিরাজ মিলে রান নিয়ে দলের জয়কে আরো সহজ করে তুলেন। যে কারণে ৪৭ নম্বার ওভারে রশিদ খান ১ রান দিলেও আফিফ-মিরাজ খেলাকে শেষ ওভারে নিতে দেননি। রান সমান হয়ে যাওয়ার পর গুলবাদিন নাইবকে চার মেরে আফিফ দলকে দুর্দান্ত জয় এনে দেন। আফিফ ১১৫ বলে ১ ছক্কা ও ১১ চারে ৯৩ ও মিরাজ ১২০ বলে ৯ চারে ৮১ রান করে অপরাজিত থাকেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ২১৫/১০, ওভার ৪৯.১ ( নাজিবুল্লাহ জাদরান ৬৭ , রহমত শাহ ৩৪, হাসমাতউল্লাহ শহিদী ২৭, মোহাম্মদ নবী ২০, ইব্রাহীম জাদরান ১৯, গুলবাদিন নাইব ১৭, রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৭, ইয়ামিন আহমদজাই ৫, ফজলহক ফারকী ০*,রশিদ খান ০, মুজি-উর-রহমান ০, অতিরিক্ত মোস্তাফিজ ৩/৩৯, শরিফুল ইসলাম ২/৩৮, তাসকিন ২/৫০, সাকিব ২/৫৫ মাহমুদউল্লাহ ১/৪, মেহেদি হাসান মিরাজ ০/২৬)।

বাংলাদেশ: ২১৯/৬, ওভার ৪৮.৫ ( আফিফ হোসেন ৯৩* মেহেদি হাসান মিরাজ ৮১* সাকিব ১০,তামিম ইকবাল ৮, মাহমুদউল্লাহ ৮, মুশিফিকুর রহিম ৩, লিটন দাস ১ , ইয়াসির আলী ০, ফজলহক ফারুকী ৪/৫৪, মুজিব ১/৩২, রশিদ খান ১/৩০, মোহাম্মদ নবী ০/৩০, গুলবাদিন নাইব ০/২৫, ইয়ামিন আহমদজাই ০/৩৫)।

এমপি/এএস

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি