বসুন্ধরাকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল রহমতগঞ্জ

এবারের লিগে হার দিয়ে শুরু করে বসুন্ধরা কিংস পরের দুই ম্যাচে জয় পেয়েছিল ১-০ গোলের ব্যবধানে। এরপর বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে ইতিহাস সৃষ্টি করে নিজেদের মাঠে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে ৩-০ গোলে বাংলাদেশ পুলিশকে হারিয়ে ফিরেছিল নিজেদের চেনা রূপে। কিন্তু মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রহমতগঞ্জের বিপক্ষে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা জাগিয়ে তুলেছিল। শেষ পর্যন্ত তারা জয় পেয়েছে ৩-২ ব্যবধানে। এর ফলে যেমন তারা পয়েন্ট হারানোর হাত থেকে রক্ষা পেলে, একই সঙ্গে নিজেদের ভেন্যুতও দুই ম্যাচ খেলে অপরাজিত থাকল। ৫ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। সমান ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে রহমতগঞ্জ আছে নিচের দিক থেকে দুইয়ে।
পাঁচ গোলের ম্যাচে চার গোলই ছিল প্রথমার্ধে। এ সময় খেলা হয়েছে সমানে সমান। গোলের পরিবর্তে হয়েছে পাল্টা গোল। রহমতগঞ্জ গোল করে এগিয়ে গেলে বসুন্ধরা সেই গোল পরিশোধ করে সমতা আনে। আবার বসুন্ধরা গোল করে এগিয়ে যায়। সেই গোল আবার পরিশোধ করে রহমতগঞ্জ। এভাবে প্রথমার্ধ শেষ হয়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আর সেই গোল উৎসব থাকেনি। ৭৬ মিনিটে বসুন্ধরা যে গোল করে তা আর পরে পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি রহমতগঞ্জের।
খেলার প্রথম গোল হয় ২৭ মিনিটে। মাহমুদুল হাসানের কর্ণার থেকে সানডে চিজোবা হেড করে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে। ৩২ মিনিটে রবিনিয়ো রবসনের গোলে সমতা আসে। মাসুক মিয়া জনির সঙ্গে বল আদান-প্রদান করে বাঁ দিক দিয়ে নিখুত চিপে গোল করেন। ৪৪ মিনিটে ইব্রাহিমের গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। রবিনিয়োর রং পাস রিসিভ করেই দারুন শটে নিশানা ভেদ করেন ইব্রাহিম। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল পরিশোধ করেন সানডে চিজোবা। ফিলিপ আদজাকে বক্সে তারিক কাজী ফাউল করলে রহমতগঞ্জ পায় এই পেনাল্টি।
বসু্ন্ধরার জয়সূচক গোলটি আসে বদলি খেলোয়াড় ইয়াসিন আরাফাতের মাথা থেকে। ৭৬ মনিটে রবিনিয়োর কর্ণার থেকে বক্সে লাফিয়ে উঠে চমৎকার হেডে গোল করেন ইয়াসিন। শেষের দিকে রহমতগঞ্জ গোল করার দুইটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি সানডে চিজোবা ও ফিলিপ আজাদ।
এমপি/এসআইএইচ
