ফাইনালে কুমিল্লা, না চট্টগ্রাম?

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলে ফাইনালের মঞ্চে ফরচুন বরিশালের সঙ্গী হবে কে? কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস, না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স? তারই ফয়সালা হবে আজ বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা শুরু বিকাল সাড়ে ৫টায়।
দুই দল আজ মুখোমুখি হচ্ছে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। চট্টগ্রাম জয়ী হয়ে আর কুমিল্লা হেরে। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও প্লে অফ রাউন্ডে দুইটি ম্যাচই হয়েছিল টানটান উত্তেজনার। একটি ছিল হাই স্কোরিং, অপরটি লো স্কোরিং। দুইটি ম্যাচই শেষ বল পর্যন্ত খেলা হয়েছে। তারপর হয়েছে জয়-পরাজয় নির্ধারিত। এলিমেনেটরে চট্টগ্রাম ও খুলনা টাইগার্সের ম্যাচটি ছিল হাই স্কোরিং। চট্টগ্রাম ৬ উইকেটে ১৮৯ রান করে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচ জিতেছিল ৭ রানে। খুলনা করেছিল ৫ উইকেটে ১৮২ রান। শেষ ওভারে খুলনার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ রানের। ক্রিজে ছিলেন ৭৪ রানে ওয়ালটন ও ১ রান করে নতুন ব্যাটসম্যান থিসারা পেরেরা। কিন্তু মেহেদি হাসান মিরাজের করা সেই ওভারে এই দুই ব্যাটসম্যান ৮ রান নিতে পেরেছিলেন।
কোয়ালিফায়ার-১ ম্যাচে বরিশাল বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৪৩ রান করেছিল ৮ উইকেট হারিয়ে। জবাব দিতে নেমে কুমিল্লা আটকা পড়ে গিয়েছিল ৭ উইকেটে ১৩৩ রান করে। হার মেনেছিল ১০ রানে। শেষ ওভারে কুমিল্লার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৮ রানের। ক্রিজে ছিলেন সুনিল নারিন ১১ ও মাইদুল ইসলাম অঙ্কান ১ রানে। বোলার ছিলেন আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমান। সুনিল ছক্কা মারার পরও রান এসেছিল মাত্র ৭। বরিশালের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে অবশ্য চলতি আসরে যেকোনো দলেরই রান করা কঠিন। এরকম রান করে বরিশাল একাধিক ম্যাচ জিতেছে। এমনকি চট্টগ্রামের বিপক্ষে লিগ পর্বের দুইটি ম্যাচেও। প্রথম ম্যাচে, যা ছিল আসরেরও প্রথম ম্যাচ, সেখানে চট্টগ্রাম আগে ব্যাট করে মাত্র ১২৫ রান করেছিল ৮ উইকেটে। পরে বরিশাল ম্যাচ জিতেছিল ৪ উইকেটে। পরের ম্যাচে বরিশাল আগে ব্যাট করে ১৪৯ রান করে অলআউট হওয়ার পরও ম্যাচ জিতেছিল ১৪ রানে। তাই বরিশালের বিপক্ষে অল্প রান করা মানে এই নয় যে দলের ব্যাটিং লাইন দুর্বল।
দুই দল আজকের ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার পূর্বে লিগ পর্বে দুইবার খেলেছিল। যেখানে একবারও হাসতে পারেনি চট্টগ্রাম। আগে ব্যাট করে ডু প্লেসির ৫৫ বলে ৮৩ রানরে সুবাদে কুমিল্লা ৩ উইকেটে ১৮৩ রান করে ম্যাচ জিতেছিল ৫২ রানে। চট্টগ্রাম মাত্র ১৩১ রানে অলআউট হয়েছিল। পরের মোলাকাতে বৃষ্টি আইনে কুমিল্লা জিতে গেল ৯ উইকেটে। আগে ব্যাট করে চট্টগ্রাম ১৮ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৮ রান করেছিল। মোস্তাফিজ ২৭ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। যা এবারের আসরে প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র ঘটনা। বৃষ্টির কারণে কুমিল্লার টার্গেট গিয়ে দাঁড়ায় ১৪৮ রানে। প্রথমবারের মতো ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে ইমরুল কায়েস ৬২ বলে অপরাজিত ৮১ রানের ইনিংস খেললে কুমিল্লা ১ উইকেট হারিয়ে ১৬ ওভার ৩ বলে লক্ষ্যে পৌঁছেছিল।
আগের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে কুমিল্লা কি হ্যাটট্রিক ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছে যাবে, না কি তাদের থামিয়ে দিয়ে দুই হারের বিপরীতে প্রথম জয় নিয়ে বরিশালের প্রতিপক্ষ হবে?
এমপি/টিটি
