সিলেটকে হারিয়ে প্লে অফ রাউন্ডে চট্টগ্রাম

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স আগেও জয় পেয়েছে। কিন্তু আজকের ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটে পাওয়া জয় তাদের জন্য অতি মূল্যবান। কারণ এই জয় শুধু একটি জয়ই ছিল না। আসরে টিকে থাকাও ছিল। প্লে অফ রাউন্ডের টিকিটও ছিল। হারলেই যে বাজত বিদায় ঘন্টা! তাইতো চট্টগ্রামকে একাই টেনে নিয়ে যাওয়া ইংলিশ ব্যাটসম্যান ম্যাচ সেরা উইল জ্যাকসের ব্যাট থেকে ছক্কায় আসা জয়ের পর চট্টগ্রামের খেলোয়াড়, কর্মকতাদের সে কি উছ্বাস। তৃতীয় দল হিসেবে তারা প্লে অফ রাউন্ড নিশ্চিত করে। চতুর্থ দল হবে খুলনা টাইগার্স ও মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার যে কেউ। দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে খুলনা জয়ী হলে তারাই হবে চতুর্থ দল। হেরে গেলে খেলবে ঢাকা।
দুর্ভাগ্য সিলেটের। তাদের বিপক্ষে হাই স্কোরিং রান হওয়ার পরও তারা ছেড়ে কথা বলেনি। আবার নিজেরা আগে ব্যাট করে বড় স্কোর করেও ম্যাচ জিততে পারেনি। চট্টগ্রামের কাছে ১৭৫ রান করে হেরেছে। বরিশালের কাছে হেরেছিল ১৬৯ রান করে। আজ চট্টগ্রামের কাছে হেরেছে ৬ উইকেটে ১৮৪ রান করে। ৫ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই চট্টগ্রাম লক্ষ্যে পৌছে যায়।
টস জিতে সিলেটকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল চট্টগ্রাম মূলত অল্প রানে যাতে আটকে রাখা যায়। কিন্তু রবি বোপারা (২১ বলে ৪৪), লিন্ডল সিমন্স (২৭ বলে ৪২), মোসাদ্দেকের (২২ বলে ৩৫) মারমুখি ব্যাটিংয়ের সঙ্গে এনামুল হক বিজয়ের ২৬ বলে ৩২ ও কলিন ইনগ্রামের ১৯ বলে ২৪ রানে সিলেটের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮৪ দাঁড়ায়। মৃতুঞ্জয় নেন ৩ উইকেট। টার্গেট যখন ১৮৫ হয়ে, তখন কপালে চিন্তার ভাজই পড়ে যায়। তবে ভরসা ছিল সিলেটের বিপক্ষে প্রথম মোকাবেলাতে পাওয়া ১৬ রানের জয়। যেখানে তারা আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে করেছিল ২০২ রান। জবাব দিতে নেমে সিলেট করেছিল ৬ উইকেটে ১৮৬ রান। এটিই তাদের মনোবল চাঙ্গা করে তুলে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ওপেনার উইল জ্যাকস। খেলেন ৫৭ বলে ৪ ছক্কা ও ৮ চারে ৯২ রানের অপরাজিত ইনিংস।
সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন শামিম হোসেন ৭ বলে ছক্কা ও ২ চারে ২১ ও চাদউইক ওয়ালটন ২৩ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে। মূলত উইল জ্যাকসের কারণে সিলেটের টার্গেট কখনো বড় মনে হতে দেয়নি চট্টগ্রামকে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে রান আসে ২ উইকেটে ৬০। ১০ ওভার শেষে ২ উইকটে ৯০। ১৫ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১৪১। শেষ ৫ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৪৫ রান। সেখানে ৫ বল আগেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। উইল জ্যাকস শুরুতে একটু রক্ষণশীল ছিলেন। ১৩ বলে রান ছিল ১৫। স্বাধীনের করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২১ রান নিয়ে শুরু হয় তার তান্ডব। কোনো ওভারে ৪ রান, ৫ রান করে এসেছে। আবার কোনো ওভারে ১৩ রান, কোনো ওভারে ১৪ রান নিয়ে তা পুষিয়ে দিয়েছেন। যা শেষ ওভারে এসে দাঁড়ায় ৪ রানে। সেখানেও প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান। ফিফটি করেন তিনি ৩৫ বলে চলতি আসরে যা ছিল তার চতুর্থ ফিফটি। সিলেটের সোহাগ গাজী ও আলাউদ্দিন ববু নেন ২টি করে উইকেট।
এমপি/এএস
