বরিশালের কাছে হেরে যদি-কিন্তুর বেড়াজালে ঢাকার প্লে-অফ রাউন্ড

‘যদি’ আর ‘কিন্তু’ এই দুই শব্দের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার প্লে-অফ রাউন্ডে যাওয়া, না যাওয়া। ফরচুন বরিশালের কাছে ৮ উইকেটে হেরে যাওয়াতে তাদের এই অবস্থা হয়েছে।
ম্যাচে ঢাকা আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১২৮ রান করে। সাকিবের ঝড়ো ফিফটিতে বরিশাল সেই রান অতিক্রম করে ১৫ ওভার ৩ বলে ১২৯ রান করে। ১০ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে বরিশাল সবার উপরে। ঢাকার পয়েন্ট ১০ ম্যাচে ৯। এখন তাদের আগামীকালকের দুইটি খেলার দিকে থাকিয়ে থাকতে হবে। ৮ পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স যদি সিলেট সানরাইজার্সের কাছে হেরে যায় তাহলে ঢাকার পথ উন্মুক্ত হয়ে যাবে। অথবা চট্টগ্রাম যদি জিতেও আর ৯ পয়েন্ট নিয়ে খুলনা টাইগার্স হেরে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কাছে, তখন খুলনা ও ঢাকার পয়েন্ট সমান হয়ে যাবে। নেট রান রেট যে দলের ভালো হবে, সে দলের কপাল খুলবে। আর যদি খুলনা ও চট্টগ্রাম জিতে যায়, তাহলে শেষ হয়ে যাবে ঢাকার আসর।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা মোটেই এর ফায়দা নিতে পারেনি। একমাত্র ইনফর্ম ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ছাড়া বাকিরা সবাই ছিলেন ব্যর্থ। তামিম আবারও ব্যাটিং ঝলক দেখিয়ে ৬৬ রান করেন। এ ছাড়া শুভাগত হোম করেন অপরাজিত ২১ রান। আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি।
মোহাম্মদ নাঈমকে আবার ওপেনিংয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল; কিন্তু বিপিএলে চরমভাবে ব্যর্থ নাঈম দলের টিকে থাকার ম্যাচেও খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসতে পারেননি। ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করে তিনি মাত্র ৬ রানে ফিরে যান। তার থেকেও কম জহুরুল ২, মাহমুদউল্লাহ ৩, শামসুর রহমান শুভ ৩ রান করে ফিরে গেলে ঢাকার বড় ইনিংস গড়ার স্বপ্ন বিলীন হয়ে যায়। শুভাগত হোমকে নিয়ে তামিম ইকবাল পতন রোধ করে দলের রানকে ফাইটিং স্কোরে পরিণত করার চেষ্টা করতে থাকেন। জুটিতে ৪১ রান আসে ৭ ওভার ২ বলে। এর মাঝে তামিম ইকবাল ৩৮ বলে ৮ চারে বিপিএলে এবারের আসরে চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন। এরপর রানের চাকা বাড়াতে গিয়ে তিনি আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন। মেহেদী হাসান রানার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দিলে শেষ হয় তার ৬০ বলে ১ ছক্কা ও ৯ চারে করা ৬৬ রানের ইনিংস। তিনি আউট হওয়ার পর আবারো শুরু হয় উইকেটের পতন।
এতক্ষন তামিম ইকবাল চেয়ে দেখেছিলেন। এবার তা দেখতে থাকেন শুভাগত হোম। তার চোখের সামনে বিদায় নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২, কায়েস আহমেদ ৮, সাইফুল ইসলাম ০, রুবেল হোসেন ৬ রান করে। উইকেটের বৃষ্টিবর্ষণের কারণে তারা শেষ ৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৫ রান সংগ্রহ করে।
ছোট টার্গেটের পেছনে ছুটে বরিশাল শুরুতে ওপেনার গেইলেকে (৭) হারালেও আরেক ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও নাজমুল হোসেন দলের রানকে ৪৬ পর্যন্ত নিয়ে যান মুনিম ৩টি করে চার ও ছয় মেরে ২৫ বলে ৩৭ রান করে আউট হওয়ার পর নাজমুলের সঙ্গে সাকিব জুটি বেঁধে মারমুখি ব্যাটিং শুরু করেন। মাত্র ৮ ওভার ৪ বলে জয়ের জন্য্ প্রয়োজনীয় বাকি ৮৩ রান সংগ্রহ করে নেন। জয়সূচক রান আসে ওয়াইড বল থেকে।
সাকিব চার মেরে তার অর্ধশত রান পূর্ণ করেন ২৯ বলে। চলতি আসরে তার এটি ছিল তৃতীয় ফিফটি এবং সর্বোচ্চ রানও। এই ম্যাচেও তিনি ম্যাচ সেরা। এ নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচেই তিনি ম্যাচ সেরা হলেন।
শান্ত ২৮ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এমপি/এসএ/
