প্রিমিয়ার লিগ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে, ৬ ভেন্যুতে বাকি সব খেলা

পেশাদার লিগ কমিটির সভা
চলতি মৌসুমে পেশাদার ফুটবল লিগ মাঠে গড়িয়েছিল দু’টি ভেন্যুতে। ১২ দলের লিগে কোনো দলেরই হোম ভেন্যু ছিল না। দুই রাউন্ডের খেলাও শেষ হয়েছে। তৃতীয় রাউন্ডের খেলা হবে দুই ভেন্যুতে, কিন্তু চতুর্থ রাউন্ড থেকে দলগুলো হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ছয়টি ভেন্যুতে লিগের বাকি ম্যাচগুলো খেলবে। দুই ক্লাবের জন্য থাকছে একটি করে হোম ভেন্যু।
শুক্রবার (১১ ফেব্রয়ারি) পেশাদার লিগ কমিটির সভা শেষে একথা জানান কমিটির চেয়ারম্যান বাফুফের সিনিয়র সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপি।
টঙ্গির আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে নিয়ে আর্চারি ফেডারেশনের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয় বাফুফের। এ নিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলও বিরক্ত প্রকাশ করেন বাফুফের উপর। এরপরই বাফুফে নড়চড়ে বসে। দ্রুত পদেক্ষপ নিয়েই তারা টঙ্গি ভেন্যু বাদ দিয়ে মুন্সিনগঞ্জকে রেখে নতুন আরও পাঁচটি ভেন্যু যোগ করে। এই পাঁচটি হলো সিলেট, গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী ও বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স।
ছয় ভেন্যুতে খেলা আয়োজনের সিন্ধান্ত নেওয়া প্রসঙ্গে আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এজন্য আগের ভেন্যুগুলোতে ফিরে যাওয়া হয়েছে।’
ছয় ভেন্যুর মধ্যে ঢাকা আবাহনী ও রহমতগঞ্জের হোম ভেন্যু সিলেট স্টেডিয়াম। কুমিল্লা স্টেডিয়ামকে হোম ভেন্যু করা হয়েছে ঢাকা মোহামেডান ও চট্টগ্রাম আবাহনীর। রাজশাহী জেলা স্টেডিয়াম হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করবে বাংলাদেশ পুলিশ ও স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। গোপালগঞ্জ স্টেডিয়াম হোম ভেন্যু হিসেবে পেয়েছে উত্তর বারিধারা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। মুন্সিগঞ্জ স্টেডিয়াম শেখ জামাল ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের হোম ভেন্যু। একমাত্র রাজধানীতে হোম ভেন্যু হিসেবে বসুন্ধরা স্পোর্টস অ্যারেনাকে পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।
এমপি/আরএ
