বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | ৩১ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মেসির হ‍্যাটট্রিকে আর্জেন্টিনার গোল উৎসব

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুর্দান্ত ছন্দেই ছিল আর্জেন্টিনা। তবে সবশেষ দুই ম্যাচ একেবারেই ভালো যায়নি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। টানা ১২ ম্যাচ জয় তুলে নেয়া দলটি গেল মাসে হেরে বসে কলম্বিয়ার কাছে। এর ঠিক এক মাস পর, ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হয়েও জয়ের দেখা পায়নি লিওনেল স্কালোনির দল।

টানা দুই ম্যাচের হতাশা কাটিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মতোই। বুধবার ১৬ অক্টোবর ভোরে ঘরের মাঠে বলিভিয়াকে ৬-০ গোলে হারিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। হ্যাটট্রিক করেছেন লিওনেল মেসি। একটি করে গোল পেয়েছেন জুলিয়ান আলভারেজ, আলমাদা এবং লাউতারো মার্টিনেজ।

এস্তাদিও মাস মনুমেন্টালে ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণে রেখে খেলেছে আর্জেন্টিনা। একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা ছিল বলিভিয়া। ১৯ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। লাউতারো মার্টিনেজের অ্যাসিস্টে দারুণ এক গোলে দলকে লিড এনে দেন মেসি।

ম্যাচের ৪৩ মিনিটে আবারও মেসি-মার্টিনেজ জুটি। তবে এবার গোল করেন মার্টিনেজ। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়েন মেসি। তবে সেখানে মার্টিনেজ পাস দেন। বল পেয়ে ফাঁকা জালে গোল দিয়ে লিড দ্বিগুণ করেন ইন্টার মিলানের এই স্ট্রাইকার। বিরতির ঠিক আগে মেসির আরেকটি দুর্দান্ত অ্যাসিস্টে বল জালে জড়ান হুলিয়ান আলভারেজ। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠেন মেসিরা। ৬৯ মিনিটে দলের হয়ে চতুর্থ গোল আসে থিয়াগো আলমাদার পা থেকে। এই গোলে অ্যাসিস্ট ছিল মলিনার। এরপর শুধুই মেসি ঝলক। দুই মিনিটে দুই গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।

৮৪ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে পালাসিওসের কাছ থেকে পাস পেয়ে বলিভিয়ার দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে গোল করেন মেসি। তার দুই মিনিটে পরই ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে নিকো পাজের ব্যাক পাস থেকে দারুণ এক গোল করেন নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন মেসি। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এটি মেসির দশম হ্যাটট্রিক।

বলিভিয়া এই ম্যাচে বলার মতো কোন গোলের সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৬-০ গোলের বিশাল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। ১০ ম্যাচে ৭ জয় ও ১ ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আর্জেন্টিনা। ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কলম্বিয়া।

Header Ad

পালিয়ে থাকা শিল্পীদের প্রকাশ্যে আসার আহ্বান ওমর সানীর

চিত্রনায়ক ওমর সানী। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গেল ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন। কেউ কেউ আবার বিদেশেও পালিয়ে গেছেন। এই তালিকায় দলটির সঙ্গে জড়িত সিনেমা, সংগীত ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বেশ ক’জন তারকাও রয়েছে। আত্মগোপনে থাকা সেইসব তারকাদের উদ্দেশে মুখ খুললেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপেনে থাকা দলটির ‘তোষামদকারী’ শিল্পী ও কলাকুশলীদের প্রকাশ্যে আসার আহ্বান জানিয়েছেন চিত্রনায়ক ওমর সানী। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে ‘ওমর সানী ভ্লগস’ ফেসবুক পেজ থেকে এক ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রায় সাড়ে চার মিনিটের ভিডিওর প্রথমেই ওমর সানী বলেন, যারা ফিল্ম ও সংগীত আর্টিস্ট, আজ তাদের নিয়ে কথা বলব। সরকার পতনের পর যারা পালিয়ে আছো, লোকান্তরে আছো, তাদের উদ্দেশে বলছি কথাগুলো। তোমাদের তো পালিয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। তোমরা দল করেছো, দলের সঙ্গে জড়িত ছিলে। মাঝে-মধ্যে কিছু পকপক করেছ, এই যা..। মার্ডার করো নাই, মার্ডার করছো? হাজার হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠন করেছো? জানি না। আমার মনে হয় পালিয়ে থাকার থেকে প্রকাশ্যে এসে কথা বলা উচিত। হয়তো কিছু মানুষ গালি দিবে, তা সহ্য করতে হবে। কিছু মানুষ বিদ্রূপ করবে। কিন্তু তোমাদের ভুলগুলো, দোষগুলো স্বীকার করতে হবে।

এ অভিনেতা বলেন, পালিয়ে না থেকে আমার কাছে মনে হয় প্রকাশ্যে এসো তোমরা, বলো যে, আমরা অমুকটা করেছি, যা ঠিক হয়নি। অপরাধ করে থাকলে বিচার হবে, বড়জোর কিছুদিন রিমান্ডে থাকতে পারো। আমার কাছে মনে হয় না তোমাদের যে অপরাধ, সেজন্য ফাঁসি হবে। যারা কাপুরুষ, তারা পালিয়ে থাকে। তোমরা শিল্পীরা পালিয়ে থাকবে না।

তিনি বলেন, আমার ফিল্মের সহকর্মী, আর্টিস্ট টেকনিশিয়ানস তোমরা যারা পালিয়ে আছো, তোমাদের তো পালিয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। প্রকাশ্যে চলে আসো। প্রয়োজনে জেলে যাও। জেলে তো রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ অনেকেই যায়।

তিনি আরও বলেন, পালিয়ে থাকার থেকে জেলখানায় থাকাও ভালো। এ জন্যই বলি, পালিয়ে থাকার থেকে প্রকাশ্যে এসে মানুষের সঙ্গে কথা বলো। ধরা দাও, প্রয়োজনে জেলে যাও। আমার দৃষ্টিতে এটাই বলে, তবে কার দৃষ্টিতে কী বলবে তা জানি না আমি। আমার মনে হয়েছে, তোমাদের উদ্দেশে এ কথাগুলো বলা উচিত; আমি বললাম এবং প্রকাশ্যেই বললাম, কিন্তু কে কী ভাবছেন তা জানি না আমি।

এই চিত্রনায়ক বলেন, একটা জিনিস তো সত্য, যে যে লাইনের মানুষ সেই লাইনের মানুষের প্রতি তার তো একটা সফট কর্নার কাজ করে। আমরা কেউ দোষের ঊর্ধ্বে না। আমরা মহামানবও না, নবীও না, কোনো ওলী-আল্লাহ বা দরবেশও না, আবার শয়তানও না। আমরা হচ্ছি নবীর (সা.) উম্মত। আমাদের দোষ থাকতে পারে। কেউই দোষের ঊর্ধ্বে না। এ জন্য আত্মগোপনে থেকে লাভ নেই। প্রকাশ্যে এসে সবার সঙ্গে মিশো এবং নিজের ভুল অনুভব করো।

Header Ad

জাতীয় ৮ দিবস বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের বিবৃতি

ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চসহ জাতীয় আটটি দিবস বাতিলে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বর্তমান সরকার শুরু থেকেই মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও চেতনাবিরোধী কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান সরকার শুরু থেকেই মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও চেতনাবিরোধী কাজ করে আসছে। সুপরিকল্পিতভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্টে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের শত্রুজ্ঞান করছে। জাতীয় রাজনীতি থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার করছে, মিথ্যা মামলায় গণগ্রেপ্তার চালাচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশে নৈরাজ্যবাদ কায়েম করেছে। সরকারের অদক্ষতা ও অনাচারে অতিষ্ঠ মানুষ ইতোমধ্যে বলতে শুরু করেছে, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম আমরা।’

আরও বলা হয়, বাংলা ও বাঙালির সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন ইতিহাসের সন্তান জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতার বিশ্বস্ত সহকর্মীরা, দেশের মুক্তিকামী জনতা ও তার পরিবারের অবদান অমোচনীয়। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণের শিকার হচ্ছে মুক্তির লড়াইয়ের সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও প্রতীকী স্থাপনাসমূহ। এসবের ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত জাতীয় দিবসসমূহ রাষ্ট্রাচার থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা এহেন প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত ৭ মার্চের ঐতিহাসিক জাগরণের ভাষণ দিবস, ১৭ মার্চের শিশু দিবস এবং ১৫ আগস্টের মতো শোক পালনের দিবস রয়েছে। আমাদের জাতীয় ইতিহাস থেকে এসব দিবসের তাৎপর্য কোনো বিবেচনাতেই অস্বীকার করা যাবে না। রিসেট বাটন চেপে কেউ আমাদের ‘দাবায়া রাখতে পারবা না।’ আমাদের প্রত্যাশা হিংসা ও বিদ্বেষের বিপরীতে সকলের যাবতীয় ও জাতীয় ভুলগুলো অন্ধকারে হারিয়ে যাক, আমাদের অন্যায়গুলো বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াক এবং সকল অপশক্তি বিনাশের জন্য আমাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হোক ‘সত্য বল সুপথে চল।’ সরকারের বিদ্বেষে বাতিল হতে যাওয়া দিবসগুলো বাঙালি বরাবরের মতো সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে পরম মমতায় পালন করে দৃঢ়ভাবে বলে উঠবে, ‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে।’

‘রিসেট বাটন চেপে বাঙালির জাতীয় ইতিহাস মুছে ফেলার মাধ্যমে বিভেদ ও প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তির রাজনীতিকে পরিপুষ্ট করতে চাওয়ার এহেন অভিপ্রায় বাঙালি জাতি ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সমগ্র জাতি ও মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এহেন হীন পদক্ষেপের উপযুক্ত জবাব দেবে। ইনশাআল্লাহ্‌।’

এদিকে, সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি এক বৈঠকে আটটি দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। শিগগিরই এসব দিবস বাতিল করে পরিপত্র জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

Header Ad

‘আগে যারা আব্বু আম্মুকে কটু কথা বলতো, তারাই এখন এসে ভালো কথা বলে’

ছবি মার্জ : ঢাকাপ্রকাশ

‘ছোট বেলা থেকেই ফুটবল দেখলে নিজের ভিতর অন্য রকম অনুভুতি কাজ করতো। আমার গ্রামে কোন মেয়ে না থাকায় আমার সমবয়সী সব বন্ধু-বান্ধব, ভাই, ভাতিজা ওদের সাথেই খেলতে যেতাম। তার জন্য আব্বু-আম্মুর অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে। মাঝে মধ্যে ছেলেদের সাথে খেলতে যাওয়ায় মানুষের কটু কথায় আম্মু অনেক মাইর দিছে তবুও ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা আমাকে আটকে রাখতে পারতো না ঘরে। আব্বুর সাপোর্ট ছিলো আগে থেকেই, কিন্তু আম্মু যখন বারণ করেও আমায় আটকে রাখতে পারেনি তখন থেকে আম্মু ও সাপোর্ট করতো। আগে যে মানুষগুলো আব্বু আম্মু কে কটু কথা বলতো তারাই এখন এসে ভালো কথা বলে।’

নওগাঁ জেলার প্রথম প্রমীলা ফুটবলার হিসেবে বাংলাদেশ সাফ প্রমীলা ফুটবল দলের পক্ষে নেপাল খেলতে যাওয়ার পূর্বে আইরিন খাতুন ঢাকাপ্রকাশকে এভাবেই বলছিলেন নিজের অনুভূতি আর প্রত্যাশার নানা কথা।

আইরিন খাতুন বলেন, ‘আমার কোন টিম ছিলো না, আর আমাদের গ্রামে এখন পর্যন্ত কোন মেয়েদের টিম হয় নাই। টিম না থাকায় কোথাও খেলতে পারতাম না, অনুশীলন ও হতো না। পরে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ডাকবাংলো মাঠে আলম ভাই ছেলেদের অনুশীলন করাতো ওখানেই যেতাম মাঝে মধ্যে। প্রতিদিন যাওয়া সম্ভব হতো না, আমার বাড়ি থেকে অনেক দূরে ছিলো মাঠ এবং আব্বুর সামর্থ্যও ছিল না। তখন ও অনেক মানুষের অনেক কতা শুনতে হতো বুঝেন-ই তো গ্রামের মানুষ।’

আইরিন বলেন, “একদিন আমাদের এলাকার পাশে মেয়েদের দুইটা টিমের প্রীতি ম্যাচ ছিলো। আমি জানার পর আমার বাবাকে বলছিলাম ওই টিমে আমি খেলতে পারবো কি না একটু কথা বলার জন্য। বাবা অনেক লাজুক প্রকৃতির মানুষ লজ্জা পায় অনেক, আমাকে বললো ওরা যদি অপমান করে, তোমাকে খেলতে না দেয়। তখন আমি বললাম বাবা তুমি একবার বলেই দেখো। তখন বাবা অনেকক্ষণ চুপ থাকার পর বললো, তোমার বড়আব্বু তো একজন শিক্ষক সে ভালো করে বুঝায় বলতে পারবে আমি ওনাকে বলে দেখি উনি কথা বললে হয়তো ভালো হবে। তারপর আব্বু কল দিলো আমার বড়আব্বুকে, সে কল রিসিভ করে শুনার পরে বললো তার কাজ আছে সে যেতে পারবে না! অজুহাত ছিলো মাত্র, সে কিন্তু বিকেলেও খেলা দেখতে গেছিলো! ( বড়আব্বুর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)। তারপর আব্বু কল কেটে দিয়ে সাহস করে আমাকে নিয়ে ওই টিমের উদ্দেশ্য রওনা দিলো, টিমের কোচের সাথে কথা বললো, বলার পর কোচ আমাকে টিমের সাথে রেখে মাঠে নেয় এবং বলে আমার গ্রামেই যেহেতু খেলা তাই তিনি আমাকে হাফ টাইমের পর মাঠে নামাবেন। আমিও খুব খুশি হইছিলাম। হাফ টাইমের পর আমাকে মাঠে নামায় এবং আমার খেলা দেখে কোচ খুশি হয়। খেলা শেষে কোচ ( মো. বেলাল হোসেন,দিনাজপুর) আমাকে বলে, পরে কোন খেলায় আমাকে ডাকলে আমি খেলবো কি না। আমি এক কথায় উত্তর দিলাম আমি অবশ্যই যাবো। কারন এতদিন পর আমি একটা টিম পাবো ভাবতেই খুশি লাগছিলো। পরে যখন কোন খেলা হতো তখনি আমাকে ডাকতো এবং আমিও খেলতে যেতাম, কখনো আম্মু আবার কখনো আব্বু সাথে যেতো। কিছুদিন দিনাজপুরেও প্রাক্টিস করেছি। বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব ১৭ খেলেছি। পরে কোচ(বেলাল হোসেন, দিনাজপুর) আমাকে ঢাকা লীগে খেলার ব্যাবস্থা করে দেন।”

আইরিনের মা-বাবা

আইরিন খাতুন বলেন, ‘প্রথম লীগে ইনজুরির কারনে দুই ম্যাচে খেলছিলাম তাও ১০ মিনিট মতো হবে। তারপর আবার রাজশাহী বিভাগের হয়ে ঢাকাতে অনুর্ধ ১৭ খেলি। ওখান থেকে ৪০ জনকে বাছাই করে বিকেএসপিতে একটা ক্যাম্প করা হইছিলো, ওখান থেকে ১৫ জনকে স্পেনে পাঠানোর কথা ছিলো। ১৫ জনের মধ্যে ১জন আমিও ছিলাম। এই খবর শুনে আমাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে একটা সাইকেল উপহার দিয়েছিলো। এখন কিন্তু আগের উপজেলা নির্বাহী অফিসার নেই, বদলি হয়ে গেছে। দ্বিতীয় বার নিজেই টিম খুজে নিয়েছিলাম এবং লীগের প্রতিটি ম্যাচ প্রথম ১১ তে খেলেছিলাম, ক্লাবের কোচ আমার খেলা অনেক পছন্দ করতো। তারপর ১বছরেরও বেশি সময় লীগ বন্ধ ছিলো। আবার লীগ শুরুর কথা চললে আগের কোচ আমার কাছে আবদার করে এবং অনেক অনুরোধ করে শেষবার তাদের ক্লাবে খেলতে। অনেকবার বলাই আমি না করতে পারিনি, ওই ক্লাবেই আবার খেলি এবং বাংলাদেশ বয়ঃভিত্তিক জাতীয় দলে খেলার জন্য নির্বাচিত হই। ওই বছরে আমি আমার ক্লাব টিমের অধিনায়ক ছিলাম। বয়ঃভিত্তিক জাতীয় দলে খেলার পর চ্যাম্পিয়ন হই অনুর্ধ ২০ এ, তারপর থেকেই বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা দলের ক্যাম্পে থেকে অনুশীলন চালিয়ে গেছি এবং এবার সাফ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২৪ খেলতে এসেছি।’

শিক্ষা জীবন কোথায় থেকে শুরু প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার জন্মস্থান নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ২নং হাতুড় ইউনিয়নের সাগরইল গ্রামে। বাবা কৃষক আব্দুল আলিম ও মা গৃহিণী ফিরোজা বেগম। বেড়ে উঠা গ্রামে, খেলা শুরুটাও মহাদেবপুরেতে। সব কিছুই মহাদেবপুর কেন্দ্রিক। আমার প্রাথমিক স্কুল জীবন সাগরইল এবতেদায়ী মাদ্রাসা এবং জাহাঙ্গীরপুর মডেল হাই স্কুল মহাদেবপুর থেকে এইচএসসি পাশ করি। ময়মনসিংহ তারাকান্দা ভাষা সৈনিক শামসুল হক কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সবাই আমার জন্য এবং আমাদের টিমের জন্য দোয়া করবেন যাতে আমরা বাংলাদেশকে আরো একটি ট্রফি উপহার দিতে পারি।’

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পালিয়ে থাকা শিল্পীদের প্রকাশ্যে আসার আহ্বান ওমর সানীর
জাতীয় ৮ দিবস বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের বিবৃতি
‘আগে যারা আব্বু আম্মুকে কটু কথা বলতো, তারাই এখন এসে ভালো কথা বলে’
বিদায়ী টেস্ট খেলতে আগামীকাল দেশে ফিরছেন সাকিব
গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা
খুনিদের বিচার করতে ড. ইউনূসকে সরকারে বসানো হয়েছে: ফারুক
ইংল্যান্ডের নতুন কোচ হলেন টমাস টুখেল
ক্যারিবীয়দের ৮৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল শ্রীলঙ্কা
৬ বছর পর মুখ্যমন্ত্রী পেল জম্মু-কাশ্মীর, শপথ নিলেন ওমর আবদুল্লাহ
মাওলানা ভাসানীর অবদান অস্বীকার করেছে আওয়ামী লীগ: তথ্য উপদেষ্টা
কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ
অভিযোগ ওঠা ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত
আ. লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন
এইচএসসি’তে জিপিএ-৫ পেলেন তিশা, ‌‘অভিনন্দন হুররাম’ বললেন মুশতাক
বাচ্চা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন দীপিকা
ডিসেম্বরে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু, ১২০ কিমি গতিতে চলবে ট্রেন
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
জাতীয় শোকসহ ৮টি দিবস বাতিল করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত, আহতের সংখ্যা ৯৯ হাজার ছাড়াল
পাচারকৃত টাকা ফেরাতে জাতিসংঘের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ