বিশ্বকাপ জিতে কত টাকা পেল ভারত?
ছবি: সংগৃহীত
শেষ হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। প্রোটিয়াদের কাঁদিয়ে ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার আক্ষেপ ঘুচিয়েছে ভারত। ২০০৭ সালে প্রথমবার শিরোপা জিতেছিল ভারত, সেটিই ছিল ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের প্রথম বিশ্বকাপ।
এবারের আসর হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। প্রথমবারের মতো ২০টি দল অংশ নিয়েছে এতে। আসরে শিরোপা জেতার পাশাপাশি বিপুল অঙ্কের অর্থও প্রাইজমানি হিসেবে পেয়েছে ভারত।
আইসিসি আগেই ঘোষণা দিয়েছিল এবারের আসরের প্রাইজমানি আগের আসরের দ্বিগুণ হবে। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে রেকর্ড।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলগুলোর অর্থ পুরস্কারের জন্য আইসিসির মোট বরাদ্দ ছিল ১১.২৫ মিলিয়ন ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩২ কোটি টাকার বেশি।
এর মধ্যে শিরোপাজয়ী ভারত পেয়েছে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৯ কোটি টাকা। আর রানার্সআপ হয়ে ১.২৮ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেমিফাইনালে বিদায় নেওয়া ইংল্যান্ড এবং আফগানিস্তান পুরস্কারমূল্য হিসেবে পেয়েছে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
সুপার এইট থেকে বাদ পড়া চার দল পেয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার করে; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই সুপার এইটে উঠে একটি ম্যাচও জিততে না পারা বাংলাদেশও সাড়ে ৪ কোটি টাকা পেয়েছে। বাংলাদেশের সমপরিমাণ টাকা পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া ৯, ১০, ১১ ও ১২ নম্বরে থাকা দল পেয়েছে ২৪৭,৫০০ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ১৩ থেকে ২০ নম্বরে থাকা প্রতিটি দল ২,২৫,০০০ হাজার ডলার পেয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
এছাড়াও সেমিফাইনাল ও ফাইনাল বাদে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য দলগুলো পেয়েছে ৩১,১৫৪ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
এই হিসেবে বাংলাদেশের আয়ের অঙ্ক আরও বাড়বে। বাংলাদেশ মোট ম্যাচ জিতেছি তিনটি। এই তিন ম্যাচ থেকে বাড়তি আয় হয়েছে ১ কোটিরও বেশি। তাই সব মিলিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে বাংলাদেশ।