৩টা জিতেছি, ৩টা হেরেছি, খুব একটা খারাপ নয়: সাকিব
সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
অ্যান্টিগায় সুপার এইটের ম্যাচে ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং পেয়ে ১৯৬ রানের বিশাল পুঁজি গড়ে তারা। জবাবে পুরো ওভার ব্যাট করেও বাংলাদেশ ১৪৬ রানের বেশি করেনি। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তিন ম্যাচ জিতে সুপার এইটে খেলছে বাংলাদেশ। আপাতদৃষ্টে একে উন্নতি বা সাফল্য বলাই যায়। কিন্তু একটু গভীরভাবে দেখলে এটুকু সাফল্য যথেষ্ট কি না, কেউ চাইলে সে প্রশ্ন তুলতেই পারেন।
এদিকে ভারতের কাছে গতকাল ৫০ রানের বড় ব্যবধানে হারের পর বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলেছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি অবশ্য নিজেদের পারফরম্যান্স ‘খারাপ নয়’ বলেই মন্তব্য করেছেন। বলেছেন, ৫০ শতাংশ সাফল্য পেয়ে মোটামুটি একটা অবস্থানে আছেন তাঁরা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বকাপে নিজেদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করতে গিয়ে সাকিব বলেছেন, যদি ফলের দিক থেকে বলেন, তবে আমি বলব আমরা মোটামুটি একটা অবস্থানে আছি। আমরা ৩টা জিতেছি, ৩টা হেরেছি। ৫০ শতাংশ (সাফল্য)। সেদিক থেকে খুব একটা খারাপ নয়। তবে আমরা যেভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে লড়াই করেছি, এই দুইটা (সুপার এইট) ম্যাচের একটাতে যদি সেভাবে লড়াই করতে পারতাম, তখন বিশ্বকাপটা আমাদের জন্য সফল একটা টুর্নামেন্ট হতো। সে জায়গায় আক্ষেপ আছে।
বিশ্বকাপে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার বিপরীতে আলো ছড়িয়েছেন বোলাররা। তবে উইকেটের সহায়তা না পেলে বোলাররা কতটা ভালো করতেন, সে প্রশ্নও তুলেছেন সাকিব, বোলিংয়ের ব্যাপারটা হচ্ছে, আমরা যখন উইকেটের একটু সুবিধা পাই, তখন আমাদের দল অনেক ভালো বোলিং করে। ফ্ল্যাট উইকেটে আমাদের এখনো অনেক উন্নতির জায়গা আছে। যেহেতু এবারের উইকেটগুলো বোলারদের জন্য একটু মানানসই ছিল, আমরা অসাধারণ বল করেছি। বোলারদের অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে। যেভাবে তারা বল করেছে, সেটা কেড়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।
ব্যাটসম্যানরা কেন পারেন না, সে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সাকিব বলেছেন, ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে যখন ফ্ল্যাট উইকেটে খেলা হয়, ১৮০–২০০ রানের উইকেটে খেলা হয়, তখন আমরা পিছিয়ে যাই। আমরা ১৩০, ১৪০ বা ১৫০ রানের খেলাটা ভালো জানি। এ ধরনের খেলা খেলেই আমরা অভ্যস্ত। এটা আমাদের কাছে অনেক পরিচিত।
এদিকে টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সময় শান্ত জানান, প্রতিপক্ষকে ১৫০ থেকে ১৬০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারলে ম্যাচ জিততে পারেন তারা। কিন্তু বাস্তবতার কাছাকাছিও ছিলো না তার পর্যবেক্ষণ।
এ প্রসঙ্গে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব জানান তার কাছেও মনে হয়েছে আগে ব্যাটিং করাই ছিলো আদর্শ। তিনি বলেন, আপনি যদি ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করেন ক্যারিবিয়ানে দুই একটা ম্যাচ ছাড়া (আগে ব্যাটিং উপযোগী)। ইংল্যান্ড শুধু ১৮০ তাড়া করেছিল। এছাড়া শুরুতে ব্যাটিং নেওয়াই ট্রেন্ড বেশিরভাগ দলের, তারা সফলও এটা করে। পরিসংখ্যান দেখলে আগে ব্যাট করাই আদর্শ হতো। অধিনায়ক ও কোচ হয়ত অন্যভাবে চিন্তা করেছেন। আমরা হয়ত ভেবেছি তাদের নাগালের মধ্যে আটকে রাখতে পারব।
এই সিদ্ধান্তে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে তার কোন অভিমত দেয়ার ছিলো কিনা এমন প্রশ্ন এড়িয়ে তিনি বলেন, দলের যখন নেতা একজন থাকবে সিদ্ধান্ত তার। যদি ভাল করতে পারতাম অধিনায়কের কৃতিত্ব হতো। খারাপ করলে তাদের সিদ্ধান্তের উপর আমরা প্রশ্ন রাখি। এটা খুবই যুক্তিযুক্ত। এটা এভাবেই হয়। যদি প্রথম দুই ওভারে দুটি উইকেট নিয়ে নিতাম তাহলে মনে হতো ব্যাটিং করলে ভালো হতো। নিতে পারিনি তাই এখন মনে হচ্ছে আগে ব্যাট করলে ভালো হতো।