বোলিং করতে না পারলে সাকিবকে বাদ দেওয়া উচিত: তামিম
তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশের খেলা দুই ম্যাচেই ব্যর্থ সাকিব আল হাসান। দুই ম্যাচেই বল হাতে পাননি কোনো উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তো অধিনায়ক শান্ত এক ওভারের বেশি বল করানোর সাহসই করেননি। তবে সাকিবের ব্যর্থতা আরও বড় হয়ে ফুটেছে ব্যাট হাতে। দুই ম্যাচেই দলের চরম গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছেন সাকিব।
ক্রিকইনফোর টাইম আউট অনুষ্ঠানে দলের সেরা বোলার হিসেবে বোলিংয়ে সাকিবকে কেন ৪ ওভার করানো হলো না?- তা জানতে চাওয়া হয়েছিল সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের কাছে।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে সাকিব-তামিমের সম্পর্কের অবনতিমূলক পরিস্থিতি। গত বিশ্বকাপের আগে তামিমকে আনফিট বলে দলে না রাখার কথাই বলেছিলেন সাকিব। তামিম উত্তরে দিয়েছেন ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা, ‘সে আমাদের সেরা বোলার। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে এ নিয়ে। হ্যাঁ, আমিও বলব-সাকিব ৪ ওভার বোলিং করতে না পারলে বাদ দেওয়া উচিত।’
এদিকে ভারতের সাবেক তারকা ওপেনার বিরেন্দর শেবাগতো সাকিবকে লজ্জায় অবসরেই চলে যেতে বলেছেন। তবে পরের ম্যাচ সেন্ট ভিনসেন্টে হওয়া তামিম সাকিবের অভিজ্ঞতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন, ‘সেন্ট ভিনসেন্টে আমরা সবশেষ খেলেছিলাম ১০ বছর আগে। সেখানে সাহায্য পাবেন স্পিনাররা। সাকিবের সঙ্গে হয়ত খেলানো হবে বাঁহাতি স্পিনারকে তানভিরকে। দুজনই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে ম্যাচটিতে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার নিয়ে তামিম জানিয়েছেন হতাশা। ধরিয়ে দিয়েছেন ম্যানেজমেন্টের ভুলও, ‘আমরা দেখেছি এই স্টেডিয়ামে অল্প রানের ম্যাচও জেতাচ্ছে বোলারারা। আর হেরে যাওয়া দল অলআউট কিন্তু হচ্ছে না। আমরাও হইনি। এ ধরনের পরিস্থিতিতে জাকের আলী বা রিশাদ হোসেনকে আগে পাঠানো যেত (যেটা ভারত পাঠিয়েছিল অক্ষর প্যাটেলকে)। আর তাকে বলতে হত, ৬ বলে ১২ করে আস, আউট হলেও সমস্যা নেই। পরে দায়িত্ব নেবে সিনিয়ররা। এ ধরনের কিছুর অভাব ছিল আমাদের।’