ফিফার তহবিল থেকে হবে নারী ফুটবলারদের বেতন
বাংলাদেশ জাতীয় দলের নারী ফুটবলাররা। ছবি: সংগৃহীত
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকেই বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সদস্যরা। ফুটবলারদের সেই দাবি আমলে নিয়ে বেতন বাড়ালেও তা নিয়মিত দিতে পারেনি বাফুফে। সেই সমস্যার সমাধান হিসেবে এবার ফিফার অনুদান থেকে সাবিনাদের বেতন দেয়ার অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) দেওয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সাড়া দিয়ে ফিফা জানিয়েছে, তাদের অনুদানের অর্থ থেকে নারী ফুটবলারদের বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। এই খবরটি যেমন সাবিনা খাতুনদের জন্য স্বস্তিদায়ক, ঠিক তেমনি বাফুফের জন্যও স্বস্তিদায়ক।
ফিফার অনুদানের অর্থে নারী ফুটবলারদের বেতন দেওয়া প্রসঙ্গে বাফুফের নারী উইং কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানিয়েছেন, এ জন্য ফিফাকে অনুরোধ করে একটি চিঠি দিয়েছিলেন তারা। আগে ফিফার অনুদান থেকে মেয়েদের বেতন দেওয়ার সুযোগ ছিল না। তাই মেয়েদের বেতনের অর্থ অন্যভাবে জোগাড় করতে হতো। এখন ফিফার অনুদান থেকে নারী ফুটবলারদের বেতন দেওয়া যাবে। এতে কোনো বাধা নেই।
বাফুফের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ ১৫ ফুটবলার মাসে ৫০ হাজার টাকা করে বেতন পেয়েছেন। এ ছাড়া ১০ জন ৩০ হাজার টাকা করে, ৪ জন ২০ হাজার করে এবং ২ জন ১৮ হাজার টাকা করে পেয়েছেন । মোট ৩১ ফুটবলারের জন্য বেতনের অর্থের পরিমাণ ছিল ১১ লাখ টাকার বেশি। এই অর্থ অন্যভাবে জোগাড় করতে হতো বাফুফেকে। এবার ফিফার অনুদান থেকে অর্থ প্রদানের অনুমতি পাওয়ায় আর বেগ পেতে হবে না দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে।
এবার পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে আগামী মে থেকে নারী ফুটবলারদের সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে যাচ্ছে বাফুফে। তবে তাদের আর বেতন বাড়ছে না। বেতনের পরিমাণ আগের মতোই থাকবে। যদিও সাবিনারা বেতন বাড়ানোর আবেদন করে সাড়া পাননি। মূলত ২০২২ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের পর নারী ফুটবলারদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবি ওঠে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন বেতন কাঠামোর মধ্যে রাখা হয় নারী ফুটবলারদের। তবে তাদের বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছিল বাফুফে। এবার স্বস্তি ফিরছে তাদের। ফিফার অর্থে মেয়েদের বেতন দেবে বাফুফে।