প্রথমবার আইসিসির আম্পায়ারিং প্যানেলে ৫ বাংলাদেশি নারী
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির আম্পায়ারিং ডেভলপমেন্ট প্যানেল প্রথমবারের মতো যুক্ত করেছে পাঁচ বাংলাদেশি নারীকে। চার আম্পায়ারের সঙ্গে আছেন একজন ম্যাচ রেফারি। নারী আম্পায়ার হিসেবে যুক্ত হয়েছেন- সাথিরা জাকির জেসি, রোকেয়া সুলতানা, ডলি রানি সরকার এবং চম্পা চাকমা। এছাড়া ম্যাচ রেফারি হিসেবে সুপ্রিয়া রানী দাস ওই প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
বিসিবিকে পাঠানো এক বিবৃতিতে আইসিসি চারজনকে আম্পায়ারিং ডেভলপমেন্ট প্যানেল এবং একজনকে ম্যাচ রেফারি প্যানেলে যুক্ত করার বিষয়টি জানিয়েছে। যেখানে বলা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানায়নি বিসিবি।
শনিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশের পাঁচ নারীকে প্যানেলে যুক্ত করে এক বার্তায় তা বিসিবিকে জানিয়েছে আইসিসি।
আইসিসি জানায়, ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন চার আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি, রোকেয়া সুলতানা চৌধুরী, ডলি রানি সরকার ও চম্পা চাকমা। ম্যাচ রেফারি সুপ্রিয়া রানি দাস সুযোগ পেয়েছেন আন্তর্জাতিক প্যানেলে।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমকে বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেছেন, নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য এটি বড় অর্জন। বিশেষ করে মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য। তারা ভালো করেছে বলেই আইসিসির নজরে এসেছে। এতদিন মেয়েরা ক্রিকেট খেলত। এখন এটাকেও ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারবে।
নারী ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন তিনি, আমার লক্ষ্য হচ্ছে, এরা যদি ভালো করে, তাহলে বাংলাদেশে পরবর্তী যে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে, এখানে যদি আমরা কয়েকজন বাংলাদেশি আম্পায়ার দেখতে পারি, এটার থেকে বড় কিছু অর্জন তো আর হতে পারে না।
দেশের নারী আম্পায়ারিংয়ে ইতিহাস গড়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সাথীরা জাকির জেসি। তিনি লিখেছেন, ‘আমি খুশি, কারণ আমি কৃতজ্ঞ। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আজ থেকে আমি আইসিসির নারী ডেভলপমেন্ট প্যানেলের অংশ। এজন্য বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মিঠু ভাই, ওমর রতন ভাই, অভি ভাই, বুলবুল ভাই, তৌহিদ ভাই ও মুন্না ভাইসহ সবাইকে ধন্যবাদ। যারা আমার চলার পথকে সহজ করেছেন। এমন আনন্দের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশের মতো নয়। পরবর্তী অধ্যায় শুরু করতে মুখিয়ে আছি।’
বিসিবির সাম্প্রতিক দুই আম্পায়ারকে যুক্ত করার ঘোষণা দেওয়ার আগে চুক্তিতে এতদিন কোনো নারী আম্পায়ার ছিলেন না। পুরুষ আম্পায়াররা আরও আগে থেকেই চুক্তিতে থাকলেও ছিল না নারী আম্পায়ারদের কদর। প্রাথমিকভাবে চুক্তিতে আসা দুই নারী আম্পায়ার যুক্ত হচ্ছেন ট্রেইনি হিসেবে। যে কারণে তাদের টাকার অঙ্কটা একটু কম থাকবে বলে জানান আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, চলমান ডিপিএল দিয়েই তাদের আম্পায়ারিং শুরু হচ্ছে। একজন থার্ড আম্পায়ার বা একজন অনফিল্ড আম্পায়ার এভাবেই শুরু হবে ধীরে ধীরে। নারী-পুরুষ মিলিয়ে বর্তমানে ২৬ জন আম্পায়ার বিসিবির চুক্তিতে রয়েছেন।