সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরদিনই সাকিব আল হাসানের ক্রিকেটে ফেরার লড়াই শুরু হয়ে গেল। আজ সোমবার (০৮ জানুয়ারি) ট্রেনার ডাক্তার ও কোচ নিয়ে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরে ট্রেনিং শুরু করেছেন তিনি।
বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সাকিব ইনডোরে প্রবেশ করেন। আসার আগে অনুশীলনের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন। ইনডোরে সাকিবের প্রবেশের আগে আসেন কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। এরপর ট্রেনার বায়েজেদুল ইসলাম, তুষার কান্তি দাস হাওলাদার ও চিকিৎসক মনজুর হোসেন আসেন ইনডোরে। সবাই ইনডোরে প্রবেশের পর একটি কালো মাইক্রোবাস যোগে সাকিব আসেন।
বিশ্বকাপ থেকে ফিরে সাকিব ব্যস্ত হয়ে যান নির্বাচনী প্রচারণায়। এটি চলে গতকাল ভোটের দিন পর্যন্ত। মাগুরা-২ আসন থেকে প্রায় দুই লাখ ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর ভোর রাতে সাকিব ঢাকায় ফেরেন। দুপুরে আসেন মিরপুরে।
১১ দিন পর শুরু হবে দেশের ক্রিকেটের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। সাকিব খেলবেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। মাগুরায় নির্বাচনী প্রচারণার ফাঁকে ফিটনেসের কাজ করছিলেন। এবার ব্যাটে-বলের লড়াই শুরু।
দেশের পাঁচ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক সতর্কবার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপিতে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের অন্য এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশেরর কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
ফাউলের ছড়াছড়ি আর সমানতালে মারামারির প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা করেছিলেন লাটিন ফুটবলের ভক্তরা। তবে এবারও আশাহত হয়েছেন তারা। দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের চিত্র না পাল্টালে আর কোনো দলই প্রত্যাশিত গোলের দেখা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে সেলেসাওদের আশা গুঁড়িয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে উঠল উরুগুয়ে।
রোববার (৭ জুলাই) কোয়ার্টার-ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় গোলশূন্য সমতায়। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জেতে উরুগুয়ে।
লাস ভেগাসে প্রথমার্ধের শুরুতে সেভাবে আক্রমণে যেতে পারেনি সেলেসাওরা। অন্যদিকে ব্রাজিলের রক্ষণভাগকে বেশ চাপে রেখেছিল উরুগুয়ে।
ছবি: সংগৃহীত
ম্যাচের ১৮তম মিনিটে ডারইউন নুনেজের দুর্দান্ত এক হেড রুখে দেন ব্রাজিলের ডিফেন্ডাররা। এক মিনিট ব্যবধানে ফের আক্রমণে আসে উরুগুয়ে। কর্নার থেকে নিকোলাস ডে লা ক্রুস শট মাথিয়াস ওলিভেরা মাথায় লেগে গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ তৈরি করেছিল উরুগুয়ে। গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায় নুনেজের হেড।
সেখান থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে যায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বল নিয়ে একাই উরুগুয়ের রক্ষণভাগে ঢোকেন রাফিনহা। গোলকিপারকে পরাস্ত করে লক্ষ্যভেদ করতে না পারলেও কর্নার আদায় করে নেন বার্সেলোনোর এই ফরোয়ার্ড। তবে কর্নার কিক থেকেও আসেনি প্রত্যাশিত গোল।
ইনজুরি টাইমে ব্রাজিলও আক্রমণে এসেছিল। তবে গোলরক্ষক সার্জিও রচেটের দেয়াল ভাঙতে পারেননি রাফিনহা। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ম্যাচের ৪৭তম মিনিটে ভালো সুযোগও পেয়েছিল উরুগুয়ে। কিন্তু ভালবার্দের দূরপাল্লার শট সহজেই প্রতিহত করেন অ্যালিসন বেকার।
এরপর ৫২তম মিনিটে দানিলোর গায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় ডারউইন নুনেজের শট। ৬২তম মিনিটে ভালবার্দের দূরপাল্লার আরেকটি গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় উরুগুয়ে। রদ্রিগোকে পেছন থেকে পায়ে ট্যাকেল করে লাল-কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন নান্দেজ।
সেই সুযোগে একের পর এক আক্রমণ চালায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে এন্ড্রিকের শট সহজেই তালুবন্দী করেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক সার্জিও রোচেত। টানটান উত্তেজনা আর উত্তাপের ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই।
ফলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে ব্রাজিলকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি টেকসই কৃষি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়েছে।
৭ জুলাই কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা-২০২১ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী কৃষিক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ এআইপি সম্মাননা-২০২১ প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে যারা এ স্বীকৃতি পাচ্ছেন তাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করি। সার ডিলার নিয়োগ নীতিমালা-২০০৯, জাতীয় কৃষিনীতি-২০১৮, জাতীয় জৈব কৃষিনীতি-২০১৬, সমন্বিত ক্ষুদ্রসেচ নীতিমালা-২০১৭, জাতীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতি-২০২০, বাংলাদেশ উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা-২০২০ সহ বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা প্রায় ২ কোটি কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ করেছি। প্রায় ১ কোটি কৃষকের ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা খামার যান্ত্রিকীকরণের জন্য ৩০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ শুরু করেছি। বর্তমানে এ ভর্তুকি ৫০ শতাংশে এ উন্নীত করা হয়েছে এবং হাওড় এলাকার জন্য তা ৭০ শতাংশ করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে চাষাবাদ পদ্ধতিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে এবং কৃষিজ উৎপাদন ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডাল, তেল, মসলা ও ভুট্টাসহ ২৪টি ফসল উৎপাদনে ৪ শতাংশ সুদে বিশেষ কৃষিঋণ চালু করা হয়েছে। কীটনাশকের ব্যবহারকে কমিয়ে আনা হয়েছে। মাটি, জলবায়ু ও এলাকা উপযোগী ফসল নির্বাচন এবং উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ‘ক্রপ জোনিং ম্যাপ’ প্রণয়ন করা হয়েছে।