বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলা আর্জেন্টাইন ফুটবলার ছুরিকাহত হয়ে হাসপাতালে
ছবি সংগৃহিত
সাবেক এই ফরোয়ার্ড এজেকিয়েল লাভেজ্জিকে তাঁরই পরিবারের এক সদস্য ছুরিকাঘাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পেটে ছুরিকাঘাতে আহত লাভেজ্জিকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। গতকাল বুধবার উরুগুয়ের মালদোনাদোয় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস ও ক্লারিন।
২০১৯ সালে খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলার পর থেকেই পরিবার নিয়ে উরুগুয়েতে থাকেন লাভেজ্জি। আর্জেন্টিনার হয়ে ৫১ ম্যাচে ৯ গোল করা ফরোয়ার্ড ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালেও খেলেছেন।
টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল ভোরে পরিবারের সঙ্গে পার্টিতে ছিলেন লাভেজ্জি। এ সময় তাঁর সঙ্গে প্রেমিকাও ছিলেন। পার্টিতেই পরিবারের কেউ তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন।
এতে পেটে ও কলারবোনে (কণ্ঠাস্থি) ক্ষত সৃষ্টি হলে জরুরি সেবা সংস্থাকে ফোন দেওয়া হয়। জরুরি সেবায় নিয়োজিতরা এসে তাঁকে মালদোনাদোর কান্তেগ্রিল সানাতোরিয়াম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার অগুস্তিনির অধীন চিকিৎসাধীন আছেন ৩৮ বছর বয়সী লাভেজ্জি।
তবে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, লাভেজ্জিকে কেউ ছুরিকাঘাত করেনি। আলোক বাতি পরিবর্তন করতে গিয়ে মই থেকে পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন।
ক্লারিন জানিয়েছে, স্থানীয় পুলিশ লাভেজ্জির ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করতে পারেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি।
উরুগুয়ের পত্রিকা এল অবজারভাদর পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, পার্টিতে পরিবারেরই কেউ লাভেজ্জিকে ছুরিকাঘাত করেছেন। এ ঘটনার পর গতকাল স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় জরুরি সেবা সংস্থাকে ফোন করা হয়।
এল অবজারভাদর আরও জানিয়েছে, টাকাপয়সা নিয়ে পারিবারিক ঝামেলার কারণে লাভেজ্জির পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ছুরিকাঘাতের পর পাশে থাকা একটি আসবাবের ওপর পড়ে গেলে তাঁর কলারবোন ভেঙে যায়। তবে মেইল অনলাইন প্রকাশিত পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০ ডিসেম্বর ভোর ৫টায় পুলিশ অ্যারেনাস দে হোসে ইগনাসিওতে পৌঁছায়, সেখানে জরুরি সেবা চাওয়া হয়েছিল।’
২০০৮ অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার হয়ে লিওনেল মেসি ও আনহেল দি মারিয়াদের সঙ্গে স্বর্ণপদক জিতেছেন লাভেজ্জি। ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালের পরের দুই বছর দুটি কোপা আমেরিকা ফাইনালেও দলের অংশ ছিলেন। কিন্তু এই তিন টুর্নামেন্টের একটিতেও আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। ২০১৬ কোপা আমেরিকায়ই শেষবার আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছেন। ২০১৭ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের স্কোয়াডে থাকলেও তাঁকে মাঠে নামানো হয়নি। এরপর জাতীয় দলে আর কখনো ডাকও পড়েনি।
শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে লাভেজ্জির যাত্রা শুরু হয়েছিল আর্জেন্টাইন ক্লাব এস্তুদিয়ান্তেসকে দিয়ে। এরপর খেলেছেন আরেক স্বদেশি ক্লাব সান লরেঞ্জোতে। ২০০৭ সালে ডিয়েগো ম্যারাডোনার ক্লাব নাপোলিকে দিয়ে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের সঙ্গে লাভেজ্জির পরিচয় হয়। এরপর খেলেছেন পিএসজিতে। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে চলে যান চীনে। চার মৌসুম খেলেন হেবেই চায়না ফরচুনে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে এ ক্লাবের হয়েই পেশাদার ফুটবলে শেষ ম্যাচ খেলেন।