বিশ্বকাপের পর এবার এশিয়া কাপ জয় করলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯
ছবি সংগৃহীত
বিশ্বকাপের পর এবার এশিয়া কাপ শিরোপাও জয় করলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ২৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
জুনিয়র টাইগারদের দেয়া পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৪.৫ ওভারে মাত্র ৮৭ রানে গুটিয়ে যায় আমিরাতের ইনিংস। এর ফলে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে স্বাগতিকদের ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রান তাড়া করতে নেমে যুবা টাইগার পেসারদের তোপে পড়ে স্বাগতিক দলের ব্যাটাররা। দলীয় ১২ রানে আরিয়ানশ শর্মা, ২৮ রানে আকশাত রাই, ৩৫ রানে তানিশ সুরি, ৩৯ রানে এথান ডি’সুজা ও ৪৫ রানে আফজাল খান সাজঘরে ফেরেন।
দলীয় ৬১ রানে আরব আমিরাত ২ উইকেট হারায়। ইকবাল হোসেন ইমনের ওভারে ইয়াইন রাইয়ের পর বিদায় নেন আম্মার বাদামিও। এরপর ৭১ রানে হার্দিক পাই, ৭২ রানে আয়মান আহমেদ ও ওমিদ রহমান ৩ রানে আউট হন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ধ্রুব পারাশর।
অপরদিকে বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন বর্ষণ ও মারুফ মৃধা। এ ছাড়াও ইকবাল হোসেন ও পারভেজ নেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে আশিকুর রহমান শিবলির সেঞ্চুরিতে ২৮২ রান করে টাইগার যুবারা। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কিন্তু শিবলি ও মো. রিজওয়ানের ব্যাটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলার যুবারা। ১২৫ রানের বড় জুটি করেন তারা। রিজওয়ান ৭১ বলে ৬০ রান করে আউট হন ধ্রুব পারাশরের ওভারে। এরপর শিবলিকে ৮৬ রানের জুটিতে সঙ্গ দেন আরিফুল ইসলাম। এই সময় ১২৯ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন শিবলি।
ঠিক ৫০ রান করে আউট হন আরিফুল। এরপর আহরার আমিন ৫ ও শিহাব জেমস ৩ রান করেন। তাদের বিদায়ের পর দারুণ এক ক্যামিও ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ১১ বলে ২ চার ও এক ছয়ে ২১ রান করেন তিনি। শিবলি শেষ পর্যন্ত ১৪৯ বলে ১২৯ রান করেন। তার ইনিংসে আছে ১২টি চার ও একটি ছয়ের মার।
চলতি এশিয়া কাপে এটি ছিল শিবলির দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। আগের চার ম্যাচে দুটি অর্ধশতক ও একটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ১১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৭১ রান করেন তিনি। এরপর জাপানের বিপক্ষেও খেলেন ৫৫ রানের অনবদ্য এক ইনিংস।
বল হাতে আমিরাতের আয়মান তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া ওমিদ রহমান ২টি এবং হার্দিক পাই ও ধ্রুব পারাশার ১টি করে উইকেট নেন।