৭১ টিভিকে মুশফিকের আইনি নোটিশ
ছবি: সংগৃহীত
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে হাত দিয়ে বল ফিরিয়ে আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ক্রিকেট আইনে যাকে বলে অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট বা হ্যান্ডলিং দ্য বল আউট। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এই আউট হয়েছেন ডানহাতি এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
যা নিয়ে ‘মিরপুর টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ের গন্ধ! সন্দেহ সিনিয়র ক্রিকেটারের দিকে!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় ৭১ টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান খেলাযোগের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে। মনগড়া, অসত্য, উদ্দেশ্য-প্রণোদিত তথ্য পরিবেশন করার অভিযোগে ৭১ টেলিভিশনের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের পক্ষে একাত্তর টেলিভিশনের হেড অফ নিউজ, ক্রীড়া সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সাইফুল রূপককে আইনি নোটিশ পাঠালেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। আইনি নোটিশে চারটি বিষয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্পত্তি চাওয়া হয়েছে।
আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, এই প্রতিবেদনের কারণে পারিবারিক, সামাজিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে মুশফিকের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিনি এই বিকৃত তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদনের কারণে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত সময় পার করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
যে চারটি বিষয়ে নিষ্পত্তি চাওয়া হয়েছে :
১. অতি সত্ত্বর ইউটিউবসহ অন্যান্য প্লাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অসত্য ও মনগড়া প্রতিবেদনটি সরিয়ে ফেলতে ও সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ।
২. ভুল ও অসত্য এবং মানহানিকর তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদনের জন্য ৭১ টেলিভিশনকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনাসহ তাদের টিভি চ্যানেলে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রচার করতে বলা হয়েছে ।
৩. ৭১ টেলিভিশনকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাদের এই মনগড়া, ভুল প্রতিবেদনের জন্য নি:শর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
৪. সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সাইফুল রূপককে ভবিষ্যতে এমন অসত্য ও মনগড়া প্রতিবেদন না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে মর্মে মুশফিকুর রহিমের নিকট লিখিত ভাবে ৭১ টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে ।
উক্ত প্রতিবেদন সাংবাদিকতার নীতি-আদর্শ মেনে করা হয়নি উল্লেখ করে একাত্তর টিভির মতো সুপরিচিত চ্যানেলে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ অপ্রত্যাশিত বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। নোটিশে উক্ত প্রতিবেদন দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মানহানির অপরাধ ও সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ এর ২৫(১)(ক), ২৫(২) এবং ২৯ ধারায় সাইবার বুলিং-এর অপরাধ উল্লেখ করে প্রতিকার না পেলে ফৌজদারি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের দেওয়ানী আদালতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।