মুশফিকের কড়া সমালোচনায় তামিম
ছবি: সংগৃহীত
বুধবার মিরপুরে ব্যাটিংয়ে থেকে হাত দিয়ে বল ধরার কারণে আউট হওয়া প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইতিহাস তৈরি করেছেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের ওই আউট দেখার পর অবাক হয়ে গিয়েছেন তামিম ইকবাল। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় কড়া শব্দে সমালোচনা করেছেন মুশফিকের। প্রসঙ্গত, তামিম এই সিরিজ খেলছেন না। কিন্তু ধারাভাষ্য দিচ্ছেন।
মুশফিক যে সময়ে ব্যাট করছিলেন, তখন ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন তামিম। তিনি বলে ওঠেন, “একজন ক্রিকেটার, যে ৮০টারও বেশি ম্যাচ খেলেছে, তার জানা উচিত এ ধরনের কাজ করা যায় না। অনুশীলনে এ রকম কাজ করার অভ্যেস থাকলে তবেই এটা হতে পারে। নেটে ব্যাট করার সময় অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাটারেরা বল হাতে ধরে এবং বোলারকে সেটা ফিরিয়ে দেয়। হয়তো অজান্তেই মুশফিক সেই কাজ করে ফেলেছে এবং হাত দিয়ে বল ধরে নিয়েছে। কিন্তু সেটা কোনও অজুহাত হতে পারে না।” তামিমের সঙ্গেই ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার আতহার আলি খান। তিনিও বিস্ময়ে অবাক হয়ে যান।
ম্যাচের ৪১তম ওভারে এই ঘটনা ঘটে। কাইল জেমিসনের একটি শর্ট লেংথ বল ক্রিজে দাঁড়িয়ে খেলেন মুশফিকুর। সেটি পিচে ড্রপ করে লাফিয়ে ওঠে। মুশফিকুর আচমকা সেই বল হাত দিয়ে ঠেলে সরিয়ে দেন। সেই বলটি উইকেটে লাগার সম্ভাবনা প্রায় ছিলই না। কিন্তু যেহেতু বলটি ‘ডেড’ হওয়ার আগেই মুশফিকুর ইচ্ছাকৃত ভাবে হাত দিয়ে সরিয়ে দেন, তাই নিউ জ়িল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করেন।
মাঠে থাকা আম্পায়ারেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তাঁরা তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্ত নিতে পাঠান। তৃতীয় আম্পায়ার আহসান রাজা মুশফিকুরকে আউট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এই আউট হওয়ার আগেও মুশফিকুর একই কায়দায় হাত দিয়ে বল সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সে বার তাঁর হাতে বল লাগেনি। অর্থাৎ হাতের সঙ্গে বলের সংযোগ হয়নি। তাই কিউয়ি ক্রিকেটারেরাও আবেদন করেননি। মুশফিকুর ৮৩ বলে ৩৫ রানে আউট হয়েছেন।
ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, এটি আগে ‘হ্যান্ডলিং দ্য বল’ নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে ক্রিকেটীয় আইনে এই আউটের নাম বদল করা হয়। আইনের ৩৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, এই আউট ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’-এর আওতায় পড়ে। ৩৭.১.২ আইন অনুযায়ী, বল ডেলিভারি হওয়ার পর যে হাতে ব্যাট ধরা নেই সেই হাত দিয়ে যদি ব্যাটার বলকে আটকানোর চেষ্টা করেন অথবা বল ব্যাটে প্রথম বা দ্বিতীয় বার লাগার পর যদি হাত দিয়ে সরিয়ে দেন, তা হলে তা অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডের আওতায় পড়ে।