পাকিস্তানের বাদ পড়তে লাগল মাত্র ১০ ওভার
ছবি: সংগৃহীত
আজ ইংল্যান্ডের নিজেদেরই সমীকরণ আছে । কোনো নাটকীয়তা ছাড়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে চাইলে আজ ইংল্যান্ডকে জিততে হবে। না হলে, আজ একটু মজা জমিয়ে রাখার জন্য হলেও টস জিতে ফিল্ডিং নিতে পারতেন জস বাটলার।
নিউজিল্যান্ডকে টপকে সেমিফাইনালে যেতে হলে অসম্ভব এক কাজ করতে হতো পাকিস্তানকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮৭ বা এর চেয়ে বেশি ব্যবধানে জিততে হবে। অথবা তাড়া করতে নেমে লক্ষ্য বিবেচনায় তিন থেকে চার ওভারের মধ্যে ম্যাচ শেষ করতে হবে।
এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের অবস্থা যত বাজেই হোক না কেন, ইংল্যান্ড এত কম রান করবে যা পাকিস্তান তিন ওভারেই তাড়া করে ফেলবে, এটা অবিশ্বাস্য। তাই পাকিস্তানের আজ আগে ব্যাট করাটাই ছিল রোমাঞ্চ টিকিয়ে রাখার একমাত্র উপায়। কিন্তু বাটলার সে ঝুঁকি নেননি। নিজেরাই আগে ব্যাট করতে নেমেছেন।
এই অবস্থায় ইংল্যান্ড যদি ব্যাটিং ধসে পড়ত, তাহলেই শুধু আশা ছিল পাকিস্তানের। নিজের প্রথম ওভার মেডেন দিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। কিন্তু হারিস রউফ এসে প্রথম বলেই ওয়াইডে দিয়েছেন পাঁচ রান। শাহিন তবু ইংল্যান্ডকে ৩ ওভারে ৮ রানের মধ্যে আটকে রেখেছিলেন। হারিস রউফের দ্বিতীয় ওভারেই হলো সর্বনাশ। তিন চারে এল ১৩ রান। তাতে ইংল্যান্ডের রান ২১। ইংল্যান্ড এরপর যদি রূপকথার জন্ম দিয়ে অলআউটও হতো, পাকিস্তানকে সে রান তাড়া করতে হতো ২ ওভারের মধ্যে। আর ছক্কা মেরে ২৭ রানে পৌছাতে পারলে ২ ওভার ২ বল পর্যন্ত সময় পেত পাকিস্তান।
কিন্তু ডেভিড মালান ও জনি বেয়ারস্টো ওসব সমীকরণ ঘাটার সুযোগ দেননি। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেটই হারায়নি ইংল্যান্ড। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৭২ রান তুলেছেন ইংলিশ দুই ওপেনার। আর ততক্ষণে পাকিস্তানের সব আশা শেষ। কারণ, ছক্কা মেরে ৭৮ রান করে জিতলেও পাকিস্তানকে সেটা করতে হতো ১৯ বলের মধ্যে!
পাওয়ার প্লের পর মালান ফিরে গেছেন ৩১ রানে। ১৯তম ওভারে বিদায় নিয়েছেন বাংলাদেশ ম্যাচের পর বিশ্বকাপে আজ আবার ফিফটি পাওয়া বেয়ারস্টো (৫৯)। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের রান ৩ উইকেটে ২৫৬ রান। ইংল্যান্ড যদি ওয়ানডেতে ইনিংস ঘোষণা করার ইতিহাসও করে বসে তবু লাভ হবে না পাকিস্তানের। কারণ, ২৫৬ রানে পৌছে ছক্কা মেরে জিতলেও সে কাজটা পাকিস্তানকে করতে হবে ২৩ বলের মধ্যে! ভিডিও গেমসেও কাজটা প্রায় অসম্ভব।