ম্যাক্সওয়েল কেন, আমরাও করতে পারি: খালেদ মাহমুদ সুজন
ছবি: সংগৃহীত
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল কী এক দারুণ ইনিংসই না খেললেন! আফগানিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ান এই ক্রিকেটারের অতিমানবীয় ইনিংসে গোটা বিশ্ব বুঁদ হয়ে আছে । তার অবিশ্বাস্য ডাবল সেঞ্চুরিটি ভুলে যেতে বেশ অনেকটা দিন সময় নেবে ক্রিকেট দুনিয়া, এ কথা বেশ জোর দিয়েই বলা চলে। অনেকেই সর্বকালের সেরা ওয়ানডে ইনিংস মনে করছেন।
গত ৭ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ম্যাক্সওয়েলের ১২৮ বলে ২১ চার আর ১০ ছয়ে ২০১ রানের সাজানো সেই ইনিংসটি কেবল রানের বিচারেই না, বরং যে পরিস্থিতিতে খেলেছেন, তাতেই আরও বেশি অসাধারণ হয়ে উঠেছিল। চোটের কারণে রান নেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না, তাই বাউন্ডারির ওপর নির্ভর করেই বেশির ভাগ সময় খেলে গিয়েছেন এই অস্ট্রেলিয়ান।
অবিশ্বাস্য এই ইনিংস খেলে রীতিমতো প্রশংসায় ভাসছেন ম্যাক্সওয়েল। গতকাল পুনেতে গণমাধ্যমের সঙ্গে বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের আলাপেও উঠে এলো তার প্রসঙ্গ। ম্যাক্সির এমন ইনিংস বাংলাদেশের পক্ষেও সম্ভব, এই অণুপ্রেরণাই খেলোয়াড়দের দিতে চান জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। সেই সঙ্গে ম্যাক্সওয়েলের প্রশংসা করতেও পিছপা হননি সুজন।
সুজন বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য ইনিংস। এটা শুধু বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের না সারা বিশ্বের অনুপ্রেরণা পাওয়ার কথা। কত বছরে একবার এমন হবে সেটা আল্লাহ জানে। দুইশ হয়ত অনেকেই মারবে কিন্তু এই কন্ডিশন থেকে, এই ক্রাইসিস থেকে, নিজের ইনজুরি নিয়ে। আমি যদি ভুল না করি দলের যখন ১০৫ রান লাগে তার মাঝে ওই ১০১ করল। দুইশ রানের মাঝে কামিন্সের ১২ রান। কিন্তু কামিন্সের ইনিংসটাকেও ছোট করে দেখা যাবে না। সে যেভাবে তাকে গাইড করেছে সেটা দারুণ।’
ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ক্রিকেটেও এমন ইনিংস চান সাবেক এই তারকা। জানালেন করণীয় নিয়েও, ‘ক্রিকেটে যে সব কিছু সম্ভব সেটা ম্যাক্সওয়েল বুঝিয়ে দিয়েছে। আমার মনে হয় সেই মোটিভেশন নিয়েই ছেলেদেরকে আবার আগামীতে শুরু করা উচিত যে ম্যাক্সওয়েল ক্যান, আমরাও করতে পারি। শুধু দরকার সঠিক ট্রেনিং, সঠিক ফিটনেস এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রেন্থ যে কত গুরুত্বপূর্ণ সেটা কালকের ম্যাচে বোঝা গেছে। কোন ফুটওয়ার্ক ছাড়া এত বড় বড় ছয় মারা।