ম্যাচ চলাকালে ড্রেসিংরুম ছাড়ার কারণ জানালেন নাফিস ইকবাল
নিউজিল্যান্ড সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে চলাকালে হুট করেই ম্যাচের মাঝপথে ড্রেসিং রুম ছেড়ে চলে যান জাতীয় দলের লজিস্টিক ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। এরপরই গুঞ্জন ওঠে, চাকরি হারিয়েছেন তিনি।
সে সময় ধারণা করা হয়, টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কোনো একটি বিষয়ে মতবিরোধ হওয়ার কারণে ড্রেসিংরুম ছেড়ে দলে যান নাফিস।
বাংলাদেশের হয়ে ১১ টেস্ট ও ১৬ ওয়ানডে খেলা নাফিস জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া তামিম ইকবালের বড় ভাই। গতকাল দিবাগত রাত ২টা ১৮ মিনিটে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে করা এক পোস্টে ড্রেসিংরুম ছেড়ে যাওয়ার সেই ঘটনার ব্যাখ্যা দেন নাফিস ইকবাল।
তার (নাফিস) দাবি, ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের সফরের পরিকল্পনায় না রাখাতেই দল ছেড়ে চলে যান তিনি। এর সঙ্গে তামিমের সাম্প্রতিক ঘটনার কোনো যোগসূত্র নেই।
নাফিসের ভাষ্যমতে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে চলাকালে জাতীয় দল ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আমি আবেগের বশে নেইনি। ২৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ওয়ানডের দিন সকালে আমি জানতে পারি, আমি বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে যাচ্ছি না। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও একই ঘটনা ঘটেছিল। আমিও একজন মানুষ, অন্যদের মতো আমারও আবেগ আছে।
সাবেক এই ক্রিকেটার আরও যোগ করেন, আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং এই ঘটনার সঙ্গে আমার ছোট ভাই তামিমের এসব ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি মাঠ ছাড়ার ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার পর বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হয়েছে।
‘সেদিন আমি বিসিবির সব রকম নিয়ম ও আচরণবিধি পুরোপুরি মেনেছি। মাঠে আসার আগে আমি বিষয়টি সবার আগে প্রধান কোচকে জানিয়েছি এবং বিসিবির সংশ্লিষ্ট অফিশিয়ালদেরও জানাই।’
‘আমি নিশ্চিত করতে চাই, সেদিন কোনো কাজই অর্ধেক সম্পন্ন করা হয়নি, যেমন ম্যাচের খেলোয়াড় তালিকায় সই করা, নিউজিল্যান্ড সিরিজে হিসাব বিভাগের কাগজপত্রের ঝামেলা মেটানো এবং বিশ্বকাপের জন্য আমাকে যে দৈনিক ভাতা দেওয়া হয়েছিল, সেটাও ফিরিয়ে দিয়েছি।’
‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এমন সব মুহূর্তে সম্মান প্রাপ্য এবং আসল ঘটনা না জেনেই মন্তব্য করা ঠিক না।’
‘নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার এবং বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবে সৎ ছিলাম। আমি নিশ্চিত করছি নিজের সেরাটাই দেব এবং সব সময় এটাই করব।’