মোস্তাফিজকে নিয়েও হার এড়াতে পারল না দিল্লি
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হওয়ার পরদিনই মোস্তাফিজুর রহমানকে চার্টার্ড বিমান ভাড়া করে ভারত নিয়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। এভাবে মোস্তাফিজকে নিয়ে যাওয়াইয় সবারই বদ্ধমূল ধারণা হয়েছিল সেদিনই মোস্তাফিজকে খেলাবে দিল্লি। কিন্তু মোস্তাফিজকে তারা আর একাদশে রাখেনি। এমনকি পরের দুই ম্যাচেও মোস্তাফিজ ছিলেন না একাদশে। এ নিয়ে খুব আলোচনা হয়, বিশেষ করে দিল্লি তিনটি ম্যাচে হেরে যাওয়ায়।
অবশেষে নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে দিল্লি মোস্তাফিজকে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে একাদশে রেখেছিল। প্রতিপক্ষ ছিল রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু তাতে ভাগ্য ফেরেনি দিল্লির। হেরেছে ৬ উইকেটে।
নিজেদের মাঠে দিল্লি টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২ বল বাকি থাকতে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায়। মুম্বাই সেই রান অতিক্রম করে শেষ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দুই দলই নেমেছিল জয়হীন থেকে দিল্লির ৩ ম্যাচের বিপরীতে মুম্বাই হেরেছিল ২ ম্যাচে।
দিল্লির এই হারে মোস্তাফিজুর তার দায় এড়াতে পারবেন না। শেষ দুই ওভারে মুম্বাইয়ের প্রয়োজন ছিল ২০ রানের। ১৯তম ওভার করতে এসে মোস্তাফিজ ২ ছক্কা হজম করে রান দেন ১৫। শেষ ওভারে রানের দরকার হয় ৫ রান। এনরিখ নর্টজের করা ওভারে ৫ রান নিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে মুম্বাইয়ের ব্যাটসম্যানদের। প্রথম ৫ বলে আসে ৩ রান। শেষ বলে প্রয়োজন পড়ে ২ রানের। টিম ডেভিড সেই ২ রান নিয়ে মুম্বাইকে প্রথম জয় এনে দেন।
মোস্তাফিজ শেষ ওভারে ১৫ রান দিলেও প্রথম ৩ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ম্যাচসেরা মুম্বাই কাপ্তান রোহিত শর্মার উইকেট তুলে নেন। তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরেন অভিষেক পোড়েল। রোহিত ৪৫ বল খেলে ৪ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৫ রান করেন।
এমপি/এসজি