৩৬৯ রানে থামল বাংলাদেশ
পেসবান্ধব উইকেটে স্পিন ধরাতে বাংলাদেশের ইনিংস যতটা বড় হওয়ার কথা ছিল ততটা হয়নি। অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের ঘূর্ণিতে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ৩৬৯ রানে। এগিয়ে আছে ১৫৫ রানে। আয়ারল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করেছিল ২১৪ রান। চা বিরতির পর বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারিয়ে যোগ করে ৫৩ রান। ম্যাকব্রিন ১১৮ রানে নেন ৬ উইকেট।
দিনের শুরুতে মুমিনুলকে হারানো চাপ সামলে মুশফিকের ১২৬ ,সাকিবের ৮৭, লিটন দাসের ৪৩ রানে ভর করে বাংলাদেশের ইনিংস বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল। সম্ভাবনা ছিল বড় লিড নেওয়ার। কিন্তু সেখানে ছন্দপতন ঘটে। এই ঘটার কারণ ম্যাকব্রিন। ৫ উইকেটে ৩৩১ রান থেকে ৩৬৯ রানে অলআউট। একপর্যায়ে টানা তিন ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে তিনি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নেন।
ম্যাকব্রিনের শিকার ছিল সব বড় বড়। প্রথম দিনের শেষ বলে তামিম ইকবালকে অসম্ভব ভালো এক টার্নে পরাস্ত করে উইকেট পাওয়া শুরু করেন। আজ (৫ এপ্রিল) দ্বিতীয় দিন একে একে পকেটস্থ করেন সাকিব, মুশফিক, তাইজুল, শরিফুল ও এবাদতকে।
প্রথম দিন ২ উইকেট হারানোর পর আজ বাংলাদেশ প্রথম সেশনে ২টি ও দ্বিতীয় সেশনে ১টি উইকেট হারানোর পর শেষ সেশনে হারায় বাকি অর্ধেক। এসময় রান যোগ হয় মাত্র ৫৩। চা বিরতির পর মিরাজ নিজের ইনিংস বড় করার চেষ্টা করে ৫৫ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হলেও বড় কোনো জুটি গড়ে উঠেনি। কারণ জুটি গড়ার কাজে মনোনিবেশ করার সময়ই ম্যাকব্রিন এসে আঘাত হেনেছেন।
মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে সেঞ্চুরিয়ান মুশফিক চা বিরতির পর ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি সময় আর টিকতে পারেননি। মাত্র ২ রান যোগ করেই তিনি উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। শুরুতে ধৈর্যের পরিচয় দেওয়া মুশফিক যে শট খেলে আউট হয়েছেন, তা তার চরিত্রের সঙ্গে মানানসই ছিল না। ম্যাকব্রিনের বল উইকেট ছেড়ে বের হয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে তিনি মারি কামিন্সের হাতে ধরা পড়েন। বাউন্ডারি লাইন থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে বল তালুবন্দী করেন কামিন্স। শেষ হয় মুশফিকের ১৬৬ বলে ১ ছক্কা ও ১৫ চারে সাজানো ১২৬ রানের ইনিংস।
মুশফিক আউট হওয়ার পর মিরাজ ছাড়া আর কেউ সুবিধা করতে পারেননি। তার পরে আসা ব্যাটসম্যানদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। এরই মাঝে মিরাজ তার চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন ৬৬ বলে ২ ছক্কা ও ৬ চারে। বেন হোয়াইটের বলে ক্রিজ ছেড়ে বের হয়ে এসে খেলতে গিয়ে মিস করেন মিরাজ। বল ধরেই তাকে স্টাম্পিং করেন টাকার। তিনি ৮০ বলে ২ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৫ রান করেন।
ম্যাকব্রিন ১১৮ রানে নেন ৬ উইকেট। বেন হোয়াইট ২ উইকেট নেন ৭১ রানে।
এমপি/এসজি