মুশফিকের সেঞ্চুরিতে চালকের আসনে বাংলাদেশ
সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু বঞ্চিত হলেন সাকিব আল হাসান। লিটন দাসও বঞ্চিত হাফ সেঞ্চুরি করা থেকে। তিনজনের তিন রকমের অভিজ্ঞতা হলেও তাদের সমষ্টিগত রানই বাংলাদেশকে ঢাকা টেস্টের চালকের আসনে বসানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে। চা বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩১৬ রান। বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ১০২ রানে। দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ সাকিব ও লিটনের উইকেট দুটি হারিয়ে যোগ করে ১৪৬ রান। প্রথম সেশনে তারা যোগ করেছিল ১ উইকেটে ১৩৬ রান। মুশফিক ১২৪ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ১৮ রান নিয়ে শেষ সেশন আবার ব্যাট করতে নামবেন।
সাকিব ৭৪ ও মুশফিক ৫৩ রান নিয়ে লাঞ্চের পর খেলতে নেমে মুশফিক অনেক দূরে থাকার পরও সেঞ্চুরি তুলে নেন। কিন্তু সাকিব কাছাকাছি থাকার পরও পারেননি। এই না পারার কারণ সাকিব নিজেই। আক্রমণাত্মক ঢংয়ে শুরু থেকে খেলতে থাকা সাকিব নিজের উইকেট জলাঞ্জলি দেন আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়েই। ম্যাকব্রিনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে অনসাইডে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে টাকারের হাতে ক্যাচ দেন। শেষ হয় তার ৯৪ বলে ১৪ চারে সাজানো ৮৭ রানের ইনিংসের। দুইজনে চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১৬৯ রান।
সাকিব আউট হওয়ার পর লিটন এসে জুটি বাঁধার পর তিনিও খেলতে থাকেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। লিটন ছিলেন সাকিবেরও চেয়েও মারমুখী। ৪১ বলে ৮ চারে ৪৩ রান করে তিনি আউট হন বেন হোয়াইটের বলে টেক্টরের হাতে ধরা পড়ে। লিটন তার আগের বলেই নিশ্চিত রানআউট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যান। মুশফিকের খেলা বলে রান নেবেন, কি নেবেন না এই অবস্থা থেকে তিনি যখন ক্রিজ ছেড়ে বের হয়ে আসেন, তখন দুই ব্যাটসম্যান একই প্রান্তে। তখন অপরপ্রান্তে কিপার লরকান টাকারের হাতে বল নিক্ষেপ করেন হ্যারি টেক্টর। কিন্তু টাকার বল গ্লাভসে জমাতে না পারলে লিটন বেঁচে যান রানআউট হওয়া থেকে। কিন্তু তিনি পরের বলেই আউট হয়ে এই সুবিধা কাজে লাগাতে পারেননি। মুশফিকের সঙ্গে তিনি পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১৩.৫ ওভারে ৮৭ রান যোগ করেন।
লিটন আউট হওয়ার আগেই মুশফিকুর রহিম তার ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি তুলে নেন মার্ক অ্যাডায়ারের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। ১ ছক্কা ও ১৩ চারে সাজানো ছিল তার ইনিংস। মুশফিক এই সেঞ্চুরি করে তামিম ইকবালকে ছুঁয়ে ফেললেন। তার উপরে আছেন ১১ সেঞ্চুরি করে শুধু মুমিনুল হক।
এমপি/এসজি