পেসারদের মঞ্চে স্পিনারদের নৃত্য, অনুপস্থিত সাকিব!
মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে পেসারদের জন্য। এই মঞ্চ বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের একমাত্র টেস্টের। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে মঞ্চে ছিল সবুজের সমারোহ। পিচে সবুজের ছোঁয়া থাকা মানেই পেসারদের অভয়ারণ্য। দুই দল একাদশও সাজায় সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। তিনজন করে পেসার। কিন্তু তাদের সেই সাজানো মঞ্চে নৃত্য করেছেন স্পিনাররা। দিনের অর্ধেকেরও বেশি ওভার বোলিং করেছেন স্পিনারারা। সফলও তারা।
তাইজুল ২৮ ওভার বোলিং করে উইকেট নিয়েছেন ৫টি। এটি তার ক্যারিয়ারে ১১তম বার ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া। মেহেদি হাসান মিরাজ ১৭.২ ওভার বোলিং করে ৪৩ রানে নেন ২ উইকেট। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারত যদি সাকিব আল হাসানও তাদের মতো করে বোলিং করতেন। সাকিব ইনিংসের ৬৫তম ওভারে বল হাতে তুলে নিয়ে করেন মাত্র ৩ ওভার। সাকিব কেন এত পরে বোলিং করেছেন তা জানা নেই তাইজুলের। দিনের শেষে কথা বলতে এসে তাইজুল বলেন, ‘আমাদের তেমন কোনো কারণ বলেননি। উনার ইচ্ছে ছিল হয়তোবা আমাদেরকে দিয়েই করানোর। আমরা খারাপ করলে হয়তো উনি বোালিং করতে আসতেন।’
সাকিব বোলিং না করলেও ছায়া ছিলেন বলে জানান তাইজুল। তিনি বলেন, ‘অধিনায়ক তো সবসময়ই দলের ভালো চান। মাঠের পরিস্থিতি অনেক ভালো বোঝেন উনি। ভুল যদি কিছু হয়, অবশ্যই পরামর্শ দেবেন। যখন যেটা শেয়ার করা দরকার ছিল, তা করছিলেন। আর আমাদের উপর আত্মবিশ্বাস ছিল।’
তিন স্পিনার যেখানে বোলিং করেছেন ৪৮.৩ ওভার, সেখানে বাংলাদেশের তিন পেসার এবাদত-শরিফুল-খালেদ মিলে করেছেন মোটে ২৯ ওভার। পরে আয়ারল্যান্ডের ১০ ওভারের ৩ ওভার করেছেন তাদের এক স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন। ম্যাকব্রিনের করা দিনের শেষ বল যেভাবে টার্ন করেছে, তাতে করে আগামীকাল (৫ মার্চ) দ্বিতীয় দিনও যদি এই রকম টার্ন অব্যাহত থাকে তাহলে খেলার মোড় কোন দিকে যায় তা বলা মুশকিল।
পিচ নিয়ে তাইজুল বলেন, ‘উইকেটে পেসারদের জন্যও সহায়তা আছে। উইকেটে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। উইকেট এমন যে চাইলেই বড় শট খেলা যাবে না। শট খেলতে গেলেই কিছু একটা হয়ে যাবে। ভালো লাইন বা লেংথে করলে পেসার বা স্পিনার সবাই সুবিধা পাবে।’
এমপি/এসজি