উত্তেজনাকর খেলায় ১ বল বাকি থাকতে সিটি ক্লাবের জয়
টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ১ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটে জিতেছে সিটি ক্লাব। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৪৬.৫ ওভারে ২১৯ রানে অলআউট হয়।
সিটি ক্লাব সেই রান তাড়া করতে নেমে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়ে ১ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান করে ম্যাচ জিতে। ৬ ম্যাচে সিটি ক্লাবের ৪ ও ব্রাদার্সের ২ পয়েন্ট।
২১৯ রান তাড়া করতে নেমে সিটি ক্লাব জয়ের পথেই ছিল। ওপেনার তুষার খানের ৩৩ বলে ৫ ছক্কা ও ১ চারে ৪২ রাফসান আল মাহমুদ ৩৫, জয়রাজ শেখের ৫২ বলে ১ ছক্কা ও ৪ চারে ৩৪, অধিনায়ক আসিফ আহমেদের ২১ রানের সুবাদে তারা ম্যাচকে নিজেদের মুঠোয় ভরে নিয়েছিল।
শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ৫ রানের। হাতে ২ উইকেট। এ সময় উইকেটে ছিলেন ৩৪ রানে অপরাজিত থাকা রাফসান। কিন্তু রাহাতুল ফেরদৌসের করা ওভারের প্রথম ৩ বলে সিটি ক্লাব মাত্র ২ রান নেয়। উইকেট হারায় রাফসানের। ফলে শেষ ৩ বলে তাদের প্রয়োজন পড়ে ৩ রানের। উইকেটে শেষ জুটি ৭ রানে ইফরান ও নতুন ব্যাটসম্যান আসিফ। ৩ বলে ৩ রান কোনো ব্যাপার না। কিন্তু শেষ জুটি থাকাতে ম্যাচ জমে উঠে। যে কেউ জিততে পারে। এমন পরিস্থিতিতে চতুর্থ বলে আসিফ ১ রান নেওয়ার পর পঞ্চম বলে ইফরান থার্ড ম্যান দিয়ে চার মেরে সব উত্তেজনার অবসান ঘটান ব্রাদার্সের সাব্বির ১৬ রানে ৩টি, আরাফাত সানি জুনিয়র ৩৭ ও সাদ নাসিম ৩৯ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্রাদার্স আসিফ ও ইফরানের মারাত্বক বোালিংয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে পারনি। ৬৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর সাদ নাসিম হাল ধরে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ৭৪ রানের ইনিংস খেললে ব্রাদার্সের সংগ্রহ দুইশ পার হয়ে ২১৯ রান পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। সাদ নাসিম ৯৮ বলে ৩টি করে চার ও ছয় মারেন।
এ ছাড়া ওপেনার তানজিদ হাসান ৪২ আরাফাত সানি জুনিয়র ৩১, জাহিদুজ্জামান ২৭ রান করেন। আসিফ ৩১ ও ইফরান ৫২ রানে নেন ৩টি করে উইকেট।
ম্যাচ সেরা হন রাফসান আল মাহমুদ।
এমপি/এমএমএ/