সাবিনাদের বেতন বাড়ছে ৩০ হাজার টাকা
সাফ নারী ফুটবলে বাংলাদেশ দল প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে। তারপর এ নিয়ে সারা দেশে বয়ে গেছে আনন্দের বন্যা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাফজয়ী মেয়েদের ছাদখোলা বাসে নিয়ে আসা হয় মতিঝিল বাফুফে ভবনে। এসময় রাস্তার দুই পাশে সাধারণ জনতা হাত নেড়ে তাদের অভিবাদন জানান।
অথচ সেই সাফের রানিদের মাসিক বেতন মাত্র ১০ হাজার টাকা। এবার তাদের বেতন বাড়িয়ে ৪০ হাজার টাকা করার কথা বলেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। যদিও নারী ফুটবলাররা তাদের বেতন ৫ গুণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন বলে জানান বাফুফে সভাপতি।
সাফের নারী ফুটবল, তা হোক জাতীয় দল কিংবা বয়সভিত্তিক, বাংলাদেশ মানেই সাফল্য। সাফের পর এইতো কিছুদিন আগে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-২০ আসরে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু সবারই সুযোগ-সুবিধা খুবই অপ্রতুল্য। কিন্তু বাফুফে সভাপতি শুধুমাত্র জাতীয় দলের ফুটবলারদেরই বেতন বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দুদিন আগে আমি মেয়েদের সঙ্গে বসেছিলাম। তাদের কিছু দাবি আছে। এসব দাবি সম্পূর্ণ যৌক্তিক। ওরা যেটা চেয়েছে, সেটা শুনতেই আমার কাছে লজ্জা লেগেছে।’
তিনি বলেন, ‘ওদের আমরা মাসে দিয়ে থাকি ১০ হাজার টাকা। এই টাকা দিতেই তো আমাদের জান বের হয়ে যাচ্ছে। এখন ওরা চেয়েছে ৫০ হাজার টাকা করে। ম্যাচ ফিও চেয়েছে। আবার তাদের খাওয়ারও সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে।’
মেয়েদের এখন খাওয়া খরচ বাবদ প্রতিদিন ৭০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এই খাবারে তাদের হয় না জানিয়ে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘এখন তারা যে খাবার যাচ্ছে তাতে প্রতিদিন ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা লাগবে। এ ছাড়া মেয়েরা চেয়েছে উন্নতমানের বুট। ওরা যা যা চেয়েছে সবাই যৌক্তিক।’
নিজেদের সময়ের সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘ওরা যা যা চেয়েছে, সেটা আমরা খেলোয়াড় থাকতে পাইনি। কিন্তু তার মানে এই না যে, আমি থাকতে ওরা পাবে না। আমি চেষ্টা করছি তাদের জন্য এগুলোর ব্যবস্থা করতে পারি কি না। ৫০ হাজার টাকা করে চেয়েছে। আমি দিতে চাই ৪০ হাজার টাকা করে। তারপর দেখা যাক কী হয়।’
এই ৪০ হাজার টাকা করে শুধু জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের দিতে চান বাফুফে সভাপতি। তিনি বলেন, ‘এটা শুধু জাতীয় দলের জন্য। জাতীয় দলের খেলোয়াড় ধরা হয় ৩০ জন। বাকি ৩০ জন বয়সভিত্তিক। আমরা ক্যাটাগরি করে মেয়েদের বেতন বাড়িয়ে দেব।’
ফুটবলারদের যখন বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়, তখন কোচের প্রসঙ্গটিও চলে আসে। জাতীয় দল থেকে শুরু করে বয়সভিত্তিক সব ধরনের দলকেই কোচিং করিয়ে থাকেন গোলাম রব্বানি ছোটন। তার বেতন বৃদ্ধির প্রসঙ্গটি উঠলে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। তাদেরকে কীভাবে সাপোর্ট দেব সে চিন্তা আমার আছে।’
এমপি/এসজি