খেলল চেলসি, জিতল ডর্টমুন্ড
সিগনাল ইদুনা পার্কে জ্বলে উঠেছিল চেলসি। আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল ব্লুজরা। এক কথায়, দুর্দান্ত খেলল চেলসি। কিন্তু জিতল ডর্টমুন্ড। ১-০ গোলের জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এগিয়ে গেল জার্মান ক্লাবটি।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে শুধু আক্রমণে নয়, বল দখলেও এগিয়ে ছিল চেলসি। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ৮টি অন-শট নেয় গ্রাহাম পটারের শিষ্যরা। সবমিলে শট নেয় ১৫টি। কর্নার আদায় করে মোট ১০ বার। বিপরীতে ডর্টমুন্ডের অন-শট ছিল ২টি এবং কর্নার পায় ৫টি।
৫২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ম্যাচজুড়ে দাপুটে পারফরম্যান্সই উপহার দেয় ব্লুজরা। তাদের লড়াই দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে আগের ৮ ম্যাচে মাত্র ১ জয় পেয়েছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি। কিন্তু ভাগ্য বিধাতা সহায় ছিল না বলেই আরও একটি হারের স্বাদ পেতে হয় অতিথিদের।
চেলসির আক্রমণে কোনঠাসা হয়ে পড়া ডর্টমুন্ড অপ্রত্যাশিতভাবে লিড পেয়ে যায় দ্বিতীয়ার্ধে। ৬৩ মিনিটের ম্যাচের ডেডক্লক ভাঙেন করিম আদেয়েমী। কাউন্টার অ্যাটাকে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। এই লিড আগলে রেখেই শেষতক জয়ের স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
দলের পরাজয়ের রাতে দুর্ভাগা ছিলেন জোয়াও ফেলিক্স। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে ধারে চেলসিতে যোগ দেওয়া এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড দারুণ ছন্দে ছিলেন প্রথম লেগে। গোলের সুবর্ণ দুটো সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। প্রথম দফায় লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন তিনি। এরপর আঘাত হানেন পোস্টে।
আগামী ৭ মার্চ স্টামফোর্ড ব্রিজে ফিরতি লেগে মুখোমুখি চেলসি ও ডর্টমুন্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকে থাকতে হোম ম্যাচটি জিততেই হবে ব্লুজদের।
আরএ/