ব্যাক-টু-ব্যাক ড্র বায়ার্নের

কখনো কখনো ম্যাচের ফল আসল গল্পটা আড়াল করে। তেমন কিছুই হয়ে গেল অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায়। নিজেদের আঙিনায় কোলনের বিপক্ষে বল দখলে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে আক্রমণে পসরা সাজিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তবুও বুন্দেসলিগায় ব্যাক-টু-ব্যাক ড্রয়ের স্বাদ পেল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
গত সপ্তাহে দীর্ঘ ৬৮ দিন পর লিপজিগ-বায়ার্ন ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরে বুন্দেসলিগা। কঠিন সেই ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র করেছিল জুলিয়ান ন্যাগলসম্যানের শিষ্যরা। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে সমান সংখ্যক গোল হলো বায়ার্ন ও কোলনের মধ্যকার লিগ ম্যাচে।
অথচ ম্যাচজুড়ে ৭৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে সব মিলে কমপক্ষে ১৫টি শট নেয় বায়ার্ন। এর মধ্যে ৭টি ছিল লক্ষ্যে। অথচ ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে এগিয়ে যায় কোলন। স্বাগতিকরা নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার আগেই দুর্দান্ত এক ভলিতে অতিথিদের লিড উপহার দেন এলিস স্কহিরি।
শুরুতে এগিয়ে যাওয়ায় ম্যাচের বাকিটা সময় রক্ষণে মনোযোগী হয় কোলন। তাতে জয়ের শঙ্কায় পড়েছিল বায়ার্ন। অবশেষে ৯০ মিনিট স্বাগতিক শিবিরে প্রাণ ফেরান জশুয়া কিমিচ। তাতে গোলেই ড্রয়ের স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ন্যাগলসম্যানের দল।
একই রাতে একই মঞ্চে গোলোৎসব করেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। টেবিলের তলানির দল শালকেকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। জোড়া গোল করেছেন আন্দ্রে সিলভা। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে প্রথম গোলটি করেন তিনি। ৮ মিনিট বাদে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বেঞ্জামিন হেনরিখস।
বিরতিতে যাওয়ার এক মিনিট আগে সিলভা ম্যাচে তার দ্বিতীয় গোলটি করেন। এই অর্ধে যোগ করা সময়ে স্কোরলাইন ৪-০ করেন টিমো ভের্নার। দ্বিতীয়ার্ধে অতিথিদের পঞ্চম গোলটি করেন দানি ওলমো। স্বাগতিক কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ইউসুফ। শালকে সান্ত্বনাসূচক গোলটি পায় ৫৬ মিনিটে।
নিজেদের জয় এবং বায়ার্নের হারে বুন্দেসলিগায় শিরোপা জয়ের স্বপ্ন আরও তাজা করেছে লিপজিগ। শীর্ষে থাকা বায়ার্নের সঙ্গে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান ৪। ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বায়ার্ন। ৩২ পয়েন্টে দ্বিতীয় স্থানে লিপজিগ। দুই দলই খেলেছে সমান ১৭ ম্যাচ।
এসজি
