চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লাকে হারিয়ে শুরু রংপুরের
বিপিএলের শুরুতে চ্যাম্পিয়ন তকমার প্রতি সম্মান দেখাতে পারল না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে উড়ে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। কুমিল্লাকে ৩৪ রানে হারিয়ে আসরে শুভসূচনা পেয়েছে রংপুর রাইডার্স।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস ভাগ্য হেরে প্রথমে ব্যাটিং পায় রংপুর। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় নুরুল হাসান সোহানের দল। রান তাড়ায় ১৯.১ ওভারে ১৪২ রানেই গুটিয়ে যায় কুমিল্লার ইনিংস।
এদিনে রংপুরের ভালো পুঁজির নেপথ্যে ছিলেন তিন টপ-অর্ডার ব্যাটার: নাইম শেখ, রনি তালুকার এবং শোয়েব মালিক। সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল রনির। ৩১ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৬৭ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। ইনিংসের শুরুতে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন নাইম ও মালিক।
কার্যত উদ্বোধনী জুটিতেই দলকে শক্ত অবস্থানে দাঁড় করান রনি ও নাইম। এই যুগল ৮.৫ ওভারে দলের খাতায় যোগ করেন ৮৪ রান। তাদের প্রতিরোধ ভাঙেন কুমিল্লার বিদেশি তারকা খুশদিল শাহ। ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়ে পাকিস্তানি স্পিনারের শিকার হন রনি।
এরপর আর বড় জুটি গড়তে পারেনি রংপুর। তবে সবার ছোট ছোট অবদানে বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় দলটি। আফগানিস্তান পেসার ফজলহক ফারুকীর বলে আউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ৪ চারে ২৯ রান করেন নাইম। অভিজ্ঞ পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ১টি করে চার-ছক্কায় করেন ৩৩ রান (২৬ বলে)। তিনি রান আউট হন।
সাজঘরে ফেরার আগে সিকান্দার রাজার ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। তাকে আউট করেন মোসাদ্দেক হোসেন। বেনি হাওয়েলকে (৮) শিকার বানান টাইগার পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। শেষদিকে ১১ বলে ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে রান তাড়ায় প্রথমে লিটন দাসের উইকেট হারায় কুমিল্লা। দেশসেরা ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখান রকিবুল হাসান। ১২ বল খেলে ২ চারে মাত্র ১০ রান করতে পারেন টাইগার ওপেনার। এরপর উইকেটে নেমেই ঝড় তুলেন ডেভিড মালান।
সেই ঝড় প্রলয়কারী রূপ ধারণ করার আগেই থামান জিম্বাবুইয়ান রাজা। পাওয়াপ্লের শেষ বলে তিনি আউট করেন ৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ রান করা মালানকে। তখন কুমিল্লার সংগ্রহ ছিল ৫৪ রান। অর্থাৎ জোড়া উইকেট হারালেও রানের গতি ঠিক রেখেছিল তারা।
কিন্তু পাওয়ারপ্লের পরই ম্যাচ থেকে দূরে সরে যেতে থাকে কুমিল্লা। ইনিংসের অষ্টম ওভারে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পান রাজা। বোল্ড করেন ১৬ রান করা সৈকত আলীকে। চতুর্থ উইকেটে ইমরুল কায়েস এবং মোসাদ্দেক হোসেনের ৫৮ রানের জুটিতেও ম্যাচে ফেরার সৌভাগ্য হয়নি কুমিল্লার।
অধিনায়ক ইমরুলকে (৩৫) আউট করে প্রতিপক্ষের ৪৩ বলের প্রতিরোধ ভাঙেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। হাওয়েলের বলে মোসাদ্দেককে স্টাম্পিং করেন সোহান। একই ওভারে খুশদিল ও মোস্তাফিজকে শিকার বানান হাসান মাহমুদ। দুজনেই সাজঘরে ফেরেন ১ রান করে।
কুমিল্লার নবম উইকেটের পতন ঘটান রবিউল। বোল্ড করেন জাকেরকে (১)। এরপর আশিকুর রহমানকে (০) আউট করে প্রতিপক্ষের ইনিংস গুটিয়ে দেন হাসান মাহমুদ।
/এএস