সিলেটের অনায়াস জয়ে শুরু বিপিএল
রান হয় না বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। পুরোনো অপবাদ মনে করিয়ে দিল বিপিএলের নবম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচ। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৮৯ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংস। অল্প রান তাড়ায় ৮ উইকেটের অনায়াস জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের সর্বনাশ করেছেন রেজাউর রহমান রাজা। ২৩ বছর বয়সী পেসারের গতিতে খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন রাজা। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
রাজার দিনে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় শুভাগত হোমের দল। রানআউট দিয়ে উইকেট পতনের শুরু চট্টগ্রামের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন মেহেদী মারুফ (১১)। প্রতিপক্ষের বিদেশি ওপেনার ডারউইশ রাশুলিকে উইকেটে থিতু হতে দেননি মোহাম্মদ আমির।
পাকিস্তানি পেসারের বলে কিপার মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন রাশুলি। আফগানিস্তান ব্যাটার ৯ বল খেলে করেন ৩ রান। চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ১ রান করে। তাকে সাজঘরে ফেরান রাজা। খানিকবাদে ১৮ রান করা আল-আমিনের উইকেট তুলে নেন অফব্রেকার কলিন একারম্যান।
৯.৫ ওভারে ৪৪ রানে ৪ উইকেট হারানো চট্টগ্রামকে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেননি রাজা। তিনি একে একে তুলে নেন উসমান খান (২), উন্মুক্ত চাঁদ (৫) এবং নিহাদুজ্জামানের (৮) উইকেট। রাজার বিধ্বংসী বোলিংয়ের মাঝে একটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ আমির ও মাশরাফি বিন মর্তুজা।
চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ রানের ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেন। তাকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান আমির। মাশরাফি আউট করেন আরেক তরুণ ক্রিকেটার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে। বোলারদের দাপুটে পারফরম্যান্সের পর নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ১২.৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে সিলেট।
রান তাড়ায় দুই উইকেট হারায় মাশরাফির দল। কলিন একারম্যানকে (১) আউট করেন মৃত্যুঞ্জয়। ব্যক্তিগত ২৭ রানে মালিন্ডা পুষ্পকুমারার বলে এলবির ফাঁদে পড়েন জাকির হাসান। এরপর মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে বাকিটা পথ পাড়ি দেন শান্ত।
৪১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার শান্ত। উইকেটের আরেকপ্রান্তে মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ৬ রানে। ম্যাচসেরা হয়েছেন রাজা।
এসজি