মাশরাফির হাত ধরে ডানা মেলার অপেক্ষায় সিলেট
যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয় বিপিএলে সবচেয়ে ব্যর্থ দলটি কোনটি? কোনো রকম ভাবনা-চিন্তা না করে মুহূর্তেই যে কেউ বলে দিতে পারবেন সিলেট। এরপর আবার যদি প্রশ্ন করা হয় বিপিএলে কোন দলের মালিকানা সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন হয়েছে? এবারও ঝটিকা উত্তর আসবে সিলেট।
হ্যাং বিপিএলে সিলেটই একমাত্র দল যার এখন পর্যন্ত আট আসরের সাতটিতে অংশ নিয়ে একবারও ফাইনালে উঠতে পারেনি। মাত্র একবারই তারা শেষ চারে খেলতে পেরেছে। এবার সেই শিকল ভাঙতে চায় সিলেট। মালিকানা বদলের বাটন আরেক দফা পরিবর্তন হয়েছে। নতুন কান্ডারি ৩৬০ আউলিয়ার পূণ্যভূমি বৃহত্তর সিলেটবাসীকে স্বপ্ন দেখাছেন ব্যর্থতার পিঞ্জর ভেঙে শিরোপার ডানা মেলে আকাশে উড়তে। এজন্য তারা সওয়ার হয়েছেন বিপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক ৪ বারের শিরোপা জয়ী মাশরাফির উপর।
মাশরাফিকে সিলেট স্ট্রাইকার্স অনেক আগেই সরাসরি চুক্তিতে দলে ভিড়িয়ে শিরোপার বীজ বপন করেছে। সেই বীজ এখন চারা থেকে ফুল হয়ে ফুটার অপেক্ষায়। তরুণ ও অভিজ্ঞতার মিশলে একটি নির্ভর করার মতো দল গড়েছে সিলেট। দল আছেন মুশফিকুর রহিমের মতো পোড় খাওয়া ক্রিকেটার। সিলেট যে একবার শেষ চার খেলেছিল, তখন দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই মুশফিকুর রহিম। এই দলে আছেন আরও আছেন রুবেল হোসেন, নাবিল সামাদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তেমনি আছেন অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি হাঁকানো জাকির হাসান, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক আকবর আলী ও পেসার তানজিম হাসান সাকিব। আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, রেজাউর রহমান, নাজমুল হোসেন অপুর মতো ক্রিকেটার। বিদেশি ক্রিকেটারের মাঝে দলে এসে যোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ আমির, থিসারা পেরেরা, কলিন অ্যাকারম্যান টম মরিস, ইমাদ ওয়াসিম, শফিকউল্লাহ।
এমন দল নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘ওয়েল অর্গানাইজড মনে হচ্ছে। যারা কোচিং স্টাফে আছে, ক্রিকেটার সবার ভেতরে...কম্বিনেশনটাও ভালো। মাঠে কেমন করবে সেটা তো বলা কঠিন। ফ্র্যাঞ্চাইজি চায় ভালো কিছু করতে। সব দলই চায় চ্যাম্পিয়ন হতে। আমরাও অবশ্য তার ব্যতিক্রম কিছু না। এটা তো আর বলে কয়ে হবে না। মাঠে ভালো করতে হবে। ওয়ান বাই ওয়ান ম্যাচ...। কাল যদি ভালো করতে পারি, এটা তো মোমেন্টামের খেলা। শেষের দিকে বা তাকিয়ে আমরা শুরু থেকে ভালো করার চেষ্টা করব।’
মাশরাফি নিজে নামছেন দীর্ঘ বিরতির পর। সর্বশেষ মাঠে নেমেছিলেন প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেট লিগে ২৮ এপ্রিল লিজেন্ডস অব রপগঞ্জের হয়ে শেখ জামালের বিপক্ষে। ৮ ওভার বোলিং করে ২ মেডেন নিয়ে ২১ রান দিয়ে নিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিমের উইকেটটি। সময়ের হিসেবে তিনি মাঠে নামছেন প্রায় ৯ মাস পর। নিজের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘লম্বা সময় ম্যাচও খেলিনি। মানে ম্যাচ থেকে তৈরি হতে হবে। মানসিকভাবে ঠিক আছি। কিন্তু এমন তো না যে মানসিকভাবে ঠিক থাকলে স্কিলও ঠিক থাকবে। দেখা যাক, বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
এমপি/এসএন