বিপিএল নিয়ে সাকিব অন্ধকারে ঢিল মেরেছেন
বুধবার একটি প্রতিষ্ঠানের একদিনের জন্য সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সাকিব আল হাসান পরে বিপিএল নিয়ে ইচ্ছেমতো বিসিবিকে ধুয়ে দিয়েছেন। যেখানে ছিল না কোনো রাখঢাক। কথা বলার এক পর্যায় তিনি বিপিএল আয়োজনকে ‘যা-তা’ বলতেও দিধা করেননি।
এমনকি এক প্রশ্নে জবাবে তাকে বিসিবির সিইও হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি বিপিএলের আমূল পরিবর্তন আনতে দুই মাসও সময় নিবেন না বলেও মন্তব্য করেন। কারণ বিপিএলের নানান অসংগতি, দ্রুটি বিচ্যুতি, দুর্বলতা আছে। কিন্তু বিসিবির একজন চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব এভাবে বলতে পারেন না। যা সরাসার কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের সামিল।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) কিন্তু এ সব নিয়ে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন দেননি কোনো কড়া জবাব। অনেকটা ব্যাকফুটে গিয়ে দিয়েছেন জবাব।
তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই যে তিনি কোনো প্রেক্ষাপটে কথাটা বলেছেন বা কতটুকু ইনফরমেশন উনার কাছে ছিল। আমাদের সীমাবদ্ধতা জানলে হয়তো এসব কথা উনি বলতেন কি না আমার সন্দেহ। এর বাইরে কিছু বলা আসলে ঠিক হবে না।’
এবারের বিপিএলের সমালোচনা শুরু হয় ডিআরএস না রাখা নিয়ে। এ প্রসঙ্গে বিসিবির সিইও বলেন, ‘ডিআরএস ভারত সিরিজেও ছিল। আমার এখানে ইকুপমেন্ট আছে, কিন্তু ম্যানপাওয়ার নেই। বিষয়টা হচ্ছে ওদের ওই যে কোম্পানিটা এ সাপোর্টটা দেবে, সে কোম্পানির যথেষ্ট জনবল দেওয়ার মতো নেই। এখন যে সিরিজগুলো হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে রেখে আমাদেরকে অ্যাভেলেবল দেওয়ার জন্য নেই। আমরা চেষ্টা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডিআরএসকে অ্যাভেলেবল করা যায়।’
ডিআরএস পেতে আইসিসিরি সহায়তাও নিয়েছিলেন জানিয়ে নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দুই-তিন মাস আগেই আমাদের প্রোডাক্টশন টিম বিষয়টি জানায়। এরপর আমরা আমাদের জায়গা থেকে ডিআরএস আনার সব চেষ্টা করেছি। আইসিসির সঙ্গেও এ নিয়ে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কোনো কারণে সেটা আনা সম্ভব হয়নি। কারণ একই সময়ে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চলছে। কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগও চলছে। এসব কারণেই আমরা ডিআরএস আনতে পারিনি।’
ডিআরএস না পাওয়ার পেছনে সাকিব টাকার বিষয়টি তুলে এনেছিলেন। জানিয়েছিলেন বাজেট সমস্যা হতে পারে। নিজামউদ্দ্নি চৌধুরী তা অস্বীকার করে বলেন, ‘এখানে টাকার বিষয় ছিল না। আমাদের মাথায় যখন এসেছে, আমরা সব সময় চেষ্টা চালিয়ে গেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে আইসিসির কমার্সিয়াল হেডের সঙ্গে কথা বলেছি। কারণ তার সঙ্গে ডিআরএসের ভালো সম্পর্ক। আমি অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি কিন্তু তারা এ সময় বুক অ্যান্ড লক। যেটা আমাদের সীমাবদ্ধতার বাইরে চলে গেছে।’
ডিআরএসে নিয়ে নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে বিসিবির সিইও বলেন, ‘আমাদের এখানে অবশ্যই সীমাবদ্ধতা ছিল। যে কারণে আমাদের প্রোডাক্টশন যারা করছে তারা সেটা আনতে পারেনি। আমরাও এটা জানার পর নিজের পক্ষ থেকে যথেষ্ট চেষ্টা করেছি। কিন্তু এই মুহূর্তে যারা ডিআরএস সার্ভিস দিয়ে থাকে, তাদের যথেষ্ট লোকবল নেই। ভারত সিরিজের পর ডিআরএসের জিনিসপত্র পড়ে আছে। কিন্তু ব্যবহার করার লোক নেই। কারণ হচ্ছে সীমাবদ্ধতা আর জনবল।’ কিন্তু সীমাবদ্ধতা কি ছিল তা তিনি আবার জানাতে রাজি হননি।
তিনি বলেন,‘ আমি সবার সমানে সীমাবদ্ধতা তো আপনাকে বিস্তারিত বলতে পারব না।’
এমপি/এমএমএ/