কথার মালায় বিপিএলের অধিনায়করা
বিপিএলে আসলেই বাংলা ব্যাকরণের ‘হ-য-ব-র-ল’ শব্দটি খুব বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। তা যেমন আয়োজক বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের দিক থেকে, তেমনি ফ্রাঞ্চাইজিদের পক্ষ থেকেও। অসংগতি আর বিশৃঙ্খলার শেষ নেই। সর্বশেষ অসংগতি ছিল ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে অধিনায়ক সবার না আসা। এমন একজন এসেছেন যাকে অধিনায়ক হিসেবে দলের পক্ষ থেকে আগে নাম ঘোষণা করা হয়নি। ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসে তিনি নিজেই জানান যে তিনি অধিনায়ক।
৭ অধিনায়কের উপস্থিতিতে ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার পরিবর্তে প্রতিনিধিত্ব করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ঢাকা ডমিনেটরসের অধিনায়ক হয়ে আসেন নাসির হোসেন। তার নাম আগে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। নাসির নিজে জানান, তিনি ঢাকার অধিনায়ক। এ ছাড়া নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের মাশরাফি বিন মর্তুজা, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ইমরুল কয়েস, রংপুর রাইডার্সের নুরুল হাসান সোহান, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের শুভাগত হোম ও খুলনা টাইগার্সের ইয়াসির আলী রাব্বি।
ট্রফি উন্মোচনের পর অধিনায়করা এবারের বিপিএল নিয়ে নিজেদের আশার কথা জানান।
মাশরাফি বিন মুর্তজা, সিলেট স্ট্রাইকার্স
‘শুরু হওয়ার পর বোঝা যাবে (বিপিএলের উত্তাপ)। তবে প্রত্যেকবারই খেলা শুরু হওয়ার পর তো খেলাটা ভালোই হয়। প্রতিযোগিতা থাকে। সবাই সবার দল নিয়েই ব্যস্ত থাকে। আশা করি, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলকই হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি চায় ভালো কিছু করতে। সব দলই চায় চ্যাম্পিয়ন হতে। আমরাও অবশ্য তার ব্যতিক্রম কিছু না। এটা তো আর বলে কয়ে হবে না। মাঠে ভালো করতে হবে। ওয়ান বাই ওয়ান ম্যাচ...। কাল যদি ভালো করতে পারি, এটা তো মোমেন্টামের খেলা। শেষের দিকে না তাকিয়ে আমরা শুরু থেকে ভালো করার চেষ্টা করব।’
ইমরুল কায়েস, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স
‘কুমিল্লা সব সময় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল করে। এ বছরও একই পরিকল্পনা। চেষ্টা করব এ বছরও শিরোপা ধরে রাখার জন্য। মাঠে ভালো খেলতে হবে। কাগজে কলমে যত শক্তিশালীই হন না কেন মাঠে খেলতে না পারলে লাভ হবে না।’
নাসির হোসেন, ঢাকা ডমিনেটরস
‘সবার মতো আমরাও চাইব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য। আমরা আশাবাদী, খুব ভালো কিছু করব। এর আগেও আমি অধিনায়কত্ব করেছি। প্রত্যেক টুর্নামেন্টেই সবার চ্যালেঞ্জ থাকে। এটা আমাদের জন্য একটা সুযোগ। এখানে ভালো করলে সামনের ক্যারিয়ারেও ভালো হবে। এটাতেই মনোযোগ থাকবে, সঙ্গে দল যেন ভালো ফল করে।’
শুভাগত হোম, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স
‘সবার যে লক্ষ্য আমারও সেই লক্ষ্য। আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই মাঠে নামব। আমাদের স্ট্রেন্থ হলো টিম স্পিরিট। দল ভারসাম্যপূর্ণ। সেই হিসেবে আমরা আশা করতেই পারি।’
ইয়াসির আলী, খুলনা টাইগার্স
‘নার্ভাস নই, এক্সাইটেড আসলে। জীবনের নতুন একটা জিনিস, তাও বিপিএলের মতো আসরে। চেষ্টা করব দলের জন্য ভালো কিছু করার। তামিম ভাইয়ের সঙ্গে দল গঠনের পর থেকেই কথা হচ্ছে। অধিনায়ক হওয়ার পর তেমন কথা হয়নি। শুধু বলেছেন, ‘আমাকে যখন তোর প্রয়োজন হবে আমি পাশে আছি। তোর কোনো কিছু লাগলে আমাকে বলিস। অবশ্যই হেল্প করব।’
কাজী নুরুল হাসান সোহান, রংপুর রাইডার্স
‘অবশ্যই আশা থাকবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। ট্রফি এখনো ধরিনি। যদি চ্যাম্পিয়ন হই তাহলেই ধরব। আমাদের দল তরুণ, প্রাণশক্তিতে ভরপুর। দলে অনেক অলরাউন্ডার আছে। মাঠে একশ ভাগ দিলে ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে। অনুশীলন তো আমাদের জন্য ভালো সুযোগ। সময়সীমা ছিল না, ইচ্ছামতো নিজেদের মাঠে অনুশীলন করতে পেরেছি। কিন্তু ম্যাচ মিরপুরে। এখানে নিজেদের শতভাগ দিতে হবে।’
মেহেদি হাসান মিরাজ, ফরচুন বরিশাল
‘আমি তো একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। দুইবার ফাইনাল খেলেছি। অবশ্যই শিরোপা জেতার লক্ষ্য থাকবে। চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে তো অবশ্যই ভালো লাগবে।’
এমপি/এসজি