শাকিলের সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে পাকিস্তান
করাচিতে তৃতীয় দিন শেষেও এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে চালকের আসনে নেই কিউইরা। সৌদ শাকিলের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে টিকে আছে স্বাগতিকরা।
বুধবারের (৪ জানুয়ারি) খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৪০৭ রান। ৪২ রানে পিছিয়ে থেকে আগামীকাল শাকিল ও আবরার আহমেদের ব্যাটে চতুর্থ দিন শুরু করবে স্বাগতিকরা। শাকিল অপরাজিত আছেন ১২৪ রানে। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থেমেছিল ৪৪৯ রানে।
কিউইদের জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় দিনেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল পাকিস্তান। মাত্র ৯৯ রানে হারায় তিন টপ-অর্ডার ব্যাটারকে। খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলেন ইমাম উল হক ও শাকিল। তাদের ব্যাটেই তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে এশিয়ার দলটি।
দিনের প্রথম ঘণ্টা ইমাম-শাকিলে পার করে দেয় স্বাগতিকরা। চতুর্থ উইকেটে তাদের ৮৩ রানের জুটি ভাঙেন টিম সাউদি। কিউই অধিনায়কের পেসে কাটা পড়েন ইমাম। ১৬৫ বলে তার ৮৩ রানের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ১টি ছক্কার মার। এরপর সরফরাজ আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের হাল ধরেন শাকিল।
পঞ্চম উইকেটে তাদের প্রতিরোধে আরও দেড়শ রান যোগ হয় পাকিস্তানের খাতায়। ড্যারিল মিচেলের বলে টম ব্যান্ডেল দ্বারা স্টাম্পিং হওয়ার আগে টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সরফরাজ। ১০ চারে করেন ৭৮ রান। কামরান আকমলের পর একমাত্র দ্বিতীয় পাকিস্তানি কিপার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।
৩৫ বছর বয়সী সরফরাজের পর শাকিলের সঙ্গে হাত মেলান আঘা সালমান। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে গড়ে তুলেন ৫৩ রানের জুটি। এই প্রতিরোধের মাঝপথে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পান শাকিল। তিন অঙ্কের রানে পৌঁছান ২৪০ বলে। খানিক বাদে অ্যাজাজ প্যাটেলের আঘাতে সাজঘরে ফেরেন ৪১ রান করা সালমান।
তখন পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ৩৮৫ রান। মনে হচ্ছিল, নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছাড়িয়ে যাওয়া কেবল মাত্র সময়ের অপেক্ষা পাকিস্তানের জন্য। কিন্তু দ্রুত সময়ে তিন উইকেট খুঁইয়ে হারিয়ে শেষ বিকেলে পথ হারায় স্বাগতিকরা। উইকেট তিনটি অ্যাজাজ ও ইশ সোধি নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেন।
৪ রান করা হাসান আলিকে ডেভন কনওয়ের ক্যাচ বানান অ্যাজাজ। এরপর একই ওভারে পরপর দুই বলে নাসিম শাহ (৪) ও মির হামজাকে (০) শিকার বানান সোধি। নিয়মিত উইকেট পতনের মধ্যেও শাকিল তার উইকেট অক্ষুণ্ণ রেখেছেন। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে ৩৩৬ বলে ১৭ চারে অপরাজিত আছেন ১২৪ রানে।
এসএন