মেঘ-বৃষ্টির দিনে খাজা ও লাবুশানের হাফ সেঞ্চুরি
ফর্ম ধরে রেখেই বছর শুরু করলেন মার্নাস লাবুশানে। ব্যাটিংয়ে ছন্দ ফিরে পেলেন উসমান খাজা। বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুজনের হাফ সেঞ্চুরির দিনে হলো মেঘ-বৃষ্টির খেলাও। তাতে সিডনিতে ‘নিউ ইয়ার’ টেস্টের প্রথম দিনে ব্যাট-বলের লড়াই হলো মোটে ৪৭ ওভার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৪৭ রান। মেঘাচ্ছন্ন আকাশের নিচে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হয় ‘পিঙ্ক টেস্টে’র টস। যা জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। খেলা মাঠে গড়াতেই প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। প্রোটিয়া পেসার আনরিচ নর্টজের গতির কাছে হার মানেন ডেভিড ওয়ার্নার। ১১ বলে ২ চারে মাত্র ১০ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি।
স্যাঁতস্যাঁতের আবহাওয়ায় গতির পাশাপাশি সুইংয়েও ভীতি ছড়ান নর্টজে এবং কাগিসো রাবাদা। দুই প্রোটিয়া পেসারের তোপের মুখে খুবই সতর্ক ছিলেন লাবুশানে। তাতে প্রথম ৩৯ বলে মাত্র ৮ রান করতে পারেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন এই টপ-অর্ডার ব্যাটার।
বোলিং-বান্ধবে কন্ডিশনে দারুণ ধৈর্যশীল ব্যাটিং উপহার দেন লাবুশানে ও খাজা।
দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের প্রতিরোধে দলের খাতায় যোগ হয় ১৩৫ রান (২৬১ রানে)। তাদের জুটিতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে প্রথম সেশনটা কাটিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। ধীর গতির ব্যাটিংয়ে ২৮ ওভারে পায় ৬৮ রানের পুঁজি।
দ্বিতীয় সেশনের দ্বিতীয় বলে খাজার বিরুদ্ধে সাইমন হার্মারের এলবির আপিলে আঙুল তুলে দেন ক্রিস গ্যাফানি। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন অজি ব্যাটার। কেননা, তিনি জানতেন যে বল লেগেছিল তার গ্লাভসে। বিফলে যায়নি খাজার সেই আত্মবিশ্বাস। রিভিউ নিয়ে টিকে যান উইকেটে।
দ্বিতীয় সেশনে পানি পানের বিরতি পর্যন্ত মেঘাচ্ছন আকাশের নিচে লড়াই চালিয়ে যায় দুই দল। এরপর আলোক স্বল্পতার কারণে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। খানিকবাদে শুরু হয় আকাশের কান্না। লম্বা সময় পর ফের মাঠে গড়ায় ব্যাট-বলের লড়াই। সেটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় লাবুশানের জন্য।
ম্যাচ পুনরায় শুরুর হওয়ার পর চতুর্থ ওভারের শেষ বলে লাবুশানেকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান নর্টজে। দলীয় ১৪৭ এবং ব্যক্তিগত ৭৯ রানে সাজঘরে ফেরেন লাবুশানে। এরপর আলোক স্বল্পতায় ফের খেলা বন্ধ হয়ে যায়। সেই অন্ধকার কাটার আগে বৃষ্টির আগমন। তাতে প্রথম দিনের খেলা ৪৭ ওভারেই সমাপ্ত করেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। ৫৪ রানে অপরাজিত আছেন খাজা।
এমএমএ/