কোচ নয় মিরাজের ভাবনায় ‘পারফর্ম’

জাতীয় দলে ক্রমেই নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি দরজায় কড়া নাড়ছিলেন জাতীয় দলে।
২০১৬ সালে তার জন্য জাতীয় দলের দরজা খুলে যায়। চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় মিরাজের। অভিষেকেই নজন কাড়েন বল হাতে। প্রথম ইনিংসেই তুলে নেন ৬ উইকেট। পরের ইনিংসে ১ উইকেট। টেস্টে বাংলাদেশে হেরেছিল ২২ রানে।
এরপর ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টে বাংলোদেশ জিতে। ১০৮ রানে বাংলাদেশ টেস্ট জিতে সিরিজ ড্র করে। আর এটি ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়। আর এ অসাধ্য সাদন সম্ভব হয়েছিল মিরাজের জন্যই। উভয় ইনিংনে তিনি তুলে নেন ৬টি করে ১২টি উইকেট। সিরিজে ১৯ উইকেট নিয়ে তিনি হন সিরিজ সেরা তার আগে জিতে নেন ম্যাচে সেরার পুরস্কার।
আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে মিরাজের পথ চলা শুরুর সময় জাতীয় দলের কোচ ছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সেই হাথুরুসিংহে আবারও মিরাজদের দায়িত্ব নিতে পারেন বলে গুঞ্জন বেশ পাখা মেলতে শুরু করেছে। অনেকেই মনে করছেন হাথুরুসিংহে কোচ হয়ে আসলে মিরাজের জন্য অনেক ভালো হবে। কারণ, তিনি হাথুরুসিংহের খুবই পছন্দের একজন ক্রিকেটার। কিন্তু মিরাজ তা মনে করেন না।
তিনি মনে করেন কোচের পছন্দনীয় হতে হলে আগে ‘পারফর্ম’ করতে হবে। তাই কোচকে হবেন তা নিয়ে তার ভাবনা নেই। কোচ যে হয়ে আসেন না কেন পারফর্ম করতে না পারলে খেলার সুযোগ পাওয়া কঠিন হবে। এখানে পছন্দের ক্রিকেটার হয়েও তাই লাভ হবে না যদি না পারফর্ম করতে না পারি।
তিনি বলেন, ‘এটা তো টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয়কে আসবে, না আসবে। যেহেতু উনার আন্ডারে আমার ডেব্যু হয়েছিল, অ্যান্ড অব দ্যাডেতে আমাকে কিন্তু পারফর্ম করতে হবে। আমি যদি পারফর্ম করতে না পারি তাহলে কিন্তু খেলতে পারবো না যে কোচই আসুক না কেন।’
এখানে পারফর্ম করেই খেলতে হবে। পছন্দ করুক না করুক সেটা ব্যাপার না। কোচ খেলোয়াড়কে পছন্দ করে যখন কেউ পারফর্ম করে, ওভারঅল সবাই পছন্দ করে। এখানে পারফর্ম করা গুরুত্বপূর্ণ, যে কোচই আসুক না কেন, যার আন্ডারে খেলি না কেন। পারফর্ম করলে খেলতে পারবো লং টার্ম। যেটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হবে।’
নতুন কোচের বিষয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে সবাই কিন্তু নিজের প্রস্তুতি জানে। আমি নিজেকে কীভাবে ইমপ্রুভ করবো কিংবা নিজের প্রস্তুতিটা কি? আলটিমেটলি খেলতে হবে কিন্তু খেলোয়াদের এবং ভালো খেলতে হবে। তাদের প্রস্তুতিটাই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের বেসিক এবং স্ট্রং যে জায়গাগুলো আছে সেগুলো আর স্ট্রং করতে হবে। আমাদের ল্যাকিংস যেগুলো আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করবো এই ঘরোয়া প্রতিযোগিতার ভেতরে। এরপর নতুন যারা আসবে (কোচ) তারা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সাজাবে।
সেখানে আমরা আমাদের থিংসগুলো (ভাবনা) দেব কিভাবে খেলতে পছন্দ করি বা আমাদের কোন জায়গায় কী প্রবলেম।’
এমপি/এমএমএ/
