পেলে বলেছিলেন, স্বর্গে খেলব ম্যারাডোনা

হঠাৎ খবর এল ডিয়েগো ম্যারাডোনা আর নেই। গোটা বিশ্বের মতো স্তব্ধ হয়ে পড়েন পেলেও। আবেগ মাখানো বাক্যে বিদায় জানিয়েছিলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে। পেলে বলেছিলেন, স্বর্গে খেলব ম্যারাডোনা।
২৫ বছর বয়সে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনাকে জেতান ১৯৮৬ বিশ্বকাপ। ফুটবলে পেলে ওমন দৃশ্যের মহানায়ক হয়েছেন কিশোর বয়সেই। ১৯৫৮ সালে ব্রাজিল প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় তার হাত ধরে। এরপর দলকে আরও দুটি বিশ্বকাপ জেতান তিনি— ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালে।
এখন পর্যন্ত তিনবার বিশ্বকাপজয়ী একমাত্র ফুটবলার পেলে। তার ফুটবল জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়েছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস এবং নর্থ আমেরিকান সকার লিগের নিউইয়র্ক কসমস। দুই কিংবদন্তিকে চিরন্তন এক বিতর্কও জন্ম নিয়েছে। সেটা হলো, কে সেরা?
একবার মুখোমুখি হয়েছিল ম্যারাডোনা-পেলে। তখন তাদের কাছে চাওয়া হয় কে সেরা। পেলে ঘুরিয়ে-পেচিয়ে দীর্ঘ এক জবাব দেন। ম্যারাডোনার ভাষ্য ছিল এমন, ‘ম্যারাডোনার মা মনে করেন, ম্যারাডোনা সেরা। পেলের মা মনে করেন, পেলে সেরা।’
অর্থাৎ প্রশ্ন প্রশ্নই থেকে যায়। যার উত্তর নেই ফিফার কাছেও। তাইতো ২০০০ সালে, ম্যারাডোনা ও পেলে দুজনকেই শতাব্দীর সেরা সহ-খেলোয়াড় ঘোষণা করে বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। মাঠে যেমনই হোক না কেন, মাঠের বাইরে তাদের মধ্যে ছিল মধুর এক বন্ধন।
তাইতো ম্যারাডোনাকে হারিয়ে পেলে লিখেছিলেন, ‘আমি একজন মহান বন্ধুকে হারিয়েছি এবং বিশ্ব একজন কিংবদন্তিকে হারিয়েছে। এখনো অনেক কিছু বলার আছে, কিন্তু আপাতত, ঈশ্বর তার পরিবারের সদস্যদের শক্তি দিক। আশা করি, একদিন একসঙ্গে আমরা স্বর্গে ফুটবল খেলব।’
শুধু ভাগ্যবিধাতা বলতে পারবেন— পেলের সেই ইচ্ছা পূরণ হবে কিনা। তবে আপাতত এতটুকু বলা যায়, দুজনেই এক স্বর্গের বাসিন্দা। যারা চিরকাল বেঁচে থাকবেন ফুটবলে।
আরএ/
