বাবর ও সহযোগী দেশের ক্রিকেটারদের দাপট, ওয়ার্নের মৃত্যু
পূর্ণ সদস্য না হলে টেস্টে ম্যাচ খেলার সুযোগ হয় না কারও। যে কারণে সহযোগী দেশগুলো ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে সীমাবদ্ধ থাকে। ২০২২ সালে রঙিন পোশাকের দুনিয়ায় ব্যাটিং-বোলিংয়ে এসব সহযোগী দেশের ক্রিকেটারদের দাপট ছিল বেশি। ব্যাটিংয়ে ওয়ানডেতে এবং বোলিংয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষস্থানগুলো তারাই দখল করে নিয়েছেন নিজ যোগ্যতায়।
২০২২ সাল ছিল বাবর আজমের। টেস্টে তিনি সর্বোচ্চ রান করার পাশাপাশি তিন ফরম্যাটে তার মোট রান আকাশছোঁয়া ২ হাজার ৫৮৪। টেস্টে করাচিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৬১ রানসহ ৯ টেস্টের ১৬ ইনিংসে তার মোট রান ১ হাজার ১৭০। ওয়ানডেতে ৯ ম্যাচে ৬৭৯ এবং টি-টোয়েন্টিতে ২৫ ম্যাচে ৭৩৫ রান। ৪৩ ম্যাচের ৫০ ইনিংসে তার মোট রান ২ হাজার ৫৮৪। সেঞ্চুরি ৮টি, হাফ সেঞ্চুরি ১৭টি। এর মাঝে টেস্টে ৪টি, ওয়ানডেতে ৩টি ও টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি ১টি। টেস্টে ৭টি, ওয়ানেডতে ৫টি ও টি-টোয়েন্টিতে হাফ সেঞ্চুরি ৫টি।
মোট রান সংগ্রহে বাবরের পরই আছেন বাংলাদেশের লিটন দাস। তিন ফরম্যাটে ৪২ ম্যাচের ৫০ ইনিংসে তার মোট রান ১ হাজার ৯২১। সেঞ্চুরি ৩টি, হাফ সেঞ্চুরি ১৩টি। টেস্টে লিটনের অবস্থান নয়ে, ওয়ানডেতে ১৯তম ও টি-টোয়েন্টিতে ২২তম। টেস্টে বাবরের পরেই আছেন ইংল্যান্ডের কাপ্তান জো রুট। ১৫ টেস্টের ২৭ ইনিংসে তিনি রান করেছেন ১ হাজার ৯৮। ৫টি সেঞ্চুরি আর ২টি হাফ সেঞ্চুরি আছে তার ঝুলিতে।
ওয়ানডেতে বাবর আজম অবশ্য উপরের দিকে থাকতে পারেননি। তার অবস্থান দশে। এখানে শীর্ষ ৫টি স্থানে অবশ্য নেই আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশের কোনো ক্রিকেটার। ২১ ম্যাচের ২০ ইনিংসে ব্যাট করে ৯৫৬ রান করে সবার উপরে আছেন নামিবিয়ার এরাসমাস। ২১ ম্যাচের ২১ ইনিংসে ব্যাট করে ৭৮১ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের অলভিন্দ। তিনে ও চারে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারন জোন্স (৭৭০ রান) ও প্যাটেল (৭৬৯ রান)। ৭৩৬ রান করে পাঁচে আছেন স্কটল্যান্ডের ম্যাকলড। এরপর ছয়ে আছেন ভারতের শ্রেয়াস আইয়ার। তিনি ১৭ ম্যাচের ১৫ ইনিংসে ব্যাট করে রান করেছেন ৭২৪।
টি-টোয়েন্টিতে সবার উপরে আছেন ভারতের নতুন সেনসেশন সূর্যকুমার যাদব। ৩১ ম্যাচের সবকটি খেলে তিনি রান করেছেন ১ হাজার ১৬৪। সেঞ্চুরিও করেছেন ২টি। সঙ্গে হাফ সেঞ্চুরি ৯টি। দুইয়ে আছেন পাকিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। ২৫ ম্যাচের ২৫ ইনিংসে ব্যাট করে রান করেছেন ৯৯৬। ২০ ইনিংসে ব্যাট করে ৭৮১ রান নিয়ে তিনে ভারতের বিরাট কোহলি। চারে আছেন জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা। তার রান ৭৩৫। ব্যাট করেছেন ২৪ ম্যাচের ২৩ ইনিংসে।
টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল নিউ জিল্যান্ডের টম লাথামের। ক্রাইস্টচার্চে তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছিলেন ২৫২ রান। ২০২২ সালে ডাবল সেঞ্চুরি হয়েছিল খুবই কম, মাত্র ৫টি। অপর ৪টি ছিল শ্রীলঙ্কার দিনেশ চান্দিমালের অপরাজিত ২০৬ এবং অস্ট্রেলিয়ার লাবুশেনের ২০৪, স্টিভেন স্মিথের অপরাজিত ২০০ ও ডেভিড ওয়ার্নারের ২০০। টেস্টের মতো ওয়ানডেতেও ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেটিও ছিল ডাবল সেঞ্চুরি। চট্টগ্রামে ভারতের ওপেনার ইশান কিশান খেলেছিলেন ২১০ রানের ইনিংস। টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চের। হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি খেলেছিলেন ১৭২ রানের ইনিংস।
টেস্ট ক্রিকেটের রং বদলে দেওয়া ইংল্যান্ডের রাওয়ালপিন্ডিতে ওভারপ্রতি ৬.৫০ করে ১০১ ওভারে করা ৬৫৭ রান ছিল দলগত সর্বোচ্চ। ওয়ানডেতেও সর্বোচ্চ রান ছিল ইংল্যান্ডের। তারা অ্যামসটেলভিনে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে করেছিল ৪৯৮ রান। টি-টোয়েন্টিতে এটি ছিল আফগানিস্তানের দখলে। তারা দেরাদুনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান সংগ্রহ করেছিল।
টেস্টে সর্বনিম্ন রান ছিল বাংলাদেশের, ৫৩। ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তারা করেছিল এই রান। ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে জিম্বাবুয়ে করেছিল সর্বনিম্ন ৭০ রান। টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন ২১ রান করেছিল তুরস্ক। তারা মাত্র ৮.৩ ওভারে অলআউট হয়েছিল চেক রিপাবলিকের কাছে।
রঙিন পোশাকে সহযোগী দেশের বোলাররা এগিয়ে
ওয়ানডেতে প্রথম পাঁচে সবাই সহযোগী দেশের বোলার। ওমানের বিলাল খান ১৬ ম্যাচে ৪৩ উইকেট নিয়ে আছেন সবার উপরে। তিনি ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনবার। দ্বিতীয় স্থানে আছেন নেপালের সম্পাল কামি। তিনি ২০ ম্যাচে পেয়েছেন ৩৫ উইকেট। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাসিল হামিদ ২১ ম্যাচে ৩২ উইকেট নিয়ে তালিকায় আছেন তৃতীয় সেরা। চারে নামিবিয়ার স্কলজ ও পাঁচে যুক্তরাষ্ট্রের নেট্ররাভালকার। তাদেরও উইকেট ৩২টি করে। গড় রানে তাদের স্থান নির্ধারণ হয়েছে। তিনজনেরই ৫ উইকেট করে আছে একবার করে। এরপর ছয়ে গিয়ে জায়গা পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা। ১২ ম্যাচে তার উইকেট ৩০টি।
২৮ ম্যাচের ২৬ ইনিংসে বোলিং করে ৪৫ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষে আছেন তানজানিয়ার এনকানিয়া। তিনি ৫ উইকেট পেয়েছেন একবার। ২৬ ম্যাচে ৩৯ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন আয়ারল্যান্ডের জসুয়া ব্রায়ান লিটল। ৩৮ উইকেট নিয়ে নেপালের লামিচানে তৃতীয়। তার ৫ উইকেট আছে একবার। চারে ভারতের ভুবনেশ্বর কুমার। তিনি ৩২ ম্যাচে পেয়েছেন ৩৭ উইকেট। ৫ উইকেট আছে একবার।
টেস্টে সবার উপরে দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা। তিনি মেলবোর্নে চলমান বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনিংসে ২ উইকেট নিয়ে ৪৭ উইকেট পেয়ে অস্ট্রেলিয়ার নাথান লিয়নকে পেছনে ফেলে উপরে উঠে এসেছেন। লিয়নের উইকেট ৪৬টি। এই টেস্টে লিয়ন দুই ইনিংসে বোলিং করে উইকেট পেয়েছেন ৪টি। ৪৬ উইকেট আছে ইংল্যান্ডের ম্যাথু লিচেরও। তিনি আছেন তিনে।
টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়ার ঘটনা ছিল মাত্র ৪টি। তারা হলেন- লিডসে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ম্যাথু লিচ (১০ উইকেট), গলেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার রোশান প্রভাত জয়াসুরিয়া (১২ উইকেট), মুলতানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে পাকিস্তানের লেগ ব্রেক বোলার আবরার আহমেদ (১১ উইকেট) এবং মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার আশিতা ফার্নান্ডো (১০ উইকেট)।
ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার ঘটনা আছে অনেক। সবচেয়ে বেশি ৪ বার ইনিংসে ৫ উইকেট করে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার রোশান প্রভাত জয়াসুরিয়া। তিনি ক্যারিয়ারের প্রথম ৩ টেস্টের ৬ ইনিংসে নিয়েছেন ৫টি করে উইকেট। এর মাঝে প্রথম ৩ ইনিংসেই ছিল ৫টি করে উইকেট। ৩ বার নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নাথান লিয়ন। এ ছাড়া ২ বার করে নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা ও কেশাভ মহরাজ, ইংল্যান্ডের ম্যাথু লিচ, অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স, নিউ জিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট ও ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ।
ওয়ানডেতে ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া একজন বোলারের জন্য খুবই কঠিন। কিন্তু সেই কঠিনেরেই জয় করেছেন ওমানের বিলাল খান ৩ বার ৫ উইকেট নিয়ে। এ ছাড়া ২ বার ৫ উইকেট নিয়েছেন করন কেসি।
টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৪ ওভার বোলিং করে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া আরও কঠিন। কিন্তু এখানেও সেই কঠিনকে একাধিকবার জয় করেছেন সুইডেনের জাকের তাকাউই ও আফ্রিকা মহাদেশের বুতসোয়ানার ধ্রুবকুমার মাইসুরিয়া। তারা ২ বার করে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
ডিসমিসালে রিশাভ পান্ত সবার উপরে
ভারতীয় দলে যে পরিমাণ ক্রিকেটার আছেন, তাদের দিয়ে দুইটি দল অনায়েসেই তৈরি করা যায়। যে কারণে তাদের অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন ক্রিকেটার অনেক সময় সেরা একাদশে সুযোগ করে নিতে পারেন না। এমনই একজন উইকেটকিপার ব্যাটার রিশাভ পান্ত। অনিয়মিত তিন ফরম্যাটে খেলেও উইকেটের পেছনে থেকে ৬২টি উইকেট শিকার করেছেন রিশাভ পান্ত। এরকম সাফল্য আর কোনো ক্রিকেটারের নেই।
৭ টেস্টের ১৪ ইনিংসে ২৯টি (২৩টি ক্যাচ, ৬টি স্টাম্পিং), ওয়ানডেতে ১২ ম্যাচের ১১ ইনিংসে ১৭টি (সবকটিই ক্যাচ) এবং টি-টোয়েন্টিতে ২৫ ম্যাচের ২৪ ইনিংসে ১৬টি (১৪টি ক্যাচ, ২টি স্ট্যাম্পিং) ডিসমিসাল ছিল তার। তবে কোনো ফরম্যাটে তিনি শীর্ষে ছিলেন না। সবার উপরে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ভেরেন। তিনি ১১ টেস্টের ১৯ ইনিংসে ৩৬টি ক্যাচ ও ৩টি স্ট্যাম্পিং করে ৩৯টি ডিসমিসাল করেছেন।
ওয়ানেডেতে সবার উপরে আছেন স্কটল্যান্ডের ম্যাথু হেনরি ক্রস। ২১ ম্যাচে তার ডিসমিসাল ৩০টি। ক্যাচ ২৭টি, স্টাম্পিং ৩টি। দুইয়ে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ক্যারি। ১৭ ম্যাচ খেলে ২০ ক্যাচ আর ২ স্টাম্পিং নিয়ে তার ডিসমিসাল ২২টি। তিনে আবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিরিতিয়া অরবিন্দ। ২১ ম্যাচে তারও ডিসমিসাল ২২টি। ক্যাচ আছে ১৯টি, স্টাম্পিং ৩টি। চারে আছেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম। মাত্র ১২ ম্যাচে তিনি ডিসমিসাল করেছেন ২১টি। ১৫টি ক্যাচের সঙ্গে ৬টি স্টাম্পিং।
টি-টোয়েন্টিতে প্রথম দুটি স্থানই সহযোগী দেশের। আয়ারল্যান্ডের জন টুকার ও কেনিয়ার ইরফান আলী করিম। টুকার ২৭ ম্যাচে ডিসমিসাল করেছেন ২৬টি। ২৩টি ক্যাচের সঙ্গে ৩টি স্টাম্পিং। ১৫ ম্যাচে ৯ স্টাম্পিং ও ১৬টি ক্যাচ ধরে ২৫ ডিসমিসাল করিমের। তিনে দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক। ১৬ ম্যাচে ২৩ ডিসমিসাল তার। ক্যাচ ২২টি, স্টাম্পিং ১টি।
ফিল্ডিংয়ে ১৫ টেস্টে ২২ ক্যাচ ধরে টেস্টে সবার উপরে ইংল্যান্ডের জ্যাক ক্রোলি। দুইয়ে ক্রোলির অধিনায়ক জো রুট। ১৫ টেস্টে তিনি ক্যাচ ধরেছেন ২১টি। ওয়ানডেতে স্কটল্যান্ডের ম্যাকলয়েড আছেন সবার উপরে। ১৬ ম্যাচে ক্যাচ ধরেছেন ২১টি। দুইয়ে ভারতের শেখর ধাওয়ান। তার ক্যাচ সংখ্যা ১৪টি। ইনিংস ২১টি।
টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষে আয়ারল্যান্ডের রিচার্ড আদিয়ার। ২৭ ম্যাচে ক্যাচ ১৮টি। দ্বিতীয় স্থানে নিউ জিল্যান্ডের ডমিনিক ফিলিপস। ২১ ম্যাচে ক্যাচ ১৭টি।
শেন ওয়ার্নসহ তিন অস্ট্রেলিয়ানের মৃত্যু
২০২২ সাল ছিল লেগ স্পিনের জাদুকর কিংবদন্তি শেষ ওয়ার্নকে হারানোর বছর। মাত্র ৫২ বছর বয়সে ৪ মার্চ তিনি থাইল্যান্ডে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ২০০০ সালে আইসিসির শতাব্দীর সেরা ৫ ক্রিকেটারের একজন হয়েছিলেন তিনি। ওয়ার্ন ৭০৮ উইকেট নিয়ে মুরালিধরনের ৮০০ উইকেটর পরই ছিলেন তিনি। ওয়ানডেতে তার উইকেট ছিল২৯৩টি।
শেন ওয়ার্নের মতো ক্রিকেটারকে হারানো ক্রিকেট বিশ্বের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। অস্ট্রেলিয়ার জন্য একটু বেশিই। একে তো তারা ওয়ার্নের মতো ক্রিকেটারকে হারিয়েছে। সঙ্গে হারিয়েছে রডনি মার্শ ও এন্ড্রু সায়মন্ডসের মতো আরও ক্রিকেটারকে।
২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে প্রথমে অজিরা হারিয়েছিল রডনি মার্শ ও শেন ওয়ার্নকে। প্রথমে মারা যান রডনি মার্শ। তিনিও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অ্যাডিলেডের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ৭৪ বছর বয়সে মারা যান। রডনি মার্শ ৯৬ টেস্টে ৩৪৩টি ক্যাচ ও ১২টি স্টাম্পিং করার পাশাপাশি ওয়ানডেতে ৯২ ম্যাচ খেলে ১২০ ক্যাচ ও ৪টি স্টাম্পিং করেছিলেন। টেস্টে তিনি অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (৪১৬) ও ইয়ান হিলির (৩৯৫) পরই রডনি মার্শের অবস্থান।
এন্ড্রু সায়মন্ডস মারা যান কুইসল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনায়। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৬ বছর। রাত ১১টার দিকে তার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে যায়। অলরাউন্ডার সায়মন্ডস ২৬ টেস্টে ১ হাজার ৪৬২ রান ও ২৪ উইকেট এবং ওয়ানডেতে ১৯৮ ম্যাচ খেলে ৫ হাজার ৮৮ রান ও ১৩৩ উইকেট নিয়েছিলেন।
এমপি/এসজি