টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটে রং বদল

করোনার কারণে থমকে পড়া ক্রিকেটাঙ্গনে প্রাণ ফিরে আসে ২০২২ সালে। বছরের প্রথম দিন থেকেই ক্রিকেট ছিল মাঠে। সেদিন টেস্ট ক্রিকেটে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ড। টেস্ট ক্রিকেটের পরিসমাপ্তি ঘটবে ৩০ ডিসেম্বর। যদি পঞ্চম দিন খেলা গড়ায় তাহলে মাঠে থাকবে করাচিতে পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ড এবং মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০২২ সালেই অনুষ্ঠিত হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। চাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড। আয়োজন ছিল নারী ও পুরুষদের টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ। পুরুষ বিভাগে শ্রীলঙ্কা ও নারী বিভাগে ভারত জিতে নেয় শিরোপা।
২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিল টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের পরিবর্তন। তারা টেস্ট ক্রিকেটে খেলার ধরনই বদলে দিয়েছে। মারমুখী ব্যাটিংয়ে সাদা পোশাকের চিরায়িত ধারাকেই বদলে দিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথম দিনেই তুলেছে রেকর্ড ৫০৪ রান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় শিরোপা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইন্ডিজের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ইংল্যান্ড দুইবার শিরোপা জিতে নেয়। অস্ট্রেলিয়ায় এই আসর বসেছিল অক্টোবর-নভেম্বরে। এটি হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে। করোনার কারণে তা পিছিয়ে গিয়েছিল।
১২ দলের আসরের ফাইনালে ইংল্যান্ড পাকিস্তানকে কোনো পাত্তাই দেয়নি। পাকিস্তানকে আটকে রেখেছিল ৮ উইেকেটে ১৩৭ রানে। সেই রান তারা তাড়া করে ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান করে। ম্যান অব দ্য ফাইনাল ও ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হন ইংল্যান্ডের স্যাম কারেন। ইংল্যান্ড এর আগে শিরোপা জিতেছিল ২০১০ সালে উইন্ডিজে। উইন্ডিজ শিরোপা জিতেছিল ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় ও ২০১৬ সালে ভারতে।
এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কার
দেশের রাজনৈতিক পরিস্তিতি যখন অশান্ত, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুবই বাজে, এমন একটি সময়ে শ্রীলঙ্কা জিতে নেয় টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ। ফাইনালে তারা পাকিস্তানকে হার মানায় ২৩ রানে। আগে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে করেছিল ১৭০ রান। জবাব দিতে নেমে পাকিস্তান ১৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ফাইনালে সেরা হন ভানুকা রাজাপাকসে। আসর সেরা হন হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। এই আসরে বাংলাদেশ দল সুপার ফোরেই উঠতে পারেনি।
নারী এশিয়া কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার ভারতের
এশিয়া কাপের আগের আসরে বাংলাদেশ ছিল চ্যাম্পিয়ন। আসরটি হয়েছিল ৫০ ওভারে। কিন্তু এবার ঘরের মাঠে সিলেটে অনুষ্ঠিত আসরে স্বাগতিকরা সেমিফাইনালেই উঠতে পারেনি। থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রত্যাশিত জয় পেলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি হলে বাংলাদেশের সর্বনাশ হয়ে যায়। আবার পাকিস্তানকে থাইল্যান্ড ৪ উইকেটে হারালে বাংলাদেশের জন্য আরও বিপর্যয় নেমে আসে।
ফাইনালে ভারত শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করে। ৮ আসরের মাঝে ভারত শুধু গতবারই চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে মাত্র ৬৫ রান করে। ভারত সেই রান টপকে যায় মাত্র ৮.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭১ রান করে। ম্যাচ সেরা হন ভারতের রেনুকা সিং। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেন ভারতের দিপ্তি শর্মা।
সফল ও সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলা দল ইংল্যান্ড
২০২২ সালে মোট টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত (দুইটি চলমান: পাকিস্তান-নিউ জিল্যন্ড ও অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা) হয়েছে ৮৬টি। সবচেয়ে বেশি ১৫টি টেস্ট খেলেছে ইংল্যান্ড। সফল দলও তারা। ৯টিতে জয় পেয়েছে, ড্র ও হার তিনটি করে। শতকরা সাফল্য ৬০ ভাগ। ১১টি করে টেস্ট খেলেছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। মেলবোর্নে চলমান বক্সিং ডে টেস্ট ছাড়া বাকি ১০ টেস্টে দুই দলেরই জয় ৬টি করে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা যেখানে বাকি ৪ টেস্টেই হেরেছে, সেখানে অজিদের হার ১টিতে। বাকি ৩টি তারা ড্র করেছে।
১০টি টেস্ট খেলে তৃতীয় সর্বোচ্চ দেশ বাংলাদেশ। জয় এসেছে মাত্র ১টিতে। ড্রও ১টিতে। বাকি ৮টিতেই হার। সাফল্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশই সবার নিচে। শতকরা সাফল্য ১০ ভাগ। এ ছাড়া পাকিস্তান ৯টি (নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে চলমান করাচি টেস্ট) নিউ জিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা ৮টি এবং ভারত ও উইন্ডিজ ৭টি করে টেস্ট খেলেছে। বাংলাদেশের মতো পাকিস্তানেরও জয় ১টিতে। নিউ জিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, উইন্ডিজের জয় ২টি করে। ভারতের জয় ৪টিতে।
ইংল্যান্ডের হাত ধরে টেস্ট ক্রিকেটে রং বদল
ইংল্যান্ড এবার সাদা পোশাকের ক্রিকেটে এনেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ইংল্যান্ড দলে এরকম পরিবর্তনের ডাক দেন নিউ জিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই। তিনি দায়িত্ব নেন মে মাসে। এরপর ইংল্যান্ড ১০টি টেস্ট খেলে হেরেছে মাত্র ১টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইনিংস ও ১২ রানে। বাকি সবকটিতেই ইংল্যান্ড জিতেছে। কিন্তু হারেনি কোনো সিরিজ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও নিউ জিল্যান্ড ও পাকিস্তানকে করে হোয়াইটওয়াশ। এমনকি করোনার কারণে গত বছর ভারতের বিপক্ষে না খেলা টেস্ট এবছর খেলে জয়ী হয় ইংল্যান্ড। সবগুলো জয়ই ছিল অনায়েসে।
ম্যাককালামের কী ছিল সেই বৈপ্লিক পরিবর্তন। লাল বলে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে তিনি বানিয়ে ফেলেন সাদা বলের রঙিন পোশাকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ইংল্যান্ড প্রথম দিনই সংগ্রহ করে রেকর্ড ৪ উইকেটে ৫০৬। প্রথম দিনই সেঞ্চুরি করেন ৪ জন। ওভারপ্রতি ৬.৫০ করে ১০১ ওভারে করেছিল ৬৫৭ রান।
পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিয়ে ৩ সেঞ্চুরিতে ৫৭৯ রান করেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও ইংল্যান্ড দ্রুত ওভারপ্রতি ৭.৩৫ করে রান সংগ্রহ করে ৭ উইকেটে ৩৬.৫ ওভারে ২৬৪ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। পরে পাকিস্তানকে ৩৪৩ রানের চ্যালেঞ্জ দিয়ে ২৬৮ রানে অলআউট করে ম্যাচ জিতেছিল ৭৪ রানে। এটি একটি উদারণ ছিল।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরের লিগপর্বের খেলা শেষ পর্যায়ে এসে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন দুই দল ফাইনাল খেলবে তা নিশ্চিত হয়নি। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নিউ জিল্যান্ড এই লড়াইয়ে নেই। রানার্সআপ ভারত ১৪ ম্যাচে ৯৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে আছে লড়াইয়ে। সবার উপরে থাকা অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ১৩ ম্যাচে ১২০। ১১ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা আছে তৃতীয় স্থানে। মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান বক্সিং ডে টেস্ট ছাড়াও আরও ৩টি টেস্ট খেলবে তারা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১টি, উইন্ডিজের বিপক্ষে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস ট্রফির ২টি। অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও ভারতের বিপক্ষে খেলবে ৪ টেস্টের বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। লিগপর্বের খেলা শেষ হবে ১৭-২১ মার্চ, শ্রীলঙ্কা-নিউ জিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে। ফাইনাল খেলা হবে জুনে ওভালে।
ওয়ানডেতে বেশি ম্যাচ ভারতের, সাফল্য পাকিস্তানের
আইসিসিরি পূর্ণ সদস্য ছাড়াও সহযোগী দেশগুলোও খেলে থাকে। যে কারণে খেলার পরিমাণও বেড়ে যায়। মোট খেলা হয়েছে ৩২২টি। সবচেয়ে বেশি ২৪টি ম্যাচ খেলেছে ভারত। ২১টি করে ম্যাচ খেলেছে উইন্ডিজের পাশাপাশি আইসিসির সহযোগী সদস্য নেপাল, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১৯টি ম্যাচ খেলে তৃতীয় স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র। পাপুয়া নিউগিনি খেলেছে ১৮টি। ১৭টি ম্যাচ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া ১৬টি করে ম্যাচ খেলেছে নিউ জিল্যান্ড ও ওমান। বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডস খেলেছে ১৫টি করে। ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের ম্যাচ খেলার সংখ্যা ১২টি করে। ১১টি খেলেছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ৯টি। সবচেয়ে কম ৬টি খেলেছে আয়ারল্যান্ড।
এখানে সাফল্য বেশি পাকিস্তানের। ৯ ম্যাচের ৮টিতেই এসেছে জয়। সাফল্য ৮৮.৮৮ ভাগ। আফগানিস্তান ১২ ম্যাচের ৮টিতে জিতেছে। সাফল্য শতকরা ৭২.৭২ ভাগ। সাফল্যোর দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে স্কটল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ড। স্কটল্যান্ড ২১ ম্যাচে ১৫ জয় ও নিউ জিল্যান্ড ১৬ ম্যাচে ১০ জয়ে তাদের সাফল্য ৭১.৪২। এরপরের স্থানই বাংলাদেশের। ১৫ ম্যাচের ১০টিতে জিতে বাংলাদেশের সাফল্য ৬৬.৬৬।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের ৭ দল চূড়ান্ত
ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর বসবে আগামী বছর ভারতে। ১০ দলের আসরে স্বাগতিক ভারত ছাড়া ওয়ানডে সুপার লিগ থেকে সরাসরি ৭টি দল এবং বাছাইপর্ব থেকে উঠে আসবে দুই দল। এই ১০ দল খেলবে বিশ্বকাপে। ২০২০ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া ওয়ানডে সুপার লিগ শেষ হবে ২০২৩ সালের মে-তে। ওয়ানডে সুপার লিগে আইসিসির পূর্ণ ১২ সদস্য ও ২০১৫-১৭ সালে অনুষ্ঠিত আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগ জেতা নেদারল্যান্ডস এই ১৩ দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত সুপার লিগ।
ইতোমধ্যে ৭টি দল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এই ৭টি দল হলো- বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান, নিউ জিল্যান্ড, পাকিস্তান ও স্বাগতিক ভারত। বাকি ১টি স্থানের জন্য লড়াই হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, উইন্ডিজ ও আয়াল্যান্ডের মাঝে। ২৪ ম্যাচে উইন্ডিজের পয়েন্ট ৮৮। শ্রীলঙ্কা ২১ ম্যাচ খেলে পয়েন্ট পেয়েছে ৭৭। ২১ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট আয়ারল্যান্ডের। দক্ষিণ আফ্রিকার ১৬ ম্যাচে পয়েন্ট ৫৯।
দক্ষিণ আফ্রিকার খেলা বাকি আছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে ৩টি করে। শ্রীলঙ্কা খেলবে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে এবং আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবে ৩টি করে ম্যাচ। উইন্ডিজের কোনো ম্যাচ বাকি নেই। তাদের সেরা আটে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডসের কোনো সম্ভাবনা নেই। তাদের বাছাইপর্ব খেলে আসতে হবে।
টি-টোয়েন্টি খেলেছে ৮৮টি দেশ
ওয়ানডেতে খেলেছিল ২০টি দেশ। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে ৮৮টি দেশ। মোট খেলা হয়েছে ১০৬২টি। পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মাঝে সাফল্যের শীর্ষে ভারত। ৪০ ম্যাচ খেলে ২৮টিতে জিতে তাদের সাফল্য ৭৩.০৭। পূর্ণ সদস্য অপর দেশগুলোর মাঝে আফগানিস্তান ১৮ ম্যাচের ৮টিতে জিতে সাফল্য ৪৪.৪৪। অস্ট্রেলিয়া খেলেছে ২১টি। জয় পেয়েছে ১২টিতে। সাফল্য ৬২.৫।
ইংল্যান্ড ২৭ ম্যাচে ১৫ জয়ে সাফল্য ৫৭.৬৯। আয়ারল্যান্ড ২৭ ম্যাচে ১১ জয়ে সাফল্য ৪০.৭৪। নিউ জিল্যান্ড ২২ ম্যাচে ১৫ জয়ে সাফল্য ৭০.৪। পাকিস্তান ২৬ ম্যাচে ১৪ জয়ে সাফল্য ৫৩.৮৪। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৮ ম্যাচে ৯ জয়ে সাফল্য ৫৬.২৫।
শ্রীলঙ্কা ২৫ ম্যাচে ১১ জয়ে সাফল্য ৪৬ ভাগ। উইন্ডিজ ২৪ ম্যাচে ৮ জয়ে সাফল্য ৩৪.৭৮। জিম্বাবুয়ে ২৪ ম্যাচে ১২ জয়ে সাফল্য ৫২.১৭। পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মাঝে সবচেয়ে বাজে ফলাফল বাংলাদেশের। ২১ ম্যাচে মাত্র ৬ জয় নিয়ে সাফল্য ৩০ ভাগ।
সহযোগী দেশগুলোর মাঝে কেবল আইল্যান্ড শতভাগ সাফল্য দেখিয়েছে। তারা ৫ ম্যাচ খেলে সবকটিতেই জয় পেয়েছে। পরের অবস্থানেই আছে বেলজিয়াম। তারা ৮ ম্যাচের ৭টিতে জিতে সাফল্য পেয়েছে ৮৭.৫ ভাগ। তৃতীয় স্থানে আছে কুয়েত। ৮ ম্যাচে জয় পেয়েছে ৬টিতে। সাফল্য ৮১.২৫। ২৯ ম্যাচ খেলে ২১ জয় পেয়ে ৮০.৭৬ সাফল্য নিয়ে চারে আছে তানজিনিয়া।
এমপি/এসজি
