সাকিবের দৃষ্টি ২০২৩ সালে

২০১০ সালে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে ১০টি। জয় পেয়েছে একটিতে। যেটি ছিল বছরের প্রথম টেস্ট।মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশ সেই টেস্ট জিতেছিল ৮ উইকেটে। এরপর আর কোনো টেস্ট জিততে পারেনি। শুধুমাত্র ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি টেস্ট ড্র করতে পেরেছিল। বাকি ৮ টেস্টেই হার। ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে ১৫টি। জয় পেয়েছে ১০টি। হেরেছে ৫টিতে।
সিরিজ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতের মতো দলের বিপক্ষে। টি-টেয়েন্টি ২১টি ম্যাচ খেলে জয় মাত্র৬টিতে। একটি হয়েছে পরিত্যক্ত। বাকি সবগুলোতে হার। এই তিন ফরম্যাটের মাঝে সাকিব টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে। কিন্তু তিনি মনে করেন ওভারঅল ২০২২ সালে বাংলাদেশ দল হিসেবে খুবই ভালো করেছে। এখন তিনি ২০২৩ সালের দিকে তাকিয়ে।
২০২২ সাল নিয়ে সাকিব বলেন, ‘হতাশার গল্পগুলো আপনারা সুন্দর করে বলতে পারেন, ভালো গল্পগুলো সুন্দর করে বলতে পারেন না। সমস্যা এটাই। যেটা আমি বললাম, ওভারঅল যদি সামারি টানি ২০২২ সালের, আমরা ভালো খেলেছি। খুবই ভালো ক্রিকেট খেলেছি। যে জায়গাগুলোয় আমাদের ঘাটতি ছিল, সেখানে অনেক বেশি উন্নতি করেছি আমার কাছে মনে হয়। আমাদের এখন যে ধরনের চিন্তাধারা, ড্রেসিংরুমে যে ধরনের কথা হয়, যে ধরনের লিডারশিপ এখন তৈরি হচ্ছে, ২০২৩ সালে আমরা অবশ্যই দেখব বলে আমার মনে হয়।’
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। টেস্ট প্রাপ্তির ২২ বছরে ১৩৬ টেস্ট খেলে জয় পেয়েছে মাত্র ১৬টিতে। ড্র করতে পেরেছে ১৮টিতে। বাকি সবগুলোতেই হার। তারপরও সাকিব মনে করেন ২০২৩ সালে যে কটি টেস্ট খেলবেন,তাদে জেতা উচিত।
তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালে আমাদের তিনটা বা পাঁচটা টেস্ট ম্যাচ আছে এফটিপিতে, যেটা আমি জানি। আমি মনে করি তিনটি সিরিজই আমাদের জেতা উচিত, যে ধরনের দলের সঙ্গে আমরা খেলব। অবশ্যই জেতা উচিত।’
২০২৩ সালে বাংলাদেশ পাঁচটি টেস্টে খেলবে। সবগুলো ঘরের মাঠে। বছরের শুরুতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে একটি টেস্ট। এরপর জুন-জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ। বছরের শেষের দিকে বাকি দুই টেস্ট খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি নাজুক অবস্থা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। চলতি বছর কিছুটা হলেও সেখানে ভালো করতে পেরেছেন সাকিবরা। বিশেষ করেটি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এই আলোকে সাকিব মনে করেন আগামী ৬ মাসের মাঝে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তারা একটা দল হিসেবে দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতেও আমরা বেশ ভালো একটা অবস্থায় চলে আসছি। আমার ধারণা, ৬ মাসের মধ্যে আমরা এক দল দাঁড় করাতে পারব যেটা ২০২৪ বিশ্বকাপে খুব ভালো করবে। যেটা আমরা হয়তো প্রত্যাশাও করি না, ততটা ভালো করার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করি, যেহেতু বিশ্বকাপটা ওয়েস্ট ইন্ডিজে।’
২০২৩ সাল ওয়ানডে বিশ্বকাপের বছর। এই ফরম্যাটই বাংলাদেশের আধার ঘরের বাতি। সাকিব এই ফরম্যাটের অধিনায়ক নন। তামিম ইকবাল দিয়ে থাকে নেতৃত্ব। কিন্তু সাকিব মনে করেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খুবই ভালো করবে।
তিনি বলেন, ‘ওয়ানডেতে আমরা সেটেলড দল। যেখানে আমাদের ভালো না করার কোনো কারণই নেই। ২০১৪ সালের পর থেকে ঘরের মাঠে মনে হয় একটা সিরিজ হেরেছি কেবল। ওয়ানডেতে খারাপ করার কোনো কারণ আছে বলে মনে করি না। বিশ্বকাপের বছর। অবশ্যই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এই একটা জায়গায় আমরা যে ধরনের প্রত্যাশা নিয়ে যাই, সেভাবে পারফর্ম করতে পারি না। তবে আমরা যদি, দল হয়ে খেলতে পারি, অবদান সব জায়গা থেকে আসে, তাহলে আমার ধারণা এই বিশ্বকাপ আমাদের খুব ভালো যাবে।’
এমপি/এমএমএ/
