১৪৪ রানের লিড পেল বাংলাদেশ

নুরুল হাসান সোহানের পর তাসকিনকে নিয়ে বেশ ভালই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন লিটন দাস এই দুই জুটির প্রতিরোধের কারণে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ নিজেদের লিডকে বাড়িয়ে নিতে পেরেছে ২৩১ রানে অলআউট হয়ে। লিড পেয়েছে ১৪৪ রানের। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছিল ২২৭ রান। ভারতের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ছিল ৩১৪ রান।
বাংলাদেশের লিড যে বেড়ে ১৪৪ রান হয়েছে তার মূল কৃতিত্ব বলা যায় লিটন দাসের সঙ্গে নূরুল হাসান সোহান ও তাসকিনের জুটি। এই দুই জুটিতেই ইনিংসের সর্বোচ্চ রান আসে। সপ্তম উইকেট জুটিতে লিটন ও নুরুল হাসান যোগ করেন ৪৬ রান ।অষ্টম উইকেট জুটিতে লিটন ও তাসকিনের সংগ্রহ ছিল ৬০ রান।
লিটনের সঙ্গে নূরুল হাসান যখন জুটি বাঁধেন তখন দলের রান ছিল ৬ উইকেটে ১১৩। সেখান থেকে পরের দুই উইকেটে রান যোগ হয় ১০৬ রান। যে লিড বাংলাদেশ পেয়েছে, তাতে করে জয়ের আশা করা যায় না ।তবে ভারতকে অন্তত কিছুটা লড়াই করার মতো লিড দিতে পেরেছে। খেলাকে নিয়ে যেতে পেরেছে চতুর্থ দিন।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে তাইজুল বলেছিলেন অন্তত আড়াইশো রানের লিড চান এবং জয়ের জন্য তারা খেলবেন। কিন্তু সেই আড়াইশো রানই বাংলাদেশ করতে পারিনি। প্রথমে ইনিংসের তুলনায় তারা ৪ রান বেশি করতে পেরেছে। ২২৭ রানের পর ২৩১ রান।
প্রথম সেশনে চার উইকেটের পর দ্বিতীয় সেশন এর প্রথম ঘন্টায় ২ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় সেশন পুরোটাই টিকে থাকা বাংলাদেশের জন্য কঠিন হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সেই কঠিনেরেই জয় করেন লিটন দাস, নুরুল হাসান ও তাসকিন। বলা যায় এই তিনজন বেশ ভুগিয়েছেন ভারতীয় বোলারদের। তাসকিনকে তো শেষ পর্যন্ত আউটই করা যায়নি। ৩১ রান করে তিনি অপরাজিতা থাকেন।
চাবিরতীর আগে জুটি বেঁধেছিলেন লিটন ও তাসকিন। তখনই তারা ৩৬ রান যোগ করে ফেলেছিলেন। চাবিরতির পরও তাদের রান করা অব্যাহত থাকে ।ভারতীয় বোলাররা নানা চেষ্টা করেও দুজনকে বিভ্রান্ত করতে পারেননি। লিটন দাস ব্যাটসম্যান হলেও তাসকিন ছিলেন মূলত বোলার।
দুজনে মিলে ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম জুটিতে ৫০ রান এনে দেন। বেশ কয়েকবার জীবন পেয়ে লিটন দাস অবশেষে ৭৩ রানে আউট হন মোহাম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে। তিনি ৯৮ বল খেলে সাতটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন। লিটন দাস আউট হওয়ার পর পরই তাইজুলকেও ফিরিয়ে দেন অশ্বিন এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে।
শেষ ব্যাটসম্যান খালেদাষকে কে নিয়ে তাসকিন লিড বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু জুটিতে ১১ রান যোগ হওয়ার পর খালেদ ৪ রানে রান আউট হয়ে গেলে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। তাসকিন তখন ৪৬ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩১ রান করে অপরাজিত। আকসার প্যাটেল ৪১ রানে নেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ সিরাজ ৪১ ও অশ্বিন ৬৬ রানে নেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট ছিল উমেশ যাদব ও জয়দেব উনাতকাটের
এমপি/এমএমএ/
