ভেঙে গেল লিটন-নুরুলের প্রতিরোধও

প্রথম সেশনেই ৪ উইকেট হারিয়ে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টার মাঝেই আরও ২ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়কে আরও গভীরে নিয়ে যায়। কিন্তু সেই বিপর্যয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধের ডাক দেন লিটন দাস ও নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু সেই প্রতিরোধও টিকতে পারোনি। জুটিতে ৪৭ রান আসার পর নূরুল হাসান সোহান আউট হয়ে যান। দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেট ১৯৫। দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারানোর পরও যোগ করে ১২৪ রান। বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ১০৮ রানে। লিটন দাস ৫৮ ও তাসকিন ২৯ রানে অপরাজিত।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই লক্ষ্য ছিল ভারতের রান টপকে যাওয়া, সেই সঙ্গে যতটা সম্ভব লিড বাড়িয়ে নেওয়া। পাশাপাশি চট্টগ্রামে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করা জাকির হাসান দ্বিতীয় টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেন কি না সেটা দেখা। দুটো কাজই বাংলাদেশ করেছে নির্বিঘ্নে কিন্তু তৃপ্তি ছিল এতটুকুতেই। কারণ ১২৯ বলের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলে জাকির হাসান হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর পরই আউট হয়ে যান। তার আগে বাংলাদেশ ভারতের রানকে পেছনে ফেলে লিডও নিয়ে নেয়।
হাফ সেঞ্চুরি করেই জাকির হাসানের আউট হওয়া। ছিল অনেকটা অভিষেক টেস্টে চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি করার পরপরই আউট হওয়ার মতোই চট্টগ্রামে জাকির সেঞ্চুরি করার পর আর কোনো রান করতে পারেননি। আজ উমেশ যাদবের বলে স্টেট ড্রাইভে তিন রান নিয়ে তিনি হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এরপর আর মাত্র ১ রান যোগ করতে পেরেছিলেন। উমেশ যাদবের পরের ওভারে অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল অনায়েসে ছেড়ে দিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে খেলতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মোহাম্মদ সিরাজের হাতে তালুবন্দি হন। তার ১৩৫ বলের ইনিংসে ছিল পাঁচটি বাউন্ডারি। ওয়ানডে সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করা মেহেদি হাসান মিরাজ টেস্টে এসে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। চট্টগ্রামের পর ঢাকাতেও তিনি ব্যর্থ হলেন। এবার কোনো রান করতে পারেননি। আকসার প্যাটেলের বলে এলবিডব্লিউ আউট হন।
দ্রুত ২ উইকেট হারানোর ফলে বাংলাদেশের বিপর্যয় আরও ঘনিভূত হয়। তখনই প্রতিরোধের ডাক দেন লিটন দাস ও নুরুল হাসান সোহান। সময়ের দাবিতে লিটন নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে নিলেও নূরুল হাসান ছিলেন আক্রমণাত্মক। ৪৮ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়ার পর নুরুল হাসান সোহান প্যাটেলকে ক্রিজ ছেড়ে বের হয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন। তিনি ২৯ বলে দুই বাউন্ডারি ও এক ছক্কা ৩১ রান করেন।
নুরুল হাসান আউট হওয়ার পর তাসকিনকে নিয়ে আবার লড়াই শুরু করেন লিটন। এর মাঝে তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের ১৫তম হাফ সেঞ্চুরি। অশ্বিনের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন।কিন্তু কোহলি তালুবন্দি করতে পারেননি। জীবন পেয়ে ৭৪ বলে চার বাউন্ডারিতে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন।
এমপি/এসএন
