সেঞ্চুরি বঞ্চিত মুমিনুল, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২৭

মাত্র ২৪ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার ৩৬ মিনিট আগে ২২৭ রানে অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। ৬ মাস পর টেস্টে ফিরে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৮৪ রানে আউট হন মুমিনুল হক।
দলের রান ২২৭। মুমিনুলের একাই ৮৪। বাকি ১০ জনের মিলিত সংগ্রহ ১৪৩। অথচ এই টেস্টে মুমিনুলের কিন্তু খেলারই কথা ছিল না। চরম ব্যাটিং খরায় পড়ে তিনি ৬ মাস আগেই দলে জায়গা হারান। চট্টগ্রাম টেস্টের তিনে নামানো হয়েছিল ইয়াসির আলীকে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল কাউকে না পেয়ে তাকে নামানো। কিন্তু দুই ইনিংসেই তিনি সুবিধা করতে পারেননি। অগত্যা ফিরে যাওয়া হয়েছিল মুমিনুলের কাছে। যে অবস্থায় মুমিনুলের কাছে ফিরে যাওয়া হয়েছিল, তাতে করে তার উপর আস্থা রাখার কথা নয়। কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটেও তিনি রানের দেখে পাননি। সেই মুমিনুলের ব্যাটেই কোনোরকম মান বাঁচিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ মুমিনুল যে ব্যাটিং করেছেন, ফর্মে থাকা অবস্থায় তিনি এরকম নিয়মিত করতেন। দলের এক প্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়ত, অপরপ্রান্তে তিনি আঁকড়ে থাকতেন। ব্যাট করতে নেমেছিলেন ওয়ান ডাউনে। তখন ইনিংসের বয়স শেষ হয়েছে ১৪.৫ ওভার। এরপর শুধুই দেখেছেন একে একে সঙ্গীদের আসা-যাওয়া।
মুমিনুল ব্যাট করতে নামার পর চা বিরতি পর্যন্ত সাকিব, মুশফিক, লিটন দাসের কাছ থেকে মোটামুটি সাপোর্ট পেয়েছিলেন। কিন্তু চা বিরতির পর তাকে আর কেউই সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি। যে কারণে শেষ ৫ উইকেটের পতন মাত্র ১৩ রানে। এই সেশনে বাংলাদেশ ১৬.৫ ওভার খেলে মাত্র ৪৩ রান যোগ করে।
এক প্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়লেও অপর প্রান্তে মুমিনুল কিন্তু কখনো ধৈর্য হারা হননি। তার লক্ষ্যই ছিল যতটুকু সম্ভব টিকে থাকা, দলের রান বাড়ানো। পাশাপাশি নিজের সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া। তিনি যে বলে আউট হয়েছিলেন সেখানেও ছিল তার ধৈর্য। অফ স্টাম্পের বাইরের বল ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু গ্লাভসে লেগে উইকেটের পেছনে ঋষভ পন্থের হাতে জমা পড়লে শেষ হয়ে মুমিনুলের ২৮২ মিনিট ব্যাপ্তি ইনিংসের। তার ১৫৭ বলে করা ৮৪ রানের ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও ১টি ছক্কা।
চা বিরতির পর মুমিনুলকে সবচেয়ে বেশি সঙ্গ দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। জুটিতে রান আসে ৪১। মিরাজ ৫১ বলে করেন ১৫ রান। উমেশ যাদবের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয়ে মিরাজের ইনিংস। এরপর তাসকিন, তাইজুল আর খালেদ শুধুই আসা-যাওয়া করেছেন। উমেশ যাদব ২৫ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৭১ রান দিয়ে নেন ৪টি করে উইকেট। জয়দেব উনাদকাট ৫০ রানে নেন ২ উইকেট।
এমপি/এসজি
