শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মেসির হাতেই কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা

মেসি ক্ষণজন্মা। গড গিফটেড। যুগে যুগে তাদের মতো খেলোয়াড়দের আবির্ভাব ঘটে না। আবির্ভাব ঘটে ধূমকেতুর মতো। যেমন আবির্ভাব ঘটেছিল পেলে, তারপর ম্যারাডোনা এখন মেসি। পেলে, ম্যারাডোনার হাতে বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি শোভা পেয়েছে। কিন্তু মেসির হাতে তা শোভা পায়নি। এটি আবার মেসির শেষ বিশ্বকাপ। রিক্ত হস্তে ফিরবেন ফুটবলের খুদে জাদুকর? সৃষ্টিকর্তাও হয়তো তা চাননি। তিনি যেন গোল আর নৈপুণ্যের ঝাঁপি খুলে দিয়েছিলেন মেসিদের জন্য। মরুর বুকে আকাশের চাঁদ হয়ে থাকা বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঠেছে মেসির হাতে। তবে এমনিতেই আসেনি টানটান উত্তেজনার ম্যাচ নির্ধারিত সময় দুই দুই গোলে অতিরিক্ত সময়ে তিন-তিন গোলে ড্র থাকার পর গড়ায় টাইব্রেকারে। 

সেখানে তারা ফ্রান্সকে হারায় ৪-২ গোলে। আর্জেন্টিনার হয়ে মেসি, দিবালা, পারডেস, মন্টিয়েলন গোল করলেও ফ্রান্সের হয়ে এমবাপে ও কোলো মুয়ানি গোল করেন। কোযমেনের শট ইমি মার্টিনেজ ঠেকিয়ে দেন‌ টিচুয়ামেনির শট বাইরে দিয়ে চলে যায়।  আর্জেন্টিনার এটি ছিল তৃতীয় শিরোপা। সর্বশেষ তারা শিরোপা জিতেছিল ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার নেতৃত্বে। 

একে একে মেসি চার চারটি বিশ্বকাপে সফল হতে পারেননি। এবার শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু যিনি গড গিফটেড, তার হাত রাঙাতে সৃষ্টিকর্তা যেন একটু বেশিই পরীক্ষা নিতে চাইলেন। বিষয়টি এমন, তোমাকে যখন সব দিয়েছি। বিশ্বকাপও বাকি রাখবো না। এটাও দেব। তবে এতো সহজে না। একটু বেশি পরীক্ষায় ফেলে, টেনশনে রেখে, তারপর।

তাই বলে এমন পরীক্ষা। যে পরীক্ষায় পড়ে শিরোপাই হাত ছাড় হওয়ার উপক্রম। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে ২-২ গোলে সমতা। দুই গোল পরিশোধের পর ফ্রান্স এমনভাবে আর্জেন্টিনাকে চেপে ধরেছিল, তাতে করে তৃতীয় গোল বের করে নেয়া তাদের পক্ষে অসম্ভব ছিল না। তারপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও আবার মেসির গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায়। পরে আবার ফ্রান্স গোল পরিশোধ করে। এবারও গোল পরিশোধের পর আবারও ফ্রান্স ঝড়। যে ঝড়ে আবারও আর্জেন্টিনার রক্ষণ কেঁপে উঠেছিল। তারপরই না খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই বিধাতা সব লিখে রেখেছিলেন।

একটি ফাইনাল যে রকম হওয়ার কথা ছিল তার সবই এসে হাজির হয়েছিল। দুই দলের সেরা দুই খেলোয়াড় মেসি ও এমবাপের দিকে নজর ছিল সবার। দুই জনের মাঝে আবার ছিল গোল্ডেন বুটের লড়াইও। দুই জনই হতাশ করেনি। মেসি করেছেন দুই গোল। এমবাপে করেছেন হ‌্যাটট্রিক। গোল্ডেন বুট জিতেছেন তিনিই। কিন্তু তার হ‌্যাটট্রিক আড়ালে পড়ে গেছে মেসিদের শিরোপা জয়ের পথে। মেসি জিতেছেন গোল্ডেন বল। গোল্ডেন গ্লাভস জিতেছেন আর্জেন্টিনার গোরক্ষক ইমি মার্টিনেজ। তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারও গিয়েছে আর্জেন্টিনার শিবিরে। পেয়েছেন এনজো হার্নান্দেজ।

ফাইনাল যে এমন উত্তেজনার মসলা মাখিয়ে শেষ হবে তা কিন্তু খেলার ৮০ মিনিট পর্যন্ত ছিল না। এ সময় প্রথমর্ধে মেসি ও ডি মারিয়া গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে ছিল। দুই গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনা কিন্তু রক্ষণাত্মক পদ্ধতি অবলম্বন করেনি। কারণ এভাবে দুই গোলে এগিয়ে থাকার পরও ফাইনালে খেলার সমতা আনার নজির তাদের বিপক্ষে অতীতে আছে। ১৯৮৬ সালে জার্মানির বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর জার্মানি খেলার সমতা এনেছিল। পরে বুরচাগার গোলে আর্জেন্টিনা জিতেছিল ৩-২ গোলে। তাই এবার দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনা ছিল আক্রমণাত্মক। ফলে ফ্রান্সের চেয়ে এই অর্ধেও তারা সুযোগ তৈরি করে বেশি। ফ্রান্সকে শুধু বলের জন্য এদিক-সেদিক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। এসময় আর্জেন্টিনা বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে গোল না পাওয়াটা ছিল রীতিমতো হতাশ জনক। ৬০ মিনিটে ডি মারিয়ার কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের ভিতর থেকে মেসির ডান পায়ের শট সাইট বার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। তিনি সঠিকভাবে শট নিতে পারেননি রাবিউট বাধা দেওয়ার কারণে। ৬৪ মিনিটে মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে আ্যলিস্টার শট নেওয়ার আগে গোলরক্ষক বাধা দিয়ে নিশ্চিত গোল রক্ষা করেন। এ সময় পর্যন্ত ফ্রান্স একটি মাত্র শট বারে নিতে পেরেছিল। আর কর্ণার পেয়েছিল একটি।

আর্জেন্টিনার দাপটের মধ‌্য দিয়েই খেলা গড়ায় ৮০ মিনিটে। তখন আর্জেন্টিনার দর্শকরা চ‌্যাম্পিয়ন হওয়ান উৎসব শুরু করে দিয়েছেন। বিবিসি লাইভে বুয়েন্স আয়ার্সে ম‌্যারাডোনার বাড়ির সামনে আর্জেন্টিনার সমর্থদের একটি ছবি দিয়েও সংবাদ পরিবেশন করে। এ ছাড়া বিবিসি লাইভেও বারবার উল্লেখ করা হচ্ছিল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের এখন পার্টি করার সময়। এ রকম ধারনা অমূলক ছিল না। কারণ তখন পর্যন্ত খেলায় ফ্রান্সকে খোঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না।

কিন্তু হঠাৎ করে ফ্রান্স ঘুরে দাঁড়ায় এক মিনিটের ব‌্যবধানে দুই গোলই পরিশোধ করে। ৮০ মিনিটে বক্সের ভিতরে অটামান্ডি বদলি খেলোয়াড় কুলু মুয়ানিকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টি দেন। পেনাল্টি থেকে এমবাপে গোল করে মেসির সমান ছয় গোল করে মেসির সমান গোলদাতার তালিকা উঠে আসেন। পরের মিনিটেই এমবাপে আবারো গোল করে খেলা সমতা আনেন। তার গোলটি ছিল দর্শনীয়। মাঝমাঠে কাজ থেকে বল কেড়ে নিয়ে সেই বল পরে তোরাম ও বাপের আদান প্রদান করে পরে বক্সের ভিতর থেকে এমবাপে ডান পায়ে তীব্র শটে গোল করে সমতা আনেন। সেই সঙ্গে সাত গোল করে টপকে যান মেসিকে। হয়ে যান একক সর্বোচ্চ গোলদাতা।

এ সময় ফ্রান্স খেলার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আর্জেন্টিনাকে বেশ চেপে ধরে। দুইটি গোল পরিশোধ করা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করে। এ সময় তারা এমনভাবে খেলছিল যে কোনও মুহুর্তে তৃতীয় গোল পেয়ে যেত। কোনঠাসা হয়ে পড়া আর্জেন্টিনা ইনজুরি টাইমে মেসির বক্সের ভেতর থেকেবাম পায়ের তীব্র শট গোলরক্ষক লরেস ঝাঁপিয়ে পড়ে নিশ্চিত গোল রক্ষা করলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

১০৪ মিনিটে আর্জেন্টিনা সুযোগ নষ্ট করে উপর্যপুরি। প্রথমে বদলি লাউতারো মার্টিনেজের শট ফ্রান্সের রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড় ফিরিয়ে দেয়ার পর বদলি আরেক খেলোযাড় মনিটয়েলের ফিরতি শটে আবারও ফ্রান্সের রক্ষণের একজন খেলোয়াড় হেড করে রক্ষা করেন। ১০৭ মিনিটে মেসির বাম পায়ের শট লরেস ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন। ১০৮ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে গড়ে উঠা আক্রমণকে সফল পরিণতি আসে মেসির মাধ‌্যমে। অ‌্যালেস্টারের শট লরেস ফিরিয়ে দিলেও সামনে দাঁড়ানো মেসি আলতো টোকায় বল জালে জড়িয়ে দৌড় শুরু করেন। প্রথমে মনে করা হয়েছিল অফসাইড। কিন্তু রেফারি গোলের বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু ১১৮ মিনিটে ফ্রান্স সেই গোল আবার পরিশোধ করে পেনাল্টি থেকে এমবাপের মাধ‌্যমে। এমবাপের শট আর্জেন্টিনার রক্ষণের একজন খেলোয়াড়েন অনিচ্ছাকৃতভাবে হাতে লাগলে রেফারি পেনাল্টি দেন। এই গোল করে এমবাপে মেসিকে ছাড়িয়ে গোল্ডেন বুটের একক মালিক বনে যান আট গোল করে। শেষ মুহুর্তে ইমি মার্টিনেজ নিশ্চিত একটি গোল রক্ষা করেন। পাল্টা আক্রমণ থেকে লাউতারো মার্টিনেজর হেড বারের বাইরে দিয়ে চলে গেলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। তারপর রচিত হয় মেসির আর্জেন্টিনার ইতিহাস।

এমপি/এমএমএ/এএস

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি