সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মেসির হাতেই কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা

মেসি ক্ষণজন্মা। গড গিফটেড। যুগে যুগে তাদের মতো খেলোয়াড়দের আবির্ভাব ঘটে না। আবির্ভাব ঘটে ধূমকেতুর মতো। যেমন আবির্ভাব ঘটেছিল পেলে, তারপর ম্যারাডোনা এখন মেসি। পেলে, ম্যারাডোনার হাতে বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি শোভা পেয়েছে। কিন্তু মেসির হাতে তা শোভা পায়নি। এটি আবার মেসির শেষ বিশ্বকাপ। রিক্ত হস্তে ফিরবেন ফুটবলের খুদে জাদুকর? সৃষ্টিকর্তাও হয়তো তা চাননি। তিনি যেন গোল আর নৈপুণ্যের ঝাঁপি খুলে দিয়েছিলেন মেসিদের জন্য। মরুর বুকে আকাশের চাঁদ হয়ে থাকা বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঠেছে মেসির হাতে। তবে এমনিতেই আসেনি টানটান উত্তেজনার ম্যাচ নির্ধারিত সময় দুই দুই গোলে অতিরিক্ত সময়ে তিন-তিন গোলে ড্র থাকার পর গড়ায় টাইব্রেকারে। 

সেখানে তারা ফ্রান্সকে হারায় ৪-২ গোলে। আর্জেন্টিনার হয়ে মেসি, দিবালা, পারডেস, মন্টিয়েলন গোল করলেও ফ্রান্সের হয়ে এমবাপে ও কোলো মুয়ানি গোল করেন। কোযমেনের শট ইমি মার্টিনেজ ঠেকিয়ে দেন‌ টিচুয়ামেনির শট বাইরে দিয়ে চলে যায়।  আর্জেন্টিনার এটি ছিল তৃতীয় শিরোপা। সর্বশেষ তারা শিরোপা জিতেছিল ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার নেতৃত্বে। 

একে একে মেসি চার চারটি বিশ্বকাপে সফল হতে পারেননি। এবার শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু যিনি গড গিফটেড, তার হাত রাঙাতে সৃষ্টিকর্তা যেন একটু বেশিই পরীক্ষা নিতে চাইলেন। বিষয়টি এমন, তোমাকে যখন সব দিয়েছি। বিশ্বকাপও বাকি রাখবো না। এটাও দেব। তবে এতো সহজে না। একটু বেশি পরীক্ষায় ফেলে, টেনশনে রেখে, তারপর।

তাই বলে এমন পরীক্ষা। যে পরীক্ষায় পড়ে শিরোপাই হাত ছাড় হওয়ার উপক্রম। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে ২-২ গোলে সমতা। দুই গোল পরিশোধের পর ফ্রান্স এমনভাবে আর্জেন্টিনাকে চেপে ধরেছিল, তাতে করে তৃতীয় গোল বের করে নেয়া তাদের পক্ষে অসম্ভব ছিল না। তারপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও আবার মেসির গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায়। পরে আবার ফ্রান্স গোল পরিশোধ করে। এবারও গোল পরিশোধের পর আবারও ফ্রান্স ঝড়। যে ঝড়ে আবারও আর্জেন্টিনার রক্ষণ কেঁপে উঠেছিল। তারপরই না খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই বিধাতা সব লিখে রেখেছিলেন।

একটি ফাইনাল যে রকম হওয়ার কথা ছিল তার সবই এসে হাজির হয়েছিল। দুই দলের সেরা দুই খেলোয়াড় মেসি ও এমবাপের দিকে নজর ছিল সবার। দুই জনের মাঝে আবার ছিল গোল্ডেন বুটের লড়াইও। দুই জনই হতাশ করেনি। মেসি করেছেন দুই গোল। এমবাপে করেছেন হ‌্যাটট্রিক। গোল্ডেন বুট জিতেছেন তিনিই। কিন্তু তার হ‌্যাটট্রিক আড়ালে পড়ে গেছে মেসিদের শিরোপা জয়ের পথে। মেসি জিতেছেন গোল্ডেন বল। গোল্ডেন গ্লাভস জিতেছেন আর্জেন্টিনার গোরক্ষক ইমি মার্টিনেজ। তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারও গিয়েছে আর্জেন্টিনার শিবিরে। পেয়েছেন এনজো হার্নান্দেজ।

ফাইনাল যে এমন উত্তেজনার মসলা মাখিয়ে শেষ হবে তা কিন্তু খেলার ৮০ মিনিট পর্যন্ত ছিল না। এ সময় প্রথমর্ধে মেসি ও ডি মারিয়া গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে ছিল। দুই গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনা কিন্তু রক্ষণাত্মক পদ্ধতি অবলম্বন করেনি। কারণ এভাবে দুই গোলে এগিয়ে থাকার পরও ফাইনালে খেলার সমতা আনার নজির তাদের বিপক্ষে অতীতে আছে। ১৯৮৬ সালে জার্মানির বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর জার্মানি খেলার সমতা এনেছিল। পরে বুরচাগার গোলে আর্জেন্টিনা জিতেছিল ৩-২ গোলে। তাই এবার দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনা ছিল আক্রমণাত্মক। ফলে ফ্রান্সের চেয়ে এই অর্ধেও তারা সুযোগ তৈরি করে বেশি। ফ্রান্সকে শুধু বলের জন্য এদিক-সেদিক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। এসময় আর্জেন্টিনা বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে গোল না পাওয়াটা ছিল রীতিমতো হতাশ জনক। ৬০ মিনিটে ডি মারিয়ার কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের ভিতর থেকে মেসির ডান পায়ের শট সাইট বার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। তিনি সঠিকভাবে শট নিতে পারেননি রাবিউট বাধা দেওয়ার কারণে। ৬৪ মিনিটে মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে আ্যলিস্টার শট নেওয়ার আগে গোলরক্ষক বাধা দিয়ে নিশ্চিত গোল রক্ষা করেন। এ সময় পর্যন্ত ফ্রান্স একটি মাত্র শট বারে নিতে পেরেছিল। আর কর্ণার পেয়েছিল একটি।

আর্জেন্টিনার দাপটের মধ‌্য দিয়েই খেলা গড়ায় ৮০ মিনিটে। তখন আর্জেন্টিনার দর্শকরা চ‌্যাম্পিয়ন হওয়ান উৎসব শুরু করে দিয়েছেন। বিবিসি লাইভে বুয়েন্স আয়ার্সে ম‌্যারাডোনার বাড়ির সামনে আর্জেন্টিনার সমর্থদের একটি ছবি দিয়েও সংবাদ পরিবেশন করে। এ ছাড়া বিবিসি লাইভেও বারবার উল্লেখ করা হচ্ছিল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের এখন পার্টি করার সময়। এ রকম ধারনা অমূলক ছিল না। কারণ তখন পর্যন্ত খেলায় ফ্রান্সকে খোঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না।

কিন্তু হঠাৎ করে ফ্রান্স ঘুরে দাঁড়ায় এক মিনিটের ব‌্যবধানে দুই গোলই পরিশোধ করে। ৮০ মিনিটে বক্সের ভিতরে অটামান্ডি বদলি খেলোয়াড় কুলু মুয়ানিকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টি দেন। পেনাল্টি থেকে এমবাপে গোল করে মেসির সমান ছয় গোল করে মেসির সমান গোলদাতার তালিকা উঠে আসেন। পরের মিনিটেই এমবাপে আবারো গোল করে খেলা সমতা আনেন। তার গোলটি ছিল দর্শনীয়। মাঝমাঠে কাজ থেকে বল কেড়ে নিয়ে সেই বল পরে তোরাম ও বাপের আদান প্রদান করে পরে বক্সের ভিতর থেকে এমবাপে ডান পায়ে তীব্র শটে গোল করে সমতা আনেন। সেই সঙ্গে সাত গোল করে টপকে যান মেসিকে। হয়ে যান একক সর্বোচ্চ গোলদাতা।

এ সময় ফ্রান্স খেলার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আর্জেন্টিনাকে বেশ চেপে ধরে। দুইটি গোল পরিশোধ করা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করে। এ সময় তারা এমনভাবে খেলছিল যে কোনও মুহুর্তে তৃতীয় গোল পেয়ে যেত। কোনঠাসা হয়ে পড়া আর্জেন্টিনা ইনজুরি টাইমে মেসির বক্সের ভেতর থেকেবাম পায়ের তীব্র শট গোলরক্ষক লরেস ঝাঁপিয়ে পড়ে নিশ্চিত গোল রক্ষা করলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

১০৪ মিনিটে আর্জেন্টিনা সুযোগ নষ্ট করে উপর্যপুরি। প্রথমে বদলি লাউতারো মার্টিনেজের শট ফ্রান্সের রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড় ফিরিয়ে দেয়ার পর বদলি আরেক খেলোযাড় মনিটয়েলের ফিরতি শটে আবারও ফ্রান্সের রক্ষণের একজন খেলোয়াড় হেড করে রক্ষা করেন। ১০৭ মিনিটে মেসির বাম পায়ের শট লরেস ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন। ১০৮ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে গড়ে উঠা আক্রমণকে সফল পরিণতি আসে মেসির মাধ‌্যমে। অ‌্যালেস্টারের শট লরেস ফিরিয়ে দিলেও সামনে দাঁড়ানো মেসি আলতো টোকায় বল জালে জড়িয়ে দৌড় শুরু করেন। প্রথমে মনে করা হয়েছিল অফসাইড। কিন্তু রেফারি গোলের বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু ১১৮ মিনিটে ফ্রান্স সেই গোল আবার পরিশোধ করে পেনাল্টি থেকে এমবাপের মাধ‌্যমে। এমবাপের শট আর্জেন্টিনার রক্ষণের একজন খেলোয়াড়েন অনিচ্ছাকৃতভাবে হাতে লাগলে রেফারি পেনাল্টি দেন। এই গোল করে এমবাপে মেসিকে ছাড়িয়ে গোল্ডেন বুটের একক মালিক বনে যান আট গোল করে। শেষ মুহুর্তে ইমি মার্টিনেজ নিশ্চিত একটি গোল রক্ষা করেন। পাল্টা আক্রমণ থেকে লাউতারো মার্টিনেজর হেড বারের বাইরে দিয়ে চলে গেলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। তারপর রচিত হয় মেসির আর্জেন্টিনার ইতিহাস।

এমপি/এমএমএ/এএস

Header Ad
Header Ad

দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা লক্ষ্য করছি যে, স্থানীয় সরকার সংস্কার সংস্থার কিছু সুপারিশ জনগণের প্রতিনিধিত্বের মৌলিক ধারণার বিরোধী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও অবনতি হচ্ছে। যদিও আমরা একটি পরিবর্তনের সময় পার করছি, তবে এই রূপান্তর প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করা উচিত নয়। জাতীয় নির্বাচন সময়মতো আয়োজন করা জরুরি এবং দেশের স্বার্থে আমাদের আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।

স্ট্যাটাসে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “এখনো এক বছর হয়নি, আমরা বাংলাদেশে জীবনের সবচেয়ে বড় বিজয় অর্জন করেছি। সবচেয়ে স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এই পরিবর্তনের জন্য আমরা অনেক প্রাণ দিয়েছি, বড় মূল্য দিতে হয়েছে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে আসছি। আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার চাই, তবে এই সংস্কার জনগণের প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই হতে হবে, যারা দেশের মানুষের মনোভাব বোঝেন।”

মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পরও রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, দলটি দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে এবং তারা জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

Header Ad
Header Ad

সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন

সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার সাভারে পাকিজা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজের একটি গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাড়ে ৯টার দিকে গোডাউনটিতে আগুন লাগে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

স্থানীয়দের তথ্য মতে, আগুন লাগার পর মুহূর্তেই তা গোডাউনটি পুরোপুরি ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে আগুনের তীব্রতা বাড়লে সাভার ট্যানারি ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পাঁচটি ইউনিটের দুই ঘণ্টার চেষ্টা শেষে, সকাল ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ ঘটনায় গুদামে থাকা কাপড় ও কার্টুন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে, অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে পাকিজা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও স্বামী আদনান আল রাজীব। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের গুঞ্জন আর নানা জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। পাত্র দীর্ঘদিনের প্রেমিক পরিচালক-প্রযোজক আদনান আল রাজীব। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অদূরে একটি রিসোর্টে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয় তাদের।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মেহজাবিন নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুক পেইজে বিয়ের কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ৯ এপ্রিল ২০১২- বাঁকা দাঁতের সুন্দর হাসিওয়ালা একটি ছেলে আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল। তখন আমি যখন একটি শুটিং হাউসের বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলাম। তখন তিনি রাস্তা থেকে আমার দিকে হাত নেড়েছিলেন। আমরা মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য কথা বলেছিলাম, হাত মিলিয়ে ছিলাম। সেদিন তিনি চলে যাওয়ার সাথে সাথে আমি অনুভব করেছি যে আমার হৃদয়ের একটি টুকরো তার সাথে চলে গেছে।

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও স্বামী আদনান আল রাজীব। ছবি: সংগৃহীত

পোস্টে আরও লিখেছেন, ১৩ বছর পর, এখানে আমরা, একসঙ্গে বেড়ে উঠছি, প্রতিটি সাফল্য উদযাপন করছি এবং প্রতিটি বাধা অতিক্রম করছি। সবাই বলে, সাত বছরের বন্ধুত্ব জীবনভর থাকে—আমরা তা প্রায় দ্বিগুণ সময় কাটিয়ে ফেললাম। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫-এ, আমরা চিরকালের জন্য আমাদের সম্পর্ক বেঁধে ফেলেছি। একে অপরকে হাত ধরাধরি করে এই যাত্রা চলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। আদনান আল রাজীব, আমি তোমাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছি। এই নতুন অধ্যায় শুরু করার সময়, আমরা আপনাদের ভালোবাসা এবং প্রার্থনা কামনা করছি, যাতে আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত থাকে সুখী ও একসঙ্গে কাটানোর।

এর আগে রোববার আয়োজন হয়েছিল তাদের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। আর এদিনের কিছু ছবি ফাঁস হতেই তোলপাড় সামাজিক মাধ্যম।

মেহজাবীন চৌধুরীর গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে ছিল বেশকিছু বিধিনিষেধ। আমন্ত্রিত অতিথিরা তুলতে পারবেন না ছবি ও ভিডিও। কিন্তু এর মাঝেও ফাঁস হয়ে যায় মেহজাবীন চৌধুরী ও আদনান আল রাজীবের বেশ কিছু মুহূর্ত।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ছবিগুলোতে দেখা যায় মেহজাবীন চৌধুরী ও আদনান আল রাজীবের বেশ কিছু মুহূর্ত। এ সময় দুজনকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। এ ছাড়াও তাদের সঙ্গে দেখা মেলে একটি ব্যান্ডদলের। বুঝতে বাকি নেই, নিজেদের বিয়েতে এই তারকা যুগল নাচে গানে বেশ মেতে উঠেছিলেন।

গায়ে হলুদের ফাঁস হওয়া ছবি। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে রবিবার একই রিসোর্টে সম্পন্ন হয়েছে রাজীব ও মেহজাবিনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানেও দুই পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শোবিজের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে ছবি তোলা এবং ভিডিও করা বারণ ছিল। এর জন্য মাইক্রোফোনে ঘোষণাও দেওয়া হয়।

গায়ে হলুদের আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের দিনে রাজধানীর এক আবাসিক এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে রাজীব ও মেহজাবিনের আকদ বা আংটি বদলের অনুষ্ঠান হয়।

তারকা জুটির বিয়ের আমন্ত্রণপত্রে ইংরেজিতে লেখা, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী ও গাজালা চৌধুরীর আদরের কন্যা মেহজাবিন চৌধুরীর সঙ্গে বাসেদুল আলম ও সাবেকুন নাহারের ছেলে আদনান আল রাজীবের বিয়েতে আপনি সাদরে আমন্ত্রিত।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী
রিলিফের আশায় অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হচ্ছে: সিইসি
যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন বিশ্বনবী (স.)
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান
সাজেকে ৭ রিসোর্ট ও কটেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী(ভিডিও)
১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার
বাংলাদেশ থেকে আসা বিদ্বেষী বার্তায় অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি: জয়শঙ্কর
কক্সবাজারে বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা, নিহত ১
আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল
মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ
এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত
এমসি কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জামায়াত আমিরের দায় স্বীকার  
লালমনিরহাটে জামাত-শিবিরের কলেজ দখলের চেষ্টা
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার  
এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসা থেকে ঢাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
চ্যানেল ‘চ্যানেল ওয়ান’ সম্প্রচারে বাধা নেই  
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভাঙার অভিযোগ  
‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে নিউজল্যান্ডের বিপক্ষে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ