ফ্রান্স যেভাবে বিশ্বকাপের ফাইনালে

বিশ্বকাপের ফাইনালে আসার পথে আর্জেন্টিনাকে শুরুতেই হোঁচট খেতে হলেও পরে তারা তেমন কোনও বাধার সম্মুখীন হয়নি। বিপরীত অবস্থানে ছিল ফ্রান্স। গ্রুপ পর্বে তেমন কোনও প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েনি তারা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই তারা নকআউট পর্বে উঠে আসে। নকআউট পর্বে পোল্যান্ডকে পেলেও সেমিফাইনলে তাদেরকে মুখোমুখি হতে হয়েছিল ইংল্যান্ডের।
কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সের যাত্রা শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে। জিরোঢ দুটি এবং রাবিউট ও এমবাপ্পে একটি করে গোল করেন। এমবাপ্পের জোড়া গোলে দ্বিতীয় ম্যাচে ডেনমার্ককে হারিয়েছিল ২-১ গোলে। একই সঙ্গে তাদের নকআউট পর্বও নিশ্চিত হয়। কিন্তু গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তিউনিশিয়ার কাছে হেরে যায় ১-০ গোলে। হারলেও ফ্রান্সই হয় ' ডি' গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
নকআউট পর্বে ফ্রান্সের সামনে পড়েছিল পোল্যান্ড। পাত্তাই পায়নি পোল্যান্ড এমবাপ্পের দুই গোল আর জিরোডের এক গোলে। এর ফলে ফ্রান্স জিতে ৩-১ ব্যাবধানে। কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স পড়েছিল সবচেয়ে বড় বাঁধার মুখে। প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালের শিরোপা জয়ী। এবারও সম্ভাব্য শিরোপা জয়ীদের তালিকায় তাদের নাম অগ্রভাগে। গতবার খেলেছিল সেমিফাইনাল। অনেকের কাছেই ম্যাচটি ছিল ফাইনালের আগে আরেকটি ফাইনাল। সেই ফাইনালে ফ্রান্স জিতে ২-১ গোলে। গোল করেন টিচুয়ামিনি ও জিরোড।
ইংল্যান্ড বাঁধা অতিক্রম করার পর সেমিফাইনালে ফ্রান্সের সামনে পড়ে কাতার বিশ্বকাপের জায়ান্ট ইতিহাস সৃষ্টিকারী মরক্কো। আফ্রিকার সিংহ অদম্য মরক্কোর ইতিহাস কী সেমিফাইনালেই থেমে যাবে, নাকি নতুন করে লিখে ফাইনালে উঠবে?এ রকম প্রশ্নের জবাব খুঁজতে যখন ব্যস্ত গোটা ফুটবল বিশ্ব তখনই তাদের সেই সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে দেয় ২-০ বলে ম্যাচ জিতে ফ্রান্স। গোল করেন হার্নান্দেজদের ও কুলু মাওনি।
সব বাধা পেরিয়ে ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে পরপর দ্বিতীয়বার শিরোপা জয়ের শেষ ধাপে ফ্রান্স। ব্রাজিলের রেকর্ডে ভাগ বসাতে যেখানে তাদের সামনে বাঁধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মেসির আর্জেন্টিনা।
এমপি/এসআইএইচ
