হারের কিনারায় বাংলাদেশ!
দিনের শুরুতে নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান যে আশার আলো দেখিয়েছিলেন, দিনান্তে তা আর থাকেনি। ঈশান কোনে ভেসে উঠছে বাংলাদেশের হারের চিত্র। ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৭২ রান। জয়ের জন্য প্রয়োজন এখনো ২৪১ রান। হাতে আছে ৪ উইকেট এবং পঞ্চম দিনের খেলা। ক্রিজে আছেন সাকিব আল হাসান ৪০ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৯ রানে।
প্রথম সেশনে বাংলাদেশ কোন উইকেট না হারালেও পরের দুই সেশনে তিনটি করে মোট ছয়টি উইকেট হারিয়েছে। আগেই আঁচ করা গিয়েছিল দিনের শুরুতে আগের দিনের দুই অপরাজিতা ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান স্বাচ্ছন্দে ব্যাটিং করলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের জন্য খেলা কঠিন হয়ে উঠবে। হয়েছেও তাই। তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল মাত্র ৫৭ রান তৃতীয় সেশনে বাংলাদেশ হারালেও রান যোগ করে ৯৬।
দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যখন ভারতীয় বোলারদের খেলতে বেশ সমস্যায় পড়ছিলেন।তখন তাদের বেশি ভুগিয়েছিলেন ছিলেন অকসার পেটেল। দ্বিতীয় সেশনের শেষের দিকে গিয়ে প্যাটেলকে খেলা খুবই কঠিন হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের জন্য। তৃতীয় সেশনের গিয়ে সেই প্যাটলই বাংলাদেশের শিবিরের বড় আঘাত আনেন দুই উইকেট তুলে নিয়ে। ৪ রানের ব্যবধানে তিনি তুলে নেন মুশফিকুর রহিম ও নুরুল হাসান সোহানের উইকেট। এর আগে অশ্বিন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সেঞ্চুরিয়ান অভিষিক্ত জাকিরকে। ২১৯ বলে ১৩ ভাউন্ডারি ও এক ওভার বাউন্ডারিতে বাংলাদেশের চতুর্থ এবং বিশ্বের ১১৩তম ব্যাটসমষম্যান হিসেবে অভিষেকে সেঞ্চুরি করার পরপরই জাকির আউট হয়ে যান সেই রানেই। ডিফেন্স করতে গিয়ে তার শেষ রক্ষা হয়নি ।স্লিপে দাঁড়ানো কোহলি ঝাঁপিয়ে পড়ে বলটি ধরে ফেলেন। বাংলাদেশ ৩০ রানের ব্যবধানে এই তিন উইকেট হারিয়ে প্রচন্ড চাপে পড়ে যায়। চতুর্থ দিনই ম্যাচ হারের শঙ্কায় পড়ে যায়।
যে অবস্থায় বাংলাদেশে আছে, তাতে করে ম্যাচ বাঁচানো সম্ভাবনা খুবই কম। তবে ম্যাচকে পঞ্চম দিন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনে সপ্তম উইকেট দুটিতে অবিচ্ছিন্ন থেকে ৩৪ রান যোগ করেছেন।
অকসার প্যাটেল ৫০ রানেনেন তিন উইকেট। একটি করে উইকেট নেন উমেশ যাদব, অশ্বিন ও কুলদীপ যাদব।
এমপি/এএস