অভিষেকে সেঞ্চুরি করেই জাকির আউট
অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি করার দুর্দান্ত নজির স্থাপন করেছেন বাংলাদেশের ওপেনার জাকির হাসান। আকসার পেটেলের বলে সুইপ করে ফাইল লেগ দিয়ে বাউন্ডারি মেরে তিনি পৌঁছে যান একজন ব্যাটসম্যানের আরাধ্য তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। ২১৯ বল খেলে ১৩ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় সাজানো ছিল তার এই সেঞ্চুরি ইনিংস।
অভিষেকের সেঞ্চুরি পাওয়া জাকির হলেন বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান। এর আগে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মোহাম্মদ আশরাফুল ও আবুল হোসেন রাজু। আমিনুল ইসলাম বুলবুল সেঞ্চুরি করেছিলেন বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুলবুল করেছিলেন ১৪৫ রান।
মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরি শুধু অভিষেকেই ছিল না, বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবেও রেকর্ড বইয়ে এখনো অটুট। ২০০১ সালে কলম্বোর এসএসসি স্টেডিয়ামে আশরাফুল ১১৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
আবুল হোসেন রাজু সেঞ্চুরি ছিল ২০১২ সালে খুলনায় উইন্ডিজের বিপক্ষে। তিনি করেছিলেন ১১৩ রান। তবে রাজুর সেঞ্চুরি একটি বিশেষত্ব ছিল। তিনি ছিলেন বোলার। ব্যাট করতে নেমে ছিলেন ১০ নম্বরে।
অভিষেকের সেঞ্চুরি করা জাকির হাসান হলেন ১১৩ তম ব্যাটসম্যান। প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার চার্লস ব্যানারমম্যান। সেটি ছিল টেস্ট ক্রিকেটেরও প্রথম ম্যাচ। ১৮৭৭ সালে প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। ভেন্যু ছিল মেলবোর্ন। ১৬৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন ব্যানারম্যান।
অভিষেকে সেঞ্চুরি পাওয়া ব্যাটসম্যানদের তালিকা খুব লম্বা হলেও চতুর্থ ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া ব্যাটসম্যানদের তালিকা কিন্তু খুবই ছোট্ট। জাকিরকে নিয়ে সেই সংখ্যা দুই। প্রথম ব্যাটসম্যান ছিলেন উইন্ডিজের লেন বাইচান। ১৯৭৫ সালে লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি খেলেছিলেন অপরাজিত ১০৫ রানের ইনিংস।
জাকিরের অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের ১০১তম ক্রিকেটার হিসেবে। সেঞ্চুরি করার পর জাকির আর একটি রানও যোগ করতে পারেননি। বল খেলেছিলেন ছয়টি। অশ্বিনের বলে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় প্রথম স্লিপে। বিরাট কোহলি ঝাঁপিয়ে পড়ে নিচু হওয়া বলটি মুঠোবন্দি করেন।
এমপি/এসএন