দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের ৩ উইকেটের পতন
প্রথম সেশনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেশনে। উইকেট পড়েছে তিনটি। যে কারণে সাবধানী হয়ে ওঠেন ব্যাটসম্যানেরা। তাই দ্বিতীয় সেশনে রান উঠেছে ২৯ ওভার খেলে মাত্র ৫৭। বাংলাদেশের রান তিন উইকেটে ১৭৬। ক্রিজে আছেন অভিষিক্ত জাকির ৮২ ও মুশফিকুর রহিম ৩ রানে।
এটা আগেই ধারণা করা হয়েছিল যে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উইকেট থেকে বোলাররা টার্ন পেতে থাকবেন। ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হয়ে উঠবে খেলাটা। দ্বিতীয় সেশনে সেটা বেশ ভালভাবেই পরিলক্ষিত হয়েছে। অকসার প্যাটেল ও কুলদীপ যাদবকে খেলতে বেশ ভুগছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। পতন হওয়া তিন উইকেট এর দুটি নিয়েছেন এই দুই স্পিনার অপরটি উমেশ যাদবের। এ সময় ভারতের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল বেশ আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজান। এসবের মাঝেও সংগ্রাম করে টিকে আছেন অভিষিক্ত জাকির হাসান। ধৈর্যের মূর্তিমান প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি। আছেন সেঞ্চুরির কাছাকাছি। ১৯৫ বল খেলে ১১ বাউন্ডারিতে তার রান ৮২।
প্রথম সেশনের দৃঢ়তার পর বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় স্টেশনেও সেভাবে শুরু করেছিল। নাজমুল ও জাকির দুজনেই ছিলেন অতিমাত্রায় সাবধানী। সেই সাবধানতার বিচ্যুতি ঘটে দলীয় ১২৪ রানে। মনোযোগের কিছুটা সংযোগ হারান দারুণ খেলতে থাকা নাজমুল। উমেশ যাদবের অফিস স্ট্যাম্পের বাইরের বল ছেড়ে দিলেই পারতেন কিন্তু তা না করে জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা মারতে গিয়েছিলেন। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো সোজা বিরাট কোহলির হাতে। তবে কোহলি তার ধরে রাখতে পারেননি। সেই বল পরে কোনো রকম গ্লাভসবন্দী করেন উইকেট কিপার রিশাভ পান্হ। শেষ হয় নাজমুলের ১৬৬ বলে সাত বাউন্ডারিতে সাজানো ৬৭ রানের ইনিংস। ১০ রানের জন্য ভাঙতে পারেননি চতুর্থ ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে জাভেদ ওমর ও নাফিস ইকবালের করা ১৩৩ রানের জুটিকে।
১২৪ রানে উদ্বোধনী জুটির ভাঙন। অনেক ভালো সূচনাই। প্রয়োজন ছিল পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। কিন্তু এখানেই ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ দল। ওয়ান ডাউনে খেলার সুযোগ পাওয়া ইয়াসির আলী প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হন রান করতে। চান করে তিনি অকসার প্যাটেলের বোলে বোল্ড হন। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন চার রান। লিটন দাস এসে জুটি বাঁধার পর সাবধানে খেলতে থাকেন সঙ্গে জাকিরতো ছিলেনই। এখানে দুজনে বেশ সফলও হয়েছিলেন। কিন্তু ৪১ রানে গিয়ে ভেঙে যায় জুটি। লিটন দাস নিজের ধারার বিরুদ্ধে খেলে ৫৯ বলে ১৯ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে উমেশ যাদবের হাতে ধরা পড়েন। লিটন এতটাই সাবধানী ছিলেন যে প্রথম বাউন্ডারি মারেন ৩৭তম বলে। কিন্তু আউট হন ধৈর্য্যচুতি ঘটলে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে গিয়ে। এর আগে দুইবার তিনি বেঁচে যান। একবার আম্পায়ার্স কলে, আরেকবার ভারত রিভিউ না নেওয়াতে। লিটন আউট হওয়ার পর জাকির ও মুশফিক মিলে দ্বিতীয় সেশনের বাকিটা পার করে দেন
এমপি/আরএ/