সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাংলাদেশকে ৫১২ রানের টার্গেট দিয়েছে ভারত

যে উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ছটফট করেছেন, সেই উইকেটে ভারতের ব্যাটাররা রানের ফুলঝরি ছোটাচ্ছেন। তাদের রানের ফুলঝরিতে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি করেছেন শুভমান গিল ও চেতেশ্বর পূজারা। দুইজনের সেঞ্চুরিতে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ২৫৪ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে। হতশ্রী ব্যাটিংয়ে নিমজ্জিত বাংলাদেশ দলকে তারা ৫১২ রানের টার্গেট দিয়েছে।

দিনের বাকি সময় ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দল অবশ্য কোনো বিপদে পড়েনি। দুই ওপেনার জাকির হাসেন ও নাজমুল হোসেন নির্বিঘ্নে দিন পার করে দিয়ে করেছেন ৪২ রান। নাজমুল ২৫ ও জাকির ১৭ রানে অপরাজিত। জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে আরও ৪৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ভারত করেছিল ৪০৪ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৫০ রান।

প্রথম দুদিন উইকেটের যে চরিত্র ছিল তৃতীয় দিনে এসে সেখানে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। প্রথম দিন ৬ উইকেট পড়লেও ভারতের ব্যাটাররা রান করতে বেশ সমস্যায় পড়েছিলেন। দ্বিতীয় দিন দুই দলের উইকেট পড়েছে ১২টি। সেখানে তৃতীয় দিন এসে দুই দলের উইকেট পড়েছে মাত্র ৪টি। রান উঠেছে ৩১৩। দিনের শুরুতে ১৭ রান যোগ করে বাংলাদেশের অবশিষ্ট দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ভারত দুই উইকেট হারিয়ে রান সংগ্রহ করে ২৫৪। এরপর বাংলাদেশ সংগ্রহ করে বিনা উইকেটে ৪২। অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্বাচ্ছন্দ্যে রান করার একটি অন্যতম কারণ ছিল বাংলাদেশের বোলার ঘাটতি।

পাঁচজন বোলারের মাঝে দু'জনই বল হাতে নিতে পারেননি। সাকিব কাঁধের ইনজুরি এবং এবাদত পিঠের সমস্যার কারণে বোলিং করতে পারেননি। সাকিব অবশ্য প্রথম ইনিংসেই কাঁধের সমস্যায় ভুগছিলেন। সাকিব প্রথমে বোলিং করলেও কাঁধের সমস্যার পর প্রথম ইনিংসে পরে আর বোলিং করেননি। যে কারণে খালেদ, তাইজুল ও মিরাজ এই তিনজনের পক্ষে সম্ভব হয়নি ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনকে আটকে রাখা। অবস্থা সামাল দিতে ইয়াসির আলী, নাজমুল হোসেন শান্ত এমনকি লিটন দাসকে দিয়েও বোলিং করিয়েছেন সাকিব। কিন্তু তাতে কোনো ফায়দা হয়নি। ফলে ওভারপ্রতি চারের উপরে রান সংগ্রহ করে ভারত। পূজারার সেঞ্চুরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা ৬১.৪ ওভারে ২ উইকেটে ২৫৪ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে।

বাংলাদেশের বোলিং দুর্বলতার কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের যে ব্যাটারই এসেছেন, তারাই কম বেশি রান পেয়েছেন। লোকেশ রাহুল ও শুভমান গিলের উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৭০ রান। যা এ বছর ভারতের উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ। রাহুল ২৩ রান করে খালেদের বলে পুল করতে গিয়ে ফাইন লেগে তাইজুলের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নিলেও শুভমান ফিরেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে। মিরাজের বলে পরপর দুই বাউন্ডারিতে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ১৪৭ বলে সেঞ্চুরি করার পর অবশ্য শুভমান গিল খুব বেশি দূর যেতে পারেননি।

পরের ওভারে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ছক্কা‌ হাঁকাতে গিয়ে মিড উইকেটে বদলি ফিল্ডার মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ধরা পড়েন। পূজারার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তিনি ১১৩ রান যোগ করেন। গিল আউট হওয়ার পর পূজারার সঙ্গে বিরাট কোহলি জুটি বেঁধে দলের রান ভারী করতে থাকেন।

পূজারা ৮৭ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর এগুতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। প্রথম ইনিংসে তিনি অল্পের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। ৯০ রান করে আউট হয়েছিলেন। এবার আর ব্যর্থ হননি। পঞ্চাশ করার পর অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে খেলে ১৩০ বলে করেন ১০২ রান। হাফ সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরিও করেন বাউন্ডারি মেরে। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরি। সর্বশেষ দুই সেঞ্চুরির মাঝে পূজারার সময় ব্যবধান ছিল প্রায় ৩ বছরের মতো। ২৯ ম্যাচ খেলে ১৪ বার ৫০ পেরোনো ইনিংস খেললেও সেঞ্চুরি থেকে গিয়েছিল অধরাই। এমনকি প্রথম ইনিংসে তিনি ৯০ রান করে আউট হন। সেঞ্চুরি করার সঙ্গে সঙ্গেই অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ইনিংস ঘোষণা করেন কোহলির সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭৫ রান যোগ করেন ৭৩ বলে। ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। খালেদ ‌৫১ ও মিরাজ ৮২ রানে নেন একটি করে উইকেট।

এমপি/এসজি

Header Ad
Header Ad

জেল থেকে পালালেন আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, ফাইয়াজের দাবি

ছবি: সংগৃহীত

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি কারাগার থেকে পালিয়েছেন বলে দাবি করেছেন আবরারের ছোট ভাই ও বুয়েট ছাত্র আবরার ফাইয়াজ।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এই তথ্য প্রকাশ করেন। ফাইয়াজের দাবি, আসামি জেমি গত ৫ আগস্টের পর জেল থেকে পালিয়েছেন, তবে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়েছে ছয় মাস পর।

ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফাইয়াজ লেখেন, “আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি জেলখানা থেকে পালিয়ে গেছে ৫ আগস্টের পরে। অথচ আমাদের জানানো হচ্ছে আজকে, যখন ওর আইনজীবী কোনো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে আসেনি তখন।”

তিনি আরও লিখেছেন, “ফাঁসির আসামির তো কনডেম সেলে থাকার কথা ছিল, সে পালাল কিভাবে! পালানোর পরেও এতদিন এ তথ্য গোপন রাখা হয়েছে, যা স্পষ্টতই প্রমাণ করে যে তাকে ধরার জন্য কোনো ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এর আগে থেকেই আরও তিনজন আসামি পলাতক রয়েছে।”

ফাইয়াজ তার পোস্টে মুনতাসির আল জেমির নাম ও ঠিকানাও উল্লেখ করেন।

নাম: মুনতাসির আল জেমি
পিতা: আব্দুল মজিদ
মাতা: জোসনা বেগম
ঠিকানা: ৫/১ বাউন্ডারি রোড, নতুন বাজার, কোতোয়ালি, ময়মনসিংহ।

এ ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, একজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।

Header Ad
Header Ad

তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) রাজধানীতে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। ওইদিন বিকেল ৩টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের ঘোষণা দেওয়া হবে।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে জনমত যাচাইয়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় অনলাইন ও সরাসরি মাঠপর্যায়ে জনমত জরিপ চালানো হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, রোববার বিকেল পর্যন্ত তিন লাখেরও বেশি মানুষ এই জরিপে অংশ নিয়েছেন এবং তাদের মতামত প্রদান করেছেন। এই মতামতের ভিত্তিতেই নতুন রাজনৈতিক দলের কাঠামো ও আদর্শ নির্ধারণ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, জাতীয় নাগরিক কমিটির নীতিনির্ধারকদের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন নাহিদ ইসলাম। এছাড়া দলের সদস্যসচিব হিসেবে বর্তমান জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নাম প্রায় চূড়ান্ত বলে জানা গেছে।

নতুন এই রাজনৈতিক দল তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত হতে যাচ্ছে এবং এটি দেশের বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে কাজ করবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। দলের মূলনীতি, লক্ষ্য ও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জানানো হবে।

Header Ad
Header Ad

বিভেদের সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনৈতিক দল, নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন পারস্পরিক বিভেদ সৃষ্টি করে স্বৈরাচারকে ফিরে আসার সুযোগ না দেওয়া হয়। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, তর্ক-বিতর্কের সময় এমন কিছু যেন না ঘটে, যাতে স্বৈরাচার কিংবা দেশের স্বার্থবিরোধী শক্তি সুযোগ পেয়ে যায়। সংস্কার নিয়ে অযাচিত আলোচনা করলে রাষ্ট্রের মূল সমস্যা আড়াল হয়ে যেতে পারে, তাই এর পরিবর্তে দ্রুত নির্বাচন নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

সোমবার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে খুলনা মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নেওয়া একটি রাজনৈতিক দল। এজন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে যাতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং দেশের মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারলে দেশকে বর্তমান সংকট থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রয়েছে এবং দলকে আরও গণতান্ত্রিকভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বহু নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন, গুম হয়েছেন এবং নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখনো প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীরা গায়েবি ও মিথ্যা মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন। এসব কেবল জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।

তিনি বলেন, দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চা শক্তিশালী হলে, নেতৃত্ব সঠিক ব্যক্তিদের হাতে গেলে দল সুসংগঠিতভাবে এগিয়ে যাবে। একইভাবে দেশের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা বাড়লে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে দেশের প্রকৃত সমস্যা নিয়ে কাজ করতে পারবেন। অতীতে কীভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে এবং নিরীহ মানুষ নির্যাতিত হয়েছে, তা আমরা দেখেছি। বিশেষ করে গত জুলাই-আগস্ট মাসে ১৪০০ নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হলে শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, কৃষি খাত ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দিকে নজর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, যদি আমরা এসব বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা না নিই, তাহলে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

তারেক রহমান আরও বলেন, স্বৈরাচার সবকিছু ধ্বংস করে দেশ থেকে পালিয়েছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বহু বছর আগে বলেছিলেন, এই স্বৈরাচার একদিন লুটপাট করে দেশ ছেড়ে পালাবে—আজ সেটাই সত্য হয়েছে। আমরা এখন সংস্কারের কথা বলছি, কিন্তু যদি শুধু এই বিষয়ে অযাচিত আলোচনা চালিয়ে যাই, তাহলে জনগণের প্রকৃত সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব হবে না।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারী উন্নয়ন, শিক্ষা, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা তুলে ধরেন তারেক রহমান। অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। গণতন্ত্রের চর্চা যত বেশি হবে, ততই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ কারণেই বিএনপি দলের মধ্যে গণতান্ত্রিকভাবে নেতা নির্বাচন করছে।

সম্মেলনের উদ্বোধক বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তার বক্তব্যের সময় নেতাকর্মীরা হাত তুলে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

সকালে সাড়ে ১০টায় সম্মেলন শুরু হয়। নেতাকর্মীরা বিভিন্ন রঙের ক্যাপ-টি শার্ট পরে ও প্ল্যাকার্ড হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আয়োজিত এই সম্মেলনে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনিন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, শামীমুল ইসলাম শামীম, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, বিএনপি নেতা সৈয়দা নার্গিস আলী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, কাজী মিজানুর রহমান, কে এম হুমায়ুন কবীর, হাফিজুর রহমান মনি, শেখ মোহাম্মদ আলী বাবু ও মুর্শিদ কামাল।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা। সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন এবং শোক প্রস্তাব পাঠ করেন সৈয়দা রেহানা ঈসা।

নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য যা ইচ্ছা তাই করেছেন। কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনিন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

বিকেলে জেলা স্টেডিয়ামে শুরু হয় কাউন্সিল অধিবেশন। সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের তিনটি পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটার সংখ্যা ছিল ৫০৫। উল্লেখ্য, খুলনা মহানগর বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৩ নভেম্বর। সর্বশেষ ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর গঠিত হয়েছিল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জেল থেকে পালালেন আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, ফাইয়াজের দাবি
তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে শুক্রবার
বিভেদের সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পর্যটন নিষেধাজ্ঞা
রোজা সামনে রেখে খেজুরের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ!
সন্ধ্যার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা টের পাবেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিমান ঘাঁটিতে হামলা ও যুবক নিহতের ঘটনার ব্যাখ্যা দিল আইএসপিআর
পদত্যাগ করতে রাজি জেলেনস্কি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজা
জেনে নিন খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
মিঠাপুকুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে
মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী
রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী