ট্রিপল সেঞ্চুরি করতে না পারার আফসোস ইশানের
একজন ব্যাটসম্যানের চির আরাধ্য সেঞ্চুরি করা। তা যেকোনো আসরে, যেকোনো ফরম্যাটের হোক না কেন। টেস্ট ক্রিকেটে একটা সময় সেঞ্চুরি করা যতটা সহজ ছিল, ওয়ানডে ক্রিকেটে ছিল ততটাই কঠিন। এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেটা আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। কিন্তু মানুষের অসাধ্য কোনো কিছুই নয়। তাইতো ব্যাটসম্যানরা কঠিনেরে জয় করা শুরু করেছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে সেঞ্চুরি তাই এখন আর কঠিন কোনো কিছু নয়।
এখন হরহামেশাই দেখা যায় ব্যাটসম্যানরা করছেন সেঞ্চুরি। সেই সেঞ্চুরিকে তারা এখন ডাবল সেঞ্চুরিতেও রূপ দিতে শুরু করেছেন। যদিও সেটা সংখ্যায় কম। সর্বশেষ যোগ হয়েছেন ভারতের ইশান কিষান। শনিবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি বিশ্ব রেকর্ড গড়ে করেছেন দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি। সেই ইশান ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন ট্রিপল সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপ।
ইশান প্রথমে সেঞ্চুরি করেছিলেন ৮৫ বলে। কিন্তু পরের ১০০ করতে বল খেলেন মাত্র ৪১। বাবর সেঞ্চুরি করার পর আরও ১০ রান যোগ করে তিনি যে আউট হন সেই ১০ রান এসেছিল চার ও ছক্কা থেকে। উইকেটে সেট হয়ে যাওয়ার পর ক্রমেই আগ্রাসী হয়ে উঠার কারণে ইশানের মনে এরকম সুপ্ত ইচ্ছা জেগেছিল। এখানে ইনিংসের অবশিষ্ট ওভারও তার মনে আশা বাড়িয়ে দিয়েছিল। তিনি আউট হয়েছিলেন ৩৫.৫ ওভারের সময় তখন বল বাকি ছিল ৮৫টি। এই ৮৫ বল পর্যন্ত থাকতে পেরে অর্ধেক বলও খেলতে পারলে ইশান ট্রিপল সেঞ্চুরি করে ফেলতে পারতেন বলে জানান। তিনি বলেন, আমি আউট হওয়ার সময় প্রায় ১৫ (হবে ১৪.১) ওভার এর মত বাকি ছিল । তার মানে আরও ৯০( হবে ৮৫ বল)। তার অর্ধেক বল খেলতে পারলে ১০০ রান করতে পারতাম সহজেই ।কারণ তখন উইকেটে সেট হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা করতে পারিনি।'
ইশান অবশ্য যেভাবে খেলছিলেন, তাতে ট্রিপল সেঞ্চুরি করতে না পারলেও রোহিত শর্মার করা সর্বোচ্চ ২৬৪ রান টপকে নিজে এককভাবে মালিক হতে পারতেন। রোহিতের রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও তার নাম এখন উচ্চারিত হচ্ছে রোহিত শর্মা শচীন টেন্ডুলকার বীরেন্দ্র শেওয়াগের মত ব্যাটসম্যানদের নামের পাশে। ডাবল সেঞ্চুরি করা বাকি তিন ব্যাটসম্যান হলেন উইন্ডিজের ক্রিস গেইল, নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল ও পাকিস্তানের ফখর জামান। এ এ প্রসঙ্গে ঈশান জানান গ্রেটের সঙ্গে আমার নাম উচ্চারিত হচ্ছে শুনে ভালো লাগছে। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।
আরএ/